আপনার শিশু সন্তানকে নামাযে অভ্যস্ত করে তুলবেন যেভাবে

অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে নামাযে অভ্যস্ত করার বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই ধীরে ধীরে নামাযে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে আপনার আদরের সন্তান। অনুসরণ করুন নিচের টিপস গুলো আর নামাযের প্রতি অভ্যস্ত করে তুলুন আপনার সন্তানকে।

শিশুরা তাদের বাবা-মাকে অনুকরণ করে থাকে। এজন্য তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই ওজু ও নামায আদায়ের চেষ্টা করুন। এতে আপনাকে অনুকরণ করে তারা নামায আদায়ে উদ্বুদ্ধ হবে।

নামাযে উৎসাহিত করতে শিশুদেরকে জায়নামায কিনে দিন। নিজস্ব জায়নামায ব্যবহারে তাদেরকে উৎসাহিত করুন।

শিশুরা সবসময়ই দৃশ্যমান বস্তু ও তালিকায় প্রতিক্রিয়া দেখায়। শিশুকে নামাযে উৎসাহিত করার জন্য নামাযের সময়সূচী সম্বলিত ঘড়ি, পঞ্জিকা ইত্যাদি ঘরে ঝুলিয়ে রাখুন। এসকল দৃশ্যমান সময়সূচী আপনার শিশুকে নামাযের জন্য উৎসাহিত করবে।

আল্লাহর কথা জানানো ছাড়া শিশুকে নামায শেখানো খুব কার্যকরী নয়। শিশুকে আল্লাহর সম্পর্কে জানান এবং তাঁর অফুরান অনন্ত নেয়ামতের কিছু বিবরণ দিন। আল্লাহর এই নেয়ামতসমূহের শোকর আদায়ের জন্য নামায পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের শিক্ষা দিন।

মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে তার সকল বন্ধু-বান্ধবসহ একসঙ্গে নামায আদায়ের জন্য একত্রিত করুন। তাদেরকে নামাযের জন্য জায়নামায, টুপি, হিজাব, তসবিহ দিন। এরপর একসঙ্গে নামায আদায় করুন। নামায শেষে তাদেরকে চকলেট, ক্যান্ডি ইত্যাদি উপহার দিন এবং সম্ভব হলে নবী ও সাহাবীদের জীবনী হতে কিছু গল্প তাদের শোনান।

শিশুকে নামায আদায়ের শিক্ষায় তাড়াহুড়া না করে ধীর পদক্ষেপে অগ্রসর হোন। কখনোই আশা করবেন না, আপনার শিশু সন্তান শুরুতেই পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে ফেলবে। তবে ধীরে ধীরে সে নামাযের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে উঠবে ইন শা আল্লাহ।

_____________________________________

আমরা আরেকটি কাজ করতে পারি, নিজেদের ঘরে এক কোণে পার্টিশন দিয়ে বাচ্চা ও মহিলাদের জন্যে একটি পৃথক মিনি মসজিদ বানিয়ে নিতে পারি। এতে করে বাচ্চাদের মনে মসজিদের প্রতি ভালবাসা জন্ম নেবে। তারা বড় হয়েও মসজিদে নিয়মিত যাতায়াত করতে প্রয়াস পাবে। কারণ, ছোটকাল থেকেই তাদেরকে মিনি মসজিদে অভ্যস্ত করা হয়েছে। – সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *