পর্দা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে : আল্লামা বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, পৰ্দা ইসলামের অন্যতম একটি ফরজ বিধান। একজন নারীর ইজ্জত আবরু রক্ষায় শরয়ী পৰ্দার বিকল্প নেই। একজন নারী শরয়ী পৰ্দা মত চললে সমাজে ইভটিজিং, ধৰ্ষণ, নারী নিৰ্যাতন ইত্যাদির ন্যায় অপরাধ ও অনৈতিকতা থাকবে না, সমাজ হবে শান্ত, সুশৃঙ্খল।

গত রোববার গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে “হাত মোজা, পা মোজা, নাক-চোখ ঢেকে এটা কি? জীবন্ত টেন্ট (Tent- তাঁবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানো, এটার তো কোনো মানে হয় না” নারীদের প্রসঙ্গে প্ৰধানমন্ত্ৰীর দেয়া এ বক্তব্যের জবাবে আজ (১৪ ই জুন) শুক্ৰবার সংবাদ মাধ্যমে প্ৰেরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, একজন নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে দুই হাত, দুই পা খোলা রাখার অবকাশ নেই।

আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, পবিত্ৰ কুরআন শরীফের ৭ টি আয়াত এবং প্ৰায় ৭০ টির মত হাদীস দ্বারা পৰ্দার বিধান প্ৰমাণিত, এসব আয়াত ও হাদীস দ্বারা পৰ্দার বিধান প্ৰমাণিত হওয়ার পাশাপাশি সৰ্ব প্ৰকারের বেপৰ্দা হারাম হওয়াও সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। সুতরাং শরয়ী পৰ্দা নিয়ে রাষ্ট্ৰের সৰ্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত প্ৰধানমন্ত্ৰীর মুখে এমন আপত্তিকর মন্তব্য দুঃখজনক। ৯০% মুসলমানের দেশে পৰ্দা সম্পৰ্কে দেয়া এমন বক্তব্যে কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

একজন মুসলমান ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কোনভাবেই শরীয়তের বিধান নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে পারে না। তাই শরীয়তের অন্যতম বিধান পৰ্দা সম্পৰ্কে দেয়া এ বক্তব্য প্ৰত্যাহার করে মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে তাওবা করা উচিত।

পৰ্দাহীনতার কারণেই আজ নারী নিৰ্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, শিশু থেকে শুরু করে সত্তর বছরের বৃদ্ধাও আজ নিৰ্যাতনের স্বীকার হচ্ছে, শুধু নিৰ্যাতন নয়; নিৰ্যাতনের পর নিৰ্মমভাবে হত্যাও করা হচ্ছে, এর মূল কারণ হলো বেপৰ্দা, নিৰ্লজ্জতা ও বেহায়াপনা।

শরয়ী পৰ্দা নারীর ভূষণ, ইজ্জত আবরু রক্ষার অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু নারী সমাজ আজ পশ্চিমাদের তালে তাল মিলিয়ে চলাফেরা করে নিজের ইজ্জত আবরু বিনষ্ট করছে, মানবরূপী নরপশু লম্পটদের ইভটিজিং এর স্বীকার হচ্ছে। তাই পৰ্দা সম্পৰ্কে আপত্তিকর মন্তব্য নয় বরং শালীন পোশাক পরিধান, শরয়ী পৰ্দা ও ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার প্ৰতি উৎসাহ প্ৰদান করে ইভটিজিং, ধৰ্ষণ ও নারী নিৰ্যাতন মুক্ত সমাজ গড়তে সকলের প্ৰতি আহ্বান জানান হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

ইন্সাফ

One thought on “পর্দা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে : আল্লামা বাবুনগরী

  1. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমিপে,,,,,,,,,,
    প্রশ্ন??❓

    সংবাদ সমন্মেলনে এক নাস্তিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন হাত মোজা পা মোজা বোরকা পড়ে ট্রেনের মত চলা ফেরার কোন মানে হয় না।
    কথাটির আসল অর্থ বা সহজে বোঝার জন্য এভাবে বলা যায় যে পর্দার কোন প্রয়োজন নেই।

    আপনাকে আদবের সাথে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই,, আর এর উত্তর শুনার জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ৯২%আহত মুসলিমরা।

    এক, আপনি ক্ষমতায় আসার আগে অর্থাৎ নির্বাচনের আগ মূহুর্তে ইসলাম কে কেন ব্যবহার করলেন? কেনইবা আপনি জাতিকে দেখালেন যে আপনি ইসলাম প্রেমীক পর্দাশীল নারী? আপনি ক্ষমতায় আসার পূর্বে কিভাবে পর্দা কে সম্মান করেছেন আর ব্যবহার করেছেন তা জাতির কাছে সৌর্যের আলোর ন্যায় স্পষ্ট। এখন আপার গুমটা কোথায়? এখন কেন আপনার অবস্তান গুমটার বিরুদ্ধে? জাতি জান্তে চায়।
    দুই,
    আপনি প্রতিস্রোতি দিয়েছিলেন আপনি কখনো ইসলাম বিদ্বেষী কোন কাজ করবেন না অথচ পর্দা এটা ইসলামী বিধানাবলীর মধ্য হতে অন্যতম একটি বিধান আর সেটা কে আপনি একজন মুসলিম হয়ে কিভাবে কট্যাক করতে পারলেন? সেটা কি আল্লার আইন/ বিধান লঙ্গন হয়নি? এটা অব্যশই ইসলাম বিদ্বেষী কথা আপনি মেহেরবানী করে কথাটি উড্ড করুন এতে করে খুশি হবেন মহান আল্লাহ শান্তি পাবে গুটা মুসলিম উম্মাহ।
    তিন,
    আপনি কি মনে মনে এটাই ভাবছেন যে ইসলাম নারীকে যথার্থ সম্মান দেয় নাই? বা ইসলাম যে পজিসন সম্মান নারীকে দেয় নাই তা আপনি দিয়েছেন???

    চাঁর
    আপনি সৌদিতে গেলেন কালো বোরকা গুমটা দিয়ে অথচ সেই পোষাকটা কেই
    আপনি কট্যাক করলেন এটা পড়ার কোন মানে হয় না তাহলে আপনি পড়লেন তার কি মানে হতে পারে? জাতি জান্তে চায়।
    পাঁচ
    একজন বিধর্মী সরকার জাসিন্ডা আরডার্ন
    মুসলিমদের সম্মানে পর্দা /হিজাব পড়েছিল
    ‌আর একজন মুসলমান সরকার হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলা খুবেই লজ্জাজনক ব্যাপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *