মুহাম্মদ উবায়দুল্লাহ আসআদ কাসেমী । ।
হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায়একজন ঈমানদার স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। (সহীহ মুসলিম ১৪৬৭)
অন্য হাদীসে ঈমানদার স্ত্রীর বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে বলেন;, যে তার ঈমানের (দ্বীনের) ব্যাপারে তাকে (স্বামীকে) সহযোগিতা করে। দ্বীনের ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতার মর্মার্থ হলো- ঈমানদার স্ত্রী ধর্মীয় কার্যক্রম ও দ্বীনি দায়িত্বসমূহ পালনের ক্ষেত্রে তার স্বামীকে সহযোগিতা করে। (সুনানে তিরমীযী)
বলছি দারুল উলূম দেওবন্দের বর্তমান শায়খুল হাদীস হযরতুল উস্তাদ মুফতী সাঈদ আহমাদ পালনপুরী হাফিজাহুল্লাহর সহ-ধর্মিনীর কথা। উস্তাযজিও পিছিয়ে নন! যখন দাওরায়ে হাদীস শেষ করে ‘তাখাস্সুস ফিল ইফতায়’ অধ্যয়ণরত , তখন কুরআনুল করীম নিজে মুখস্ত করেন। আপন ছোট দুইভাই; আমাদেরই ‘সুনানে আবুদাউদ-র সম্মানিত উস্তায মুফতী আমীন সাহেব ও আরেকজনও বড় ভাইয়ের কাছে পবিত্র কুরআনুল করীম মুখস্ত করেন।
কিছু দিন পর তিনি এমন একজন সৎ আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার স্ত্রীর সাথে বিয়ের পীড়িতে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর পবিত্র কুরআনের প্রতি গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হলে পরিবারের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেওয়ার সাথে সাথে স্বামীর কাছে হিফজ সম্পন্ন করেন।
এখানেই শেষ না! নিজ দায়িত্বে নিজের দশ ছেলে,দুই মেয়ে ও দুই পুত্রবধূকে ধারাবাহিক পবিত্র কুরআনের হাফেজ/হাফেজা বানান। সৌভাগ্যবান স্ত্রীর কথা উস্তাযজি ‘তুহফাতুল কারী’ শরহে সহীহুল বুখারী এর দিতীয় খন্ডে উল্লেখ করেন। আল্লাহ তায়ালা মারহুমাকে ক্ষমা করুন, জান্নাতুল ফিরদাঊস দান করুন।
পবিত্র কুরআনুল করীমে আল্লাহ পাক বলেন, দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।- আন নূর – ২৬
লেখক; জামেয়া কাসিমিয়া ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ