আখতারু জ্জামান
আমি সে সব বোনদেরপক বলছি যারা সমাজে পাশ্চাত্য দেশের সাংস্কৃতিক কে আধুনিকতার ছোঁয়া, নিজেদের স্ট্যাটাস, নিজেদের কে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্ট করছেন। তারাও নিজেদের তৈরি ফাদে নিজেদেরাই জড়িয়ে পড়ছেন। যারি পরিণতি সারা জীবন তাকেই ভোগ করতেই হচ্ছে। এবার আসছি মূল কথায়। গত বছর সম্ভবত আগস্ট মাসের শেষের দিকের ঘটনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। সম্পূর্ণ আধুনিকতায় বিশ্বাসী আমার পরিচিত একটি ছেলের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে তাদের সখ্যতা একটু গাড় হয় তারা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে একান্তে সময় কাটাতে থাকে বিভিন্ন পার্কে, রেস্তোরায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। যাই হোক, একদিন মেয়েটি আর ঐ ছেলেটি ভার্সিটির ঝর্ণা দেখতে যায় একটু নির্জন এলাকা, তাছাড়া সন্ধ্যায় জায়গাটি একেবারে জনশূন্য হয়ে পরে। শুরু হয় বখাটেদের আনাগোনা। তারা সুযোগ পেলে ছিনতাই, রাহাজানি করে। তারা ওদের দুজনকে একত্রে ঘোরাফেরা করতে দেখে ওদেরকে আটকায়। এরপর ছেলেটির মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করে এবং মেয়েটিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়।
পরবতর্ীতে আমরা তাকে উদ্ধার করি। তারা দুজনই এখনও ভার্সিটিতে পড়ে। ছেলেটি সুস্হ হয়ে এখন দিব্যি হেসে খেলে তার জীবন কাটাচ্ছে। আর মেয়েটি লাঞ্চনার জীবন যাপন করছে। ভার্সিটিতে সবাই তাকে অন্য চোখে দেখে, এবং আড়ালে আবডালে তাকে ধিক্কার জানায়, যেটা সে নিজেও অনুভব করতে পারে। সামান্য আনন্দের জন্য তার চরিত্রের উপর আজীবনের জন্য একটা কলঙ্কের দাগ পড়ে গেল। সুতরাং বোনেরা আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুন! বুঝুন কিসে আপনাদের মর্যাদা, কিসে আপনাদের সম্মান। তাহলে বুঝতে পারবেন মহান রাব্বুল আলামিন নারীদের যে মর্যাদা দিয়েছেন প্রকৃত সেই মর্যাদা নারীদের শ্রেষ্ট মর্যাদা।