মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দীপী
মানব দেহের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিসের নাম হল ‘নফস’। যা দেহ ও রুহের মধ্যে ক্রিয়া সম্পাদনকারী। যা চোখে দেখার বস্তু নয়, অনুভবেই তার অস্তিত্ব। যা মানবদেহে ‘আমি’ রূপে পরিচিত।
এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, “অবশ্যই সফলকাম হয়েছে সে ব্যক্তি, যে নিজেকে (নফস বা আত্মা) পরিশুদ্ধ করেছে। আর বিফল হয়েছে সেই ব্যক্তি, যে নিজেকে পাপাচারে কলুষিত করেছে” (সুরা আশ সামস: ০৯-১০)
রাসূল সা. বলেছেন, “যে তার নফসকে চিনলো, সে তার রবকে চিনলো”।
নফসই হল মানব দেহের সমস্ত কিছুর মূল।
আজ আমরা জানব কিভাবে খারাপ নফস থেকে আমরা নিজেদের হেফাজত করে খারাপ সকল কাজ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি।
১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে।
২. দিনে ম্যাক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবে না। ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়।
৩. প্রতি-বেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন লস আছে? বলা কি আবশ্যিক? উত্তর না হলে ওই কথা বলার দরকার নাই।
৫. সকাল সন্ধ্যার জিকির-আযকার করুন।
৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করতে হবে।
৭. প্রতিদিন নিয়মিত কুরআন পড়ার অভ্যাস করতে হবে। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা – যেকোনো পরিমাণ।
৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে।
৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করা। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা।
১০. দৃষ্টি অবনত রাখা। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) কম ব্যবহার করা।
১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গেট নেয়া। এটা প্রতিদিন এক আয়াতও হতে পারে৷ কিন্তু টার্গেট পুরা করতে হবে। এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৩. বিশেষকরে রাতে ভরপেট খাওয়া পরিহার করতে হবে৷
১৪. রাতে ঘুমানোর পূর্বে ওযু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকুন।
১৫. তাহাজ্জুদ সালাতের অভ্যাস করুন নিয়মিত। ইনশাআল্লাহ রাব্বে কারীম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দিবেন।
আলহামদুলিল্লাহ, দোয়া করেন যাতে মানতে পারি
জাযাকাল্লাহ খাইর
মাশাল্লাহ খুব সুন্দর কথা বলছেন
জাযাকাল্লাহ খাইরান