পবিত্র কুরআনে পাকে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। (সুরা নিসা : আয়াত ১)
আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষ উভয়কেই সৃষ্টি করেছেন। নারী-পুরুষ সৃষ্টির পর আল্লাহ তাআলা তাদের উভয়কে বিভিন্ন দায়িত্বও প্রদান করেছেন। নারীদেরকে যেহেতু আল্লাহ তাআলা পুরুষের তুলনায় দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন ফলে তাদের দায়িত্বকেও সহজ করেছেন।
সংসার পরিচায়নায় আয়-উপর্জন করার দায়িত্ব নারীদের ওপর চাপানো হয়নি; সমাজ ও রাষ্ট্রীয় যাবতীয় ঝামেলার কাজও তাদের দেয়া হয়নি। এভাবে অনেক কষ্টকার ও কঠিন কাজ থেকে নারীদের অব্যহতি দিয়ে তাদের জীবন ও দায়িত্বকে সহজ করে দেয়া হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, জীবন ও দায়িত্বকে সহজ করার পাশাপাশি তাদের জান্নাতের যাওয়ার পথকেও সহজ করা হয়েছে। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী কোনো নারীর মাঝে ৪টি গুণের সমন্বয় হলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
১. যে নারী সময় মতো যথাযথ নামাজ আদায় করেন।
২. যে নারী তার স্বামীর অনুগত স্ত্রী হন।
৩. যে নারী রমজান মাসের রোজা পালন করেন। এবং
৪. যে নারী তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করেন। সে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজান মাসে রোযা রাখে, স্বীয় লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে, স্বীয় স্বামীর অনুগত থাকে, কিয়ামতের দিন তাকে বলা হবে যে, জান্নাতের যে দরজা দিয়ে খুশি তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’ – সহিহ ইবনে হিব্বান, সহীহ জামে আসসগীর ১ম খণ্ড হাদিস নং-৬৭৩