নারীদের হিজাব পরাসহ অফিসে পোশাক পরার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবদুর রহিমকে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে।
আর ডা. তানভীর আহমেদ চৌধুরীকে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে কর্মরত মুসলমান নারীদের পর্দা ও পুরুষদের টাখনুর ওপর কাপড় পরিধানের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে মিডিয়ার কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবদুর রহিম।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এক অফিস নোটিশে তাকে ওই নোটিশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আলোচিত ওই নোটিশে বলা হয়েছিল, আপনি জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক একটি পত্রে অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাখনুর উপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল- মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বিজ্ঞপ্তিটি আপনি কোন বিধি মোতাবেক এবং কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা হয়েছে তার স্পষ্টীকরণ ও ব্যাখ্যা আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে কর্মরত মুসলিম ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষকে পর্দা মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুহাম্মদ আবদুর রহিম একটি বিজ্ঞপ্তি দেন। পরিচালক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাখনুর উপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে শোকজ করা হয়।