রোযা রেখে জোরপূর্বক স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রীর রোযার বিধান কী?

সুওয়াল 

আসসালামু আলাইকুম। হযরত রমজানের রোজা রেখে স্ত্রীকে জোর পূর্বক সহবাস করার দারা রোজার কি বিধান এবং সেটা কি শুধু আমার জন্য হবে নাকি উভয়ের জন্য? আর কিভাবে তা পালন করতে হবে সবিস্তারে জানালে কৃতজ্ঞ হতাম। একজন কে জিজ্ঞাস করায় তিনি বলেন ৬০দিন রোজা রাখতে হবে। হযরত এ ছাড়া কি কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই?

জাওয়াব

 

স্ত্রী রাজি না থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক যদি স্বামী সহবাস করে, তাহলে স্ত্রীর রোযা ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু তার উপর শুধু পরবর্তীতে ক্বাযা রাখা আবশ্যক হবে কাফফারা দিতে হবে না।

কিন্তু স্বামীর উপর ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই আবশ্যক হবে।

কাফফারা হল, লাগাতার ষাট দিন রোযা রাখতে হবে। মাঝখানে একদিনও ক্বাযা করা যাবে না। ক্বাযা হলে আবার প্রথম থেকে ষাটটি রাখতে হবে।

যদি কোন ব্যক্তি রোযা রাখতে না পারে বয়সের কারণে বা অসুস্থতার কারণে তাহলে ষাটজন মিসকিনকে দুআ বেলা খানা খাওয়াতে হবে। একদিনের খানা সদকায়ে ফিতর পরিমাণ টাকা।

রোযা রাখতে সক্ষম ব্যক্তি মিসকিনকে খানা খাওয়ালে কাফফারা আদায় হবে না।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: هَلَكْتُ، قَالَ: «وَمَا أَهْلَكَكَ؟» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتِقْ رَقَبَةً» قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: «صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ» قَالَ: لَا أُطِيقُ، قَالَ: «أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا

অনুবাদ- হযরত আবূ হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা: এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূল সা: জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাকে কে ধ্বংস করেছে? সাহাবী বললেন, রমজানে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। রাসূল সা: তাকে বললেন, তাহলে এর বদলে একটি গোলাম আজাদ কর। সাহাবী বললেন, আমি এতে সক্ষম নই। নবীজী সা: বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখ। সাহাবী বললেন, আমি এতেও সক্ষম নই। তখন রাসূল সা: বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াও। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৭১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৯৪৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১১০৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৯৪৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৫২৭}

من جامع عمدا فى أحد السبيلين فعليه القضاء والكفارة، ولا يشترط الإنزال فى المحلين، كذا فى الهداية، وعلى المرأة مثل ما على الرجل إن كانت مطاوعة، وإن كانت مكرهة فلعيها القضاء دون الكفارة، وكذا إذا كانت مكرهة فى الابتداء ثم طاوعته بعد ذلك (الفتاو الهندية-1/208، الفتاوى التاتارخانية-3/393

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

 

রোযা রেখে জোরপূর্বক স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রীর রোযার বিধান কী? 2

One thought on “রোযা রেখে জোরপূর্বক স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রীর রোযার বিধান কী?

  1. প্রশ্নঃ
    ৬০রোযার সদকায়ে ফিতর পরিমান কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে, টাকাকি ৬০ জনকে পৃথকভাবে দিতে হবে; নাকি ৬০ এর কম বা বেশি মানুষকে দেয়া যাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *