চট্টগ্রাম বায়েজিদ থানাধীন ওয়াজেদিয়া (অনন্যা আবাসিক সংলগ্ন) ‘ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা’ দখলদার মাজারপন্থীদের থেকে দখলমুক্ত করে প্রতিষ্ঠানের মোতাওয়াল্লী কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়বের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
১৬ মে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে মাদরাসাটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাওলানা আজিজুল হক জানান, গত ১৫ মে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানের মোতাওয়াল্লী কর্তৃক মনোনীত পরিচালকের হাতে তুলে দিতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী। উক্ত সংবাদ সম্মেলন থেকে মাদরাসাটি দখলমুক্ত না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
আল্লামা বাবুনগরীর সংবাদ সম্মেলনের একদিনের মাথায় ১৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও মহাসচিবের কাছে যান। সেখানে বিস্তারিত আলাপের পর চট্টগ্রাম শহরের প্রশাসন ও জেলা প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মাদরাসাটি মূল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিবেন।
মাওলানা আজিজুল হক আরো জানান, প্রশাসনের কথামতো বৃহস্পতিবার ইফতারের সময় আমরা মাদরাসায় উপস্থিত হয়েছি। প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ যার নেতৃত্বে মাদরাসা দখল করা হয় সেই স্থানীয় কমিশনার কফিল উদ্দিন খান ও উপস্থিত হয়েছেন৷ সকলের উপস্থিতিতে মাদরাসার যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা মোতাওয়াল্লী কর্তৃক মনোনীত পরিচালকের কাছে মাদরাসা বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এসময় প্রশাসনের লোকজনসহ বিভিন্ন মাদরাসার জিম্মাদার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন৷ তাদের উপস্থিতিতেই অবৈধভাবে দখলকৃত বেদয়াতিদের মাদরাসা থেকে বের করে দেয়া।
মাওলানা ইসলামাবাদী আরো বলেন, ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদরাসার মসজিদে আজ ১৭ মে শুক্রবার পবিত্র জুম’আর নামাজের ইমামতি করবেন দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল এই প্রতিষ্ঠানের হিফয বিভাগের ছাত্র হাবিবুর রহমান মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। এই ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির নেতৃত্বে ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে এগারোটায় বহিরাগতদের সন্ত্রাসী হামলায় অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক গুরুতরভাবে আহত হন। এবং স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে মাদরাসার অফিস ভাঙচুর করে দাওয়াতে ইসলাম নামের বেদয়াতিরা মাদরাসাটি দখল করে।
মাজারের চলছে ব্যবসা। মাজার বলতে ইসলামে কিছু নেই।