হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর হযরত মাওলানা শাহ আহমদ শফি বলেছেন, “নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্যে কেরাত ও দুআ দরুদ সহিহ হওয়া আবশ্যক। যাদের দুআ কেরাত সহিহ না, তাদের নামাজও শুদ্ধ হয় না। তাই আপনারা প্রতিদিন কোন এক নামাজের পর মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে কেরাত ও নামাজে পঠিতব্য দুআ দরুদ শিখবেন। প্রতিদিন একটি সুরা করে মশক করুন। যত দিন লাগে লাগুক।”
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রোজ বুধবার মাদরাসায়ে নূরে মদীনা শায়েস্তাগঞ্জ হবিগঞ্জের ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে উপস্থিত হয়ে আমীরে হেফাজত এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “নামায রোযাসহ দৈনন্দিনের সাথে সম্পৃক্ত কত মাসআলা আপনাদের অজানা। এসব জানতে হবে। এর জন্যে অন্য কোন এক নামাজের পর ইমাম সাহেবের কাছ থেকে মাসআলা মাসায়েল শিখবেন। দৈনিক একটি করে মাসআলা শিখবেন। তাহলে এক বছরে ৩৬৫ টি মাসআলা আপনার জানা হয়ে যাবে।” -যোগ করেন এই বরেণ্যে আলেমে দীন।
কাদিয়ানী প্রসঙ্গে এই বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন বলেন, আমি একটি নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছি। কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা। মনে রাখবেন, কাদিয়ানীরা কাফির। অমুসলিম। তাদের বাহ্যিক বেশভূষা, নামায রোযা দেখে অনেক সাধারণ মানুষ ধোঁকা খায়। ভাবে তারা মুসলিম। একথা ভুল। তারা মুসলিম না। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী মানে না। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করে। আর এই গোলাম আহমদ নিজেকে শুধু নবী নয়, আল্লাহ পর্যন্ত দাবি করেছে।
তিনি আরও বলেন, কাদিয়ানীর দাবি দাওয়া বড় উদ্ভট উদ্ভট। সে নাকি নারী ছিল পরে পুরুষ হয়ে গেছে। তার অনুসারীরা তাকে নবী মানলেও প্রকাশ্যে তারা প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আমরা তো কাদিয়ানীকে নবী মানি না! একেবারে মিথ্যা কথা। অথচ বাস্তবে তারা তাকে শেষ নবী মানে। এসব কিছুর দলিল আছে। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে দেখানো সম্ভব নয়। আর তারা যেহেতু অমুসলিম তাই তাদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কে করতে পারবেন না। তাদের ইবাদত কেন্দ্রকে মসজিদ বলা যাবে না। তাদেরকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। তাদের সম্পর্কে আপনারা জানবেন। বুঝবেন।
সমাজে প্রচলিত একটি দরুদ “ইয়া নবী সালাম আলাইকা”- সম্পর্কে এই বুজুর্গ বলেন, এটি বিদআতিদের বানানো দরুদ। তাও অসম্পূর্ণ। এই দরুদে রাসূলে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবারের পরিজনের কথা নেই। আমাদের উচিৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দরুদ আমাদেরকে শিখিয়েছেন তা পড়া। নিজেরা বানিয়ে বানিয়ে না পড়া।
উক্ত মহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নূরে মদীনা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী সাহেব, হযরত মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবিসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।
May Allah give us toufiq to follow the advices .
আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন