এ বছর ফিতরা সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস ও সুন্নায় সদকা ফিতর আদায়ের তাকীদ করেছেন এবং এর নিয়ম-নীতি শিক্ষা দিয়েছেন। এ কারণেই নবী যুগ থেকে আজ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ ইসলামের পাঁচ রোকন ও দ্বীনের অন্যান্য মৌলিক আমল ও ইবাদতের মতো ছদকাতুল ফিতরও নিয়মিত আদায় করে আসছে। আমাদের এ অঞ্চলে তা পরিচিত ‘ফিতরা’ নামে। ছদকাতুল ফিতর আদায় করা হয় এক ‘সা’ খাদ্য দ্বারা অথবা এক ‘সা’ যব অথবা এক ‘সা’ খেজুর, কিংবা এক ‘সা’ পনির বা এক ‘সা’ কিসমিস দ্বারা। মানুষ ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে তা আদায় করার আদেশ এসেছে।

বাংলাদেশে প্রতিবছর রমযানে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসাবে এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ৩১০ টাকা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এর হার নির্ধারণ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী শরিয়াহ মতে সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।

আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়।

এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *