হেফাজতে ইসলামের আমীর ও দারুল ইসলাম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, দেশে সহশিক্ষার কারণে অনেক গুনাহ হচ্ছে। এই কারণে দেশে শান্তি নেই। সহশিক্ষার কারণে দেশে শান্তি নয়, শুধু অশান্তিই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি সহশিক্ষার বিপক্ষে বলেছি কিন্তু অনেকে না বুঝে আমাকে নিয়ে বদনামি করছে। তারা বলছে যে, আমি নাকি মেয়েদেরকে লেখাপড়া করার জন্য বাধা দিচ্ছি। আমি মেয়েদের লেখাপড়ায় বাধা দিচ্ছি না। আমি ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে লেখাপড়ার বিপক্ষে বলছি। আমি সহশিক্ষার বিরুদ্ধাচরণ করছি।
শুক্রবার বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য তিনি আল্লামা শফী এসব কথা বলেন।
পত্র-পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মাস্টাররাও ছাত্রীদের সঙ্গে কুকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। সহশিক্ষায় মেয়েদের পোশাকও অনেকটা ছেলেদের মতো। সেখানে ছেলে-মেয়ে বন্ধুত্ব করছে, ঘোরাফেরা করছে- আরও কত কি করছে, তা আমার আর বলার দরকার নেই। এই সহশিক্ষার মাধ্যমে যে যিনা হচ্ছে, তাতে করে আপনাদের (অভিভাবক) ব্যবসায় কিভাবে উন্নতি হবে? সহশিক্ষার মাধ্যমে দেশে যে অনেক গুনাহ হচ্ছে, মহান আল্লাহ’র নাফরমানি হচ্ছে-আমি শুধু এই কথাই বলেছি। অথচ পত্রিকায় আমার নামে অন্যটা লিখে বদনামি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ মেয়েরা বোরকা পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় না। তারা বোরকা ছিঁড়ে ফেলে। এত বড় গুনাহ যে দেশে চলছে সে দেশে অশান্তি না এসে কি শান্তি আসবে?!! অথচ আপনারা এগুলো নিয়ে কিছু বলছেন না।
তিনি মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে আরো বলেন, সহশিক্ষার মাধ্যমে অনেক বড় বড় গুনাহ হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার নাফরমানি হচ্ছে। এজন্য দেশে শান্তি নেই। তাই আপনারা সহশিক্ষা করাবেন না। মহিলাদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেখানে মহিলা শিক্ষক থাকবে। একইভাবে পুরুষদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে পুরুষ শিক্ষক থাকবে- এভাবে লেখাপড়া করা যেতে পারে। এই কথাটাই আমি বললাম। আর এটা কেন বললাম এজন্য আমার উপর প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন শুরু হয়েছে। তারা আমার কথা বোঝেন নাই। আমি বলি একটা আর তারা আমার উপর অপবাদ দেয় আরেকটা।
সভায় তিনি দেশে চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে দ্বীনি দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। একই দিন গত বছরের দাওরায়ে হাদীস উত্তীর্ণ দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে পাগড়ী সনদ প্রদান করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ব আল্লামা আরশাদ মাদানীর সাহেবজাদা মাওলানা আযহারুল হাসান মাদানী।
অন্যান্যদের মধ্যে জামিআর সিনিয়র মুহাদ্দিস ও সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুহাদ্দিস মুফতী জসিমুদ্দীন, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা মুফতী আব্দুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা মুফতী কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, সহকারী শিক্ষাসচিব মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা হাফেয নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল বাছেত খান , মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা লোকমান, মাওলানা নোমান, মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা মুফতী শামসুদ্দীন জিয়া, মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, মাওলানা সলীম উল্লাহ, মাওলানা মুফতী আহমুদুল্লাহ, মাওলানা মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আযীযুল হক আলমাদানী, মওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী দা.বা., মাওলানা ইয়াহইয়া দা.বা., মাওলানা আবু আহমদ, মুফতী হুমায়ুন কবীর, মাওলানা ফোরকান আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। – মুফতি সাঈদ আল হাসান
মাসিক আদর্শ নারীর পাঁচমিশালি বিভাগ টা কই?খুজে পাই না কেন?
পাঁচ মিশালি বিভাগ বলতে কি সবুজ কুঁড়ি বিভাগ বোঝাচ্ছেন? বিভাগটি এখনো যুক্ত হয়নি।
কবে হবে??
দেরি হবে অনেকটা। কাজ গুছিয়ে তারপর