সৈয়দ শামছুল হুদা
===============================
জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ, ডা. মুরাদ আমাদের সামনে অনেক কিছুই উম্মোচন করে দিলেন। আমরা মুরাদের উত্থান, আস্ফালন ও পতন থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারি। সেসব নিয়েই আজ কিছু কথা বলবো।
* বর্তমান এমপি-মন্ত্রীদের মন-মানস কতটা নষ্ট তার কিছুটা উদারহণ ডা. মুরাদ স্পষ্ঠত: প্রমাণ রেখে গেলেন। তিনি মন্ত্রী পরিষদে না থাকলেও এমন মানসিকতা লালন করেন এমন অনেকেই সেই পরিষদে আছে।
* কিছু মানুষ নিজের বিকৃত রুচির কর্মকান্ডকে আড়াল করতে স্বাধীনতা বিরোধী চেতনাকে ব্যবহার করে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেন। আসলে এসব চেতনা-টেতনা মূলত: কিছুই না। এগুলোকে শুধু ব্যহার করা হয় মাত্র।
* প্রসাশনকে গত ১০/১২টি বছর ধরে অনেক নেতা-কর্মী নিজেদের কুকর্মের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করেছেন। নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডার, কক্সবাজারের ওসি প্রদীপ ইত্যাদি চিত্রগুলো আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলে।
* ওপর মহলের মানুষগুলোর ব্যক্তি জীবন কতটা অন্ধকার হতে পারে তা ডা. মুরাদ এর জীবনচিত্র আমাদের সামনে না আসলে প্রমাণসহ আমরা বুঝতে পারতাম না।
* চিত্র জগতের যারা আইকন তাদের অধিকাংশই ভয়ঙ্কর রকম নোংরা জগতের বাসিন্দা। তাদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে প্রশাসনের লোক। রাজনীতিবিদ। ছাত্র নেতারা। ডা. মুরাদ এর সব কথাকে ফেলে দেওয়া যায় না। মাহিয়া-মাহির সাথে তার টেলি সংলাপ প্রমাণ করে দেয় চিত্র জগতের নারীরা কীভাবে সেই জায়গাটাই কাজ করে। আসলে সেখানে নিজেদেরকে যতটা টিভি স্ক্রীনে সুন্দরভাবে দেখান, তাদের ব্যক্তিজীবনটা এত সুখের নয়। শুধুই উপভোগের। দাসীসুলভ।
* নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের মুখের ভাষা, বিকৃত চিন্তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের মদ্যপ জীবন-যাপন, উৎশৃংখল আচরণ আমাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্থ করে তুলে।
* বিভিন্ন হলের নারী নেত্রীদের নিয়ে তার বক্তব্য খারাপ শোনা গেলেও বাস্তবতা এমনই ভয়াবহ। সেখানে ব্যতিক্রমী কারণে দুয়েকজন ভালো থাকতে পারেন। অধিকাংশ নারী নেত্রীদের জীবন-যাপন ডা. মুরাদ এর কথার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। বিভিন্ন হলের নারী নেত্রীরা পুরুষ সহকর্মীদের খুশি করার জন্য অনেক কিছুই করে। সেটা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। অসংখ্যবার এসব ঘটনা নানা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। ইডেন থেকে জাহাঙ্গীরনগর এর স্বাক্ষ বহন করে।
* বর্ণচোরা রাজনীতিবিদরা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার উদাহরণ ডা. মুরাদ। সে ৯৪-৯৫সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলো। সে দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে ঐ কলেজেই ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিল। সেখান থেকেই তার উত্থান। এই নব্য আওয়ামীলীগাররা লীগের জন্য বোঝা স্বরূপ। এটা লীগ দেরিতে বুঝতে পেরেছে। খারাপ চরিত্রের লোকদের কোন দলেই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
* কতিপয় রাজনীতিবিদ নিজেদেরকে বিখ্যাত করার জন্য ইসলামকে বিতর্কিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এর মাধ্যমে হয়তোবা বিদেশি কোন এজেন্সির নেক নজরে আসা যায়। মুসলিম হয়েও অনেক রাজনীতিবিদ ইসলামী নীতি-আদর্শকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। মুরাদ সেটারও প্রমাণ দিলেন।
* মুরাদ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।