সাধারণভাবে গীবত মারাত্মক গুনাহের কাজ। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বহু জায়গায় গীবতের নিষিদ্ধতা সুপ্রমাণিত। তবে শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী কিছু ক্ষেত্রে গীবত গুনাহের কাজ নয়। আসুন জেনে নিই সে ক্ষেত্রগুলো-
প্রথমত, যুলুম বা বে-ইনসাফির প্রতিবাদ। কোন মযলুম অথবা বেইনসাফির শিকার ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে কোন যালিম কর্তৃক সংঘটিত যুলুম বা বেইনসাফির উল্লেখ করতে পারবে এমন কোন ব্যক্তির উপস্থিতিতে যে ঐ যালিমকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবে।
দ্বিতীয়ত, কোন যুলুম বা বেইনসাফির পরিবর্তনে এবং যালিমকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে অন্যদের সাহায্য কামনা করতে তার যুলুম ও অনিষ্টতার কথা আলোচনা করা যাবে।
তৃতীয়ত, নির্দিষ্ট বিষয়ে ফতোয়া জিজ্ঞাসা। যদিও মুফতির কাছে ফতোয়া চাইতে গেলে ঐ যালিম ব্যক্তির ব্যাপারে আকারে-ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করাই ভাল।
চতুর্থত, কোন অনিষ্টকর বিষয়ে মুসলিমদের সতর্ক-সাবধান করা। যেমন কেউ কোন মুত্তাকি ব্যক্তিকে ওই দুষ্ট চরিত্রের লোক সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে যার কাছে সে নিয়মিত যাতায়াত করে কিন্তু তার চরিত্রের অন্ধকার আর অনৈতিক দিক সম্পর্কে সে জানে না।
বিবাহ এবং টাকা জমা রাখার ব্যাপারে পরামর্শের ক্ষেত্রেও এরকম করা যায়। তবুও যার সাথে পরামর্শ করা হয়েছে কোন অনিষ্টকর বিষয়ে সতর্ক করার ক্ষেত্রে তার উচিত হবে বিদ্বেষমূলক কথা কিংবা নিন্দা-অপবাদের মাধ্যমে নয় বরং এটা করতে হবে আন্তরিক উপদেশের মাধ্যমে।
পঞ্চমত, যদি কোন লোক নির্দিষ্ট কিছু উপাধি যেমন খোঁড়া কিংবা ঝাপসা চোখ হিসেবে পরিচিত হয় তাহলে ঐ নামে ডাকলে গীবত হবে না কিন্তু অন্য কোন উপায়ে যদি তাকে চেনা যায় তাহলে ঐ উপায় অনুসরণই কর্তব্য।
ষষ্ঠত, যদি কেউ জনসম্মুক্ষে অনৈতিক কিংবা অশ্লীল কাজে লজ্জিত বোধ না করে তাহলে তার এরকম আচরণের ব্যাপারে অন্য কাউকে জানানো গীবত নয়।