নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের ছমির হাট বাজারে এক অগ্নিকাণ্ডে ওই বাজারের ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও অক্ষত রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফের কয়েকটি কপি।
গত বুধবার (০৭ নভেম্বর) ভোর ০৪টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পুর্ব চরবাটা ইউনিয়নের ছমির হাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ১০টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাজার ব্যাবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্থরা ।
ভষ্মিভূত স্তুপ থেকে দোকান মালিকরা হঠাৎ একটি কোরআন শরিফ অক্ষত দেখেতে পান। দ্রুত তারা তা উদ্ধার করে স্থানীয় মসজিদের সামনে নিয়ে আসলে লোকজন অক্ষত কোরআন শরিফ দেখতে ভিড় করেন। সর্বপ্রথম এ ছবিটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, আগুনের স্তুপ থেকে লোকজন ভাঙ্গারি মাল খুজতে গিয়ে হঠাৎ তারা একটি বই এর মত দেখেতে পান। দ্রুত তা তুলে নিয়ে আসলে লোকজন কোরআন শরিফ জানতে পেরে স্ব-যত্নে তুলে নিয়ে রাখেন এবং অক্ষত কোরআন শরিফ দেখতে লোকজনের ভিড় থেকে তিনি এ ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলে দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য ক্ষতিগ্রস্থ দোকান গুলোর মধ্যে একটি পাঠাগার,একটি রেস্টুরেন্ট,একটি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী দোকান,একটি বাইসাইকেলের দোকান, একটি ক্লথ স্টোর, একটি সেলুন দোকান, আগুনের সুত্রপাতকারী চা দোকান এবং স্থানীয় মসজিদেও ছমির হাট জামে মসজিদের ২টি দোকান রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। মসজিদের দোকানে ওই মসজিদের ইমাম থাকতেন । তার পঠিত কোরআন এই অক্ষত কোরআন বলে ধারনা করা হচ্ছে।