সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। ক্রোক সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এ দিন তার গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আইনুযায়ী আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
গত ২৩ এপ্রিল ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী বাদী হয়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ওইদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল মামলার বাদী ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করছেন এবং কোরআরকে অবমাননা করছেন। যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে।
ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ ছাড়া আসামি একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।
১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী আসামি সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।