১. কিবলাতাঈন মসজিদ: দ্বিতীয় হিজরির ১৫ শাবান এই মসজিদে রাসূলুল্লাহ সা. নামাজরত অবস্থায় মুসলমানদের ক্বেবলা মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামের দিকে পরিবর্তিত হয়েছিল। একই মসজিদে দাঁড়িয়ে যেহেতু হুজুরে পাক সা. দুই কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়েছিলেন তাই এই মসজিদের নাম কিবলাতাইন বা দুই কিবলা রাখা হয়েছে।মসজিদের ভেতরে মূল পুরোনো মসজিদের অংশ অক্ষত রেখে চারদিকে দালান করে মসজিদ বর্ধিত করা হয়েছে।
২. মসজিদে গামামাহ: এ মসজিদকে মোসাল্লাহও বলা হয়। রাসুলুল্লাহ সা. প্রথম ঈদের সালাত ও শেষ জীবনের ঈদের সালাতগুলো মসজিদে গামামাহয় আদায় করেন।এটি মসজিদে নববীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত মসজিদে নববী থেকে বেরিয়ে এই জায়গায়ই অনাবৃষ্টির সময় রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর সাহাবিদের নিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। এখানে খুতবা দেয়ার সময় মেঘ আল্লাহর রাসূল সা. কে ছায়া দিত। মেঘের আরবি নাম ‘গামাম’। পরে এই স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
৩. মসজিদে কুবা: হজরত মুহাম্মদ সা. মদিনায় আগমন করে প্রথম শহরের প্রবেশদ্বারে কুবা নামক স্থানে নামাজ পড়েন। পরে এখানে মসজিদ গড়ে ওঠে। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ঘর থেকে অজু করে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ পড়লে একটি ওমরাহর সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
৪. ওহুদ: ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় যুদ্ধ এটি। দুই মাথাওয়ালা একটি পাহাড়, দুই মাথার মাঝখানে একটু নিচু-এটাই ওহুদের পাহাড়। তৃতীয় হিজরির শাওয়াল মাসে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
৫. মসজিদে মিকাত: মদিনা থেকে মক্কা যাওয়ার পথে মসজিদে নববী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এ মসজিদটি অবস্থিত। মদিনাবাসীর মিকাত বলে এ মসজিদটি মসজিদে মিকাত নামে পরিচিত।
৬. মসজিদে জুমু’আ: রাসুলুল্লাহ সা. হিজরতের সময় কুবার অদূরে রানুনা উপত্যকায় ১০০ জন সাহাবাকে নিয়ে মসজিদে জুমু’আর স্থানে প্রথম জুমু’আর সালাত আদায় করেন।
৭. মসজিদে আবু বকর রা.: এটি মসজিদে গামামাহর উত্তরে অবস্থিত। হজরত আবু বকর রা. খলিফা থাকাকালে এ মসজিদে ঈদের সালাত পড়াতেন। তাই এটি মসজিদে আবু বকর রা. হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।