ভোট শরিয়তে গুরুত্বপূর্ণ আমানত। এ আমানত রক্ষা করা প্রতিটি মুসলিমের আবশ্য কর্তব্য। জাওয়াহিরুল ফিকহ কিতাবে মুফতি মুহাম্মদ শফি রহ. এর ভোট বিষয়ে একটি ফতোয়া প্রদান করা আছে।
সেখানে তিনি বলেন, যে প্রার্থীকে আপনি ভোট দিচ্ছেন শরিয়তের দৃষ্টিতে আপনি তার পক্ষে এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, এ ব্যক্তি ইলম, আমল ও সততায় কাজটির যোগ্য এবং অন্যান্য প্রার্থীদের থেকে ভালো। শরিয়তের এ দৃষ্টিভঙ্গিটির প্রতি লক্ষ করলে নিচের ফলাফলগুলি উঠে আসবে-
এক. আপনার ভোট এবং সাক্ষ্যর মাধ্যমে যে নেতা সংসদে যাবে সে তার এ দায়িত্বপ্রাপ্ত অবস্থায় যত ভালো বা মন্দ কাজ করবে তার দায়ভার আপনার ওপরও বর্তাবে।
দুই. এ বিষয়টিও বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে যে, ব্যক্তিগত কাজকর্মে যদি কেউ কোনো ভুল করে তাহলে তার প্রভাব যেমনিভাবে সীমাবদ্ধ থাকে, সওয়াব ও শাস্তির বিষয়টিও তেমনিভাবে ব্যক্তিপর্যায়ে থাকে; কিন্তু তার জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় কাজের ক্ষেত্রে পুরো জাতি ও রাষ্ট্র প্রভাবিত হয়, তার সামান্য ত্রুটিও মাঝেমধ্যে পুরো জাতির জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য এর সওয়াব ও শাস্তিও ব্যাপক হয়ে থাকে।
তিন. সত্য সাক্ষ্য গোপন করা কুরআনের বক্তব্যমতে হারাম। তাই আপনার এলাকায় যদি কোনো সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির সৎ প্রার্থী দাঁড়ায় তাহলে তাকে ভোট না দেয়া কবিরা গুনাহের কারণ হবে।
চার. যে প্রার্থী ইসলামি আদর্শ বিরোধী কোনো দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে তাকে ভোট দেয়া মিথ্যা সাক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে; যা কবিরা গুনাহ।
পাঁচ. টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করা খুবই জঘন্যরকমের সুদ এবং এটি টাকার বিনিময়ে ইসলাম ও রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর।
আরেকজনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে দিতে নিজের দীনকে কুরবানি করা; সেটা যত টাকার বিনিময়েই হোক বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যে অন্যের জীবন সাজিয়ে দিতে নিজের দীনকে বিক্রি করে দেয়।
সুতরাং প্রতিটি ভোট ও নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আল্লাহ আমাদের ইনসাফের দৃষ্টিতে সত্য ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার তৌফিক দিন। আমিন।
( সূত্র : জাওয়াহিরুল ফিকহঃ ২/ ৩০০ )
গনতন্ত্রের ভোট দেওয়া হারম এটাই চুরান্ত
এটা থেকে আপনি এটা বুজেছেন???? আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো বুজ দান করুক
আলহামদুলিল্লাহ
জাযাকাল্লাহ খাইর
এটা থেকে আপনি এটা বুজেছেন???? আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো বুজ দান করুক
জাযাকাল্লাহ খাইর