মাদরাসায় বলাৎকার বিষয়ে মসজিদে মসজিদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের লিফলেট বিলি

দেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ মহামারির রূপ ধারণ করলেও কোনো কোনো মাদরাসার বিচ্ছিন্ন কিছু শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সকল মসজিদ-মাদ্রাসায় তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র ইমাম ড. সৈয়দ মুহাম্মদ ইমদাদ উদ্দীন।

এই সময় তারা মাদরাসায় বালাৎকারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধসহ সাতটি দাবি তুলে ধরেন করেন।

ড. সৈয়দ মুহাম্মদ ইমদাদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের ন্যায় বলাৎকারের বিরুদ্ধেও আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে। মাদ্রাসার বলাৎকারের ঘটনাগুলো অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ইসলাম বিরোধী। বলাৎকারের সঙ্গে জড়িতরা কখনোই ইসলামের আদর্শ ধারণ করে না। এদেরকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দেশের সকল মসজিদ-মাদ্রাসায় বলাৎকারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ‘আমরা কখনোই দেশের প্রকৃত আলেম-ওলামাদের বিপক্ষে কথা বলিনি। ইসলামের প্রকৃত আদর্শ চর্চাকারী আলেম-ওলামাদেরকে আমরা সবসময় সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ধর্মীয় লেবাসধারী কতিপয় ভণ্ড আলেম যারা মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে যাচ্ছে এবং বলাৎকারের সমর্থন দিচ্ছে শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করে আসছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।’

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সহ-সভাপতি শাহীন মাতবর, মাকসুদ হাওলাদারসহ অন্যান্য নেতারা।

এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সমকামিতার পক্ষপাতিত্বের অপবাদ আমাদের ওপর কেন আসছে! আমরা তো একে সম্পূর্ণ হারাম ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করি। এ ব্যাপারে আঙুল তো তাদের দিকে তোলা দরকার যারা দেশে সমকামিতার আইন পাশ করাতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাই এ ইস্যুতে আমাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ নামে তার এক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ সমকামিতাকে ব্যাপকভাবে হাইলাইট করেছে। পুরো পৃথিবী ব্যাপী একে ছড়িয়ে দেয়ার একটি পায়তারা করেছে। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন। যারা ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে, যাদের ট্রাংকের ভেতর নবজাতকের লাশ পাওয়া যায়, তারা কিভাবে মাদরাসার বিচ্ছিন্ন ঘটনায় অভিযোগ করে? চালনি যদি সুইকে বলে তোর পেছনে অনেক ছিদ্র তাহলে কিভাবে হয়? ’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমি মনে করি, দেশের আইন ব্যবস্থা যেহেতু প্রায় অচল হয়ে গেছে। দেশের শাসনব্যবস্থা যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সেই খারাপ অবস্থার কিছু বাজে প্রভাব সমাজের সব জায়গায় পড়ছে। সে ধারাবাহিকতায়ই বিভিন্ন মাদরাসায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। আমরা এর বিচার চাই এবং তীব্র নিন্দা জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *