থার্টি ফাস্ট নাইটে যে দেশে হয় কুরআনের অনুষ্ঠান

থার্টি ফাস্ট নাইট। প্রতি বছরই এ রাতটি আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ নানা আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছেরর শেষ এ রাতটিকে উদযাপন করে থাকে। এ উদযাপনকে কেন্দ্র করে ঘটে নানা সংঘাত-সংঘর্ষ। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইন করে এ রাতে বের হওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়।

কিন্তু ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি নতুন রাষ্ট্র `বসনিয়া হার্জেগোভিনা’। ১৯৯২ সালের মার্চে যুগোস্লাভিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। নতুন এ রাষ্ট্রটি থার্টি ফাস্ট নাইটে আয়োজন করে আসছে সম্পূর্ণ নতুন আয়োজন। আর তাহলো থার্টি ফাস্ট নাইট : `কুরআনের সঙ্গে একটি রাত’ শীর্ষক কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠান।

এ বছরও বসনিয়া হার্জেগোভিনা বছরের শেষ রাতে ‘কুরআনের সঙ্গে একটি রাত’ শীর্ষক অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

দেশটির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট কাকাঞ্জ (Kakanj) শহরে ২০১৮ সালের শেষ রাতের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

তুরস্ক এবং বলকানের বেশ কিছু সংখ্যক জনপ্রিয় ক্বারি এ অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করবে। বসনিয়ার সংখ্যালঘু তাওয়াশিহ জাতিগোষ্ঠীও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে।

উল্লেখ্য যে, গত ২০ বছর ধরে বসনিয়া হার্জেগোভিনা থার্টি ফাস্ট নাইটে এ অনুষ্ঠানটি করে আসছে। কাকাঞ্জ শহরটি বসনিয়া হার্জেগোভিনার একটি পৌরসভা।

থার্টি ফাস্ট নাইট : কুরআনের সঙ্গে একটি রাত’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বসনিয়া হার্জেগোভিনার মতো বিশ্বের প্রতিটি দেশে বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশগুলোতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সংঘাতমুক্ত সমাজ তৈরি হবে সে প্রত্যাশায়…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *