সাদ সাহেব দ্বীন ও ঈমানের ব্যাপারে বয়ান ও বর্ণনায় যে পথ অবলম্বন করেছেন, তা বড়ই মারাত্মক গোমরাহীপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। তার সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হলো–তিনি দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে লা-পরোয়াভাবে মনগড়ারূপে বর্ণনা করতে থাকেন। সেই কাজটি তিনি তিনভাবে করেছেন :–
।। এক ।।
সাদ সাহেব দ্বীনের ব্যাপারে অপরিপক্কতা বা কম ইলমের কারণে কিংবা ইলমী বিচক্ষণতার অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে না বুঝে কিংবা কম বুঝে জুমহুর উলামায়ে উম্মতের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের নিকট সর্বসম্মতক্রমে সহীহ হিসেবে প্রাধান্যপ্রাপ্ত রাজেহ মতকে প্রত্যাখ্যান করে অন্যকোন মারজূহ বা বাতিল মতকে গ্রহণ করেছেন এবং তাকেই সঠিক মত বলে বয়ানে পেশ করেছেন। যদ্দরুণ সাধারণ মানুষ তার সেই বয়ান শুনে বিভ্রান্ত হয়ে জুমহুর উলামায়ে কিরামের সহীহ কথাকে ভুল বা পরিত্যাজ্য সাব্যস্ত করে বিপথগামী হয়েছেন।
যেমন, পবিত্র কুরআনের সূরাহ কাহাফের وَکَلۡبُہُمۡ بَاسِطٌ ذِرَاعَیۡہِ بِالۡوَصِیۡدِ আয়াতে বর্ণিত کَلۡب শব্দটির জুমহুর মুফাসসিরীনে কিরামের নিকট অর্থ হলো ‘কুকুর’। সে জন্য তা “আসহাবে কাহাফের কুকুর” বলে সর্বত্র প্রসিদ্ধি রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ ব্যতিক্রম বর্ণনায় তাকে ‘বাঘ’ বলে মন্তব্য করেছেন–যা জুমহুর উলামায়ে কিরামের নিকট গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। কিন্তু সাদ সাহেব সরাসরি জুমহুর উলামায়ে কিরামের সেই প্রসিদ্ধ ও সহীহ হিসেবে রাজেহ বা প্রাধান্যযোগ্য বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করে তাকে “আসহাবে কাহাফের কুকুর” বলতে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন এবং মারজূহ-বাতিল মতকে গ্রহণ করে তাকে “আসহাবে কাহাফের বাঘ” বলে বর্ণনা করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন–
يہ شیر ہے , كتا نہیں – كتا نہیں , بلكہ شیر ہے – کلاب درندوں کو کہتے ہیں , شير كو کہتے ہیں – اصحاب کہف كا كتا نہیں ہے , اصحاب کہف كا شیر ہے يہاں , اسد
“সেটা বাঘ, কুকুর নয়। সেটা কুকুর নয়, বরং সেটা বাঘ। কিলাব হিংস্র প্রাণীকে বলা হয়, বাঘকে বলা হয়। আসহাবে কাহাফের কুকুর নয়। এখানে আসহাবে কাহাফের বাঘ উদ্দেশ্য। আসাদ উদ্দেশ্য।”
ইন্টারনেটের ইউটিউব থেকে সাদ সাহেবের উক্ত বক্তব্য শুনতে পারেন। সেই সাথে বিভিন্ন মুফাসসিরগণের বর্ণনাও রয়েছে সেখানে। তা পেতে নিম্নোক্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন–
https://www.youtube.com/watch?v=cs2z0EjktHw
কত বড় বেইনসাফী যে, জুমহুরের সর্বসম্মত সহীহ মতকে সরাসরি অস্বীকার করে অগ্রহণযোগ্য-মারজূহ মতকেই একমাত্র সঠিক বলে দিলেন। অথচ তার বর্ণনাকৃত সেই ভিন্নমতকে গ্রহণ করলেও জুমহুরের মতকে তো অস্বীকার করতে পারেন না। অন্ততপক্ষে সম্ভাবনার কাতারে রেখে “এটাও হতে পারে” রূপে সে কথাকে ব্যক্ত করতে পারতেন। কিন্তু সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তিনি সেখানে সহীহরূপে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জুমহুরের সর্বসম্মত মতকে একেবারে অস্বীকার করে দেন।
বলা বাহুল্য, সাধারণভাবে کَلۡب অর্থ কুকুরই বুঝানো হয়, বাঘ বুঝানো হয় না। আরবী ভাষায় এটাই প্রসিদ্ধ। তেমনিভাবে পবিত্র কুরআনে তাকে কুকুর বলেই সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন, বাল‘আম ইবনে বাউরার করুণ অবস্থাকে বুঝানোর জন্য فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الْكَلْبِ إِن تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَث আয়াতে کَلۡب শব্দ ব্যবহার করে তাকে কুকুর বুঝানো হয়েছে এবং সেই স্বার্থান্ধ ভণ্ড দরবেশকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আর এ প্রেক্ষিতে সেখানে کَلۡب -এর যে হাঁপানোর স্বভাবকে বর্ণনা করা হয়েছে, তা একমাত্র কুকুরেরই হয়, বাঘের হয় না। তাই সেখানে کَلۡب অর্থ কুকুরই হবে, বাঘ হতেই পারে না।
অপরদিকে বাঘ বুঝাতে ذِئْب শব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন, সূরাহ ইউসুফে হযরত ইউসুফ (আ.)কে বাঘে খেয়েছে বলে তার ভাইদের উক্তিকে বর্ণনা করতে গিয়ে وَتَرَكْنَا يُوسُفَ عِندَ مَتَاعِنَا فَأَكَلَهُ الذِّئْبُ আয়াতে বাঘকে ذِئْب শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে, کَلۡب শব্দ দ্বারা নয়।
কিন্তু দুঃখজনক যে, সাদ সাহেব সেসব বর্ণনার দিকে ভ্রক্ষেপই করেননি। বরং তিনি এ বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মনগড়ারূপে ব্যক্ত করে বিতর্কিত পথ তৈরী করেছেন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। অধিকন্তু کَلۡب দ্বারা মহান আল্লাহ কুকুরকে বুঝালে সাদ সাহেবের তাকে বাঘ বলার দ্বারা মহা্ন আল্লাহর কালামকেই বিকৃত করা হচ্ছে কিংবা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করা হচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ)
।। দুই ।।
সা‘দ সাহেব কোন কিতাবে কোন বিষয় পড়েছেন। কিন্তু মনগড়াভাবে তাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেছেন। এরপর তাকে এমনভাবে বিকৃতরূপে স্বীয় বয়ানে পেশ করেছেন যে, তার সেই বরাত-সূত্রের সাথে কোন সম্পর্কই থাকেনি, বরং তা ভিন্ন মতবাদের রূপ নিয়েছে।
যেমন, মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত মূসা (আ.)-এর তাওরাত গ্রহণের জন্য তূর পাহাড়ে গমন এবং সেখানে ৪০দিন অবস্থান ও ইবাদত-বন্দেগী করে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ ও সরাসরি তাঁর সাথে কথোপকথন, অতঃপর তাওরাত প্রাপ্তির বিষয়টি হযরত মূসা (আ.)-এর মহান মর্যাদাকেই বুঝায়। আর এ প্রেক্ষিতে বনী ইসরাঈলের সব ইন্তিজাম সম্পন্ন করে সেখানে তাঁর গমনকে তড়ান্বিত করা বা তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া প্রশংসনীয়ই বটে। তাইতো মহান আল্লাহ কথপোকথনের শুরুতেই সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে তাঁর সান্নিধ্য লাভের অধিক আশার বিষয়টি তাঁর জবাবের দ্বারা সামনে এনেছেন। অতঃপর ইতোমধ্যে সামেরীর প্ররোচনায় বাছুর পূজার দ্বারা বনী ইসরাঈলের অধিকাংশের গোমরাহ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মহান আল্লাহ মূসা (আ.)কে অবহিত করেন এবং সেটা তার বনী ইসরাঈলের প্রতি বিশেষ পরীক্ষা ছিলো বলে উল্লেখ করেন।
তবে কোন কোন তাফসীরকারক মূসা (আ.)-এর সেই ত্বড়া করাকে সামেরীর বাছুর বানিয়ে বনী ইসরাঈলের গোমরাহীর কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেই তাফসীর সঠিক নয়–যা নির্ভরযোগ্য তাফসীর দ্বারা এবং এ সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের অন্যান্য আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে জানা যায়।
কিন্তু তবুও কোন তাফসীরেই মহান আল্লাহর নির্দেশে তাওরাত লাভের জন্য হযরত মূসা (আ.)-এর তূর পাহাড়ে ৪০ দিন অবস্থান করে ইবাদত করাকে বনী ইসরাঈলের গোমরাহ হওয়ার জন্য দায়ী বলা হয়নি। আর তা সে জন্য কী দায়ী হবে–যেখানে মহান আল্লাহর নির্দেশেই তা করা হয়েছে।
অথচ অতীব দুঃখের বিষয় যে, সাদ সাহেব সেই অনির্ভরযোগ্য ও বাতিল মতের উপর ভিত্তি করে প্রথমত মূসা (আ.)-এর ত্বড়া করার বিষয়কে বনী ইসরাঈলের গোমরাহীর কারণ বর্ণনা করার পর আরো আগে বেড়ে সম্পূর্ণ মনগড়াভাবে মূসা (আ.)-এর তূর পাহাড়ে ৪০ দিনের অবস্থান ও ইবাদতকে বনী ইসরাঈলের গোমরাহীর জন্য দায়ী করেন। (নাউযুবিল্লাহ)
এক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, তার কারণে হিসেবে মূসা (আ.)-এর তড়া করার বিষয়কে কোন কোন তাফসীরকারক অগ্রহণযোগ্যভাবে বর্ণনা করলেও হযরত মূসা (আ.)-এর ৪০ দিন দাওয়াত ছেড়ে ইবাদতের মশগুল হওয়াকে কেউ-ই বনী ইসরাঈলের গোমরাহীর কারণ বলেন নি। এটা কোন তাফসীরের কিতাবেই নেই। কিন্তু সা‘দ সাহেব মনগড়াভাবে সেই জঘন্য অপবাদ হযরত মূসা (আ.)-এর আরোপ করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। এ সম্পর্কে সাদ সাহেব বলেন–
الله نے فرمايا اے موسي ہم نے تمہارے بيجهيےتمہاري قوم كو فتنه اور آزمائيش ميں ڈال ديا – علماء نے لكها ہے وجہ يہ ہوئي كہ موسي عليه السلام بجائے قوم كو ساتھ لے كر آنے كے قوم كو چھور كر آ گئيے, 40 رات موسي عليه السلام نےعبادت میں گذاري , الله كي شان کہ چھ لاکھ بني اسرائيل جو سب كے سب ہدايت پر تهے ان میں سے 5 لاكھ 88 ہزار چاليس رات كي چھوٹي سے مدت میں گمراه ہو گئے – صرف 40 رات موسي عليه السلام نے دعوت الي الله كا كام نہیں كيا (میں يہ سمجھ كر كہ رہا ہون) صرف 40 رات موسي عليه السلام نے دعوت كا عمل نہیں كيا , 40 رات موسي عليه السلام عبادت میں مشغول رہےاور اس چاليس رات كے عرصه میں 5 لاكھ 88 ہزار بني اسرائيل سب كے سب بچھڑے كي عبادت پرجمع ہو كئے –
“আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, হে মূসা! আমি তোমার পিছে তোমার কওমকে ফিতনা ও পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিয়েছি। আলেমগণ লিখেছেন, কারণ এটা হয়েছে যে, মূসা (আ.) স্বীয় কওমকে সাথে নিয়ে আসার পরিবর্তে কওমকে ছেড়ে চলে এসেছেন, ৪০ রাত মূসা (আ.) ইবাদতে কাটিয়েছেন, আল্লাহর শান যে, ছয় লক্ষ বনী ইসরাঈল যারা সকলে হিদায়াতের উপরে ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার লোক ৪০ রাতের ছোট মেয়াদের মধ্যে গোমরাহ হয়ে গিয়েছে। শুধু ৪০ রাত মূসা (আ.) দাওয়াত ইলাল্লাহর কাজ করেননি, (আমি বুঝে বলতেছি,) শুধু ৪০ রাত মূসা (আ.) দাওয়াতের কাজ করেননি, ৪০ রাত মূসা (আ.) ইবাদতের মধ্যে মশগুল থাকেন এবং ৪০ রাতের এ সময়ে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার বনী ইসরাঈল সকলে বাছুরের উপাসনায় একত্রিত হয়ে গিয়েছে।”
সাদ সাহেবের উক্ত বয়ান মূল সূত্রসহ ইন্টানেটে দারুল উলূম দেওবন্দের ফাতওয়া সাইটের নিম্নোক্ত লিঙ্কে পাবেন–
http://www.darulifta-deoband.com/home/ur/Dawah–Tableeg/148976
হযরত মূসা (আ.)-এর উপর নবুওয়াতী দায়িত্ব পালনে অবহেলার মিথ্যা তুহমত আরোপের এটা সাদ সাহেবের কত বড় মারাত্মক ধৃষ্টতা! হযরত মূসা (আ.) যিনি জলীলুল ক্বদর রাসূল এবং উলুল আয্ম নবীগণের অন্তর্ভুক্ত, পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ যাঁর সুচারুরূপে নবুওয়াতী দায়িত্ব পালনের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন, অথচ সাদ সাহেব সেই মূসা (আ.)-এর শানে ৪০ রাত দাওয়াতের আমল ছেড়ে ইবাদতের মধ্যে মশগুল হয়ে বনী ইসরাঈলের ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষের গোমরাহীর কারণ হওয়ার মতো মারাত্মক অপবাদের কালিমা লেপন করেছেন! (নাউযুবিল্লাহ)
অধিকন্তু সাদ সাহেব এখানে মূসা (আ.)-এর উপর যে অপবাদ দিয়েছেন, তার প্রারম্ভে বলেছেন যে, “আলেমগণ লিখেছেন”। কিন্তু বাস্তবতা হলো–কোন আলেম বা কোন তাফসীরকারক উক্ত আয়াতের এ তাফসীর করেননি তথা হযরত মূসা (আ.) ৪০ রাত দাওয়াতের আমল ছেড়ে ইবাদতের মধ্যে মশগুল হওয়ায় বনী ইসরাঈলের ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষ গোমরাহ হয়েছে–এমন কথা বলেননি। বরং এটা সাদ সাহেবের মনগড়াভাবে বানানো গর্হিত কথা–যা মূসা (আ.)-এর উপর নবুওয়াতী দায়িত্ব পালনে ক্রটির বদনাম দিয়ে তাঁর সম্মান ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করার নামান্তর। (নাউযুবিল্লাহ)
।। তিন ।।
সাদ সাহেব জুমহুর উলামায়ে উম্মতের মত ও পথের বিপরীতে বিভিন্ন বাতিল ফিরকার অনুরূপ চিন্তাধারা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার কথাবার্তার মধ্যে সেই বাতিলপন্থীদের ন্যায় কথা বা সে ধরনের ভ্রান্ত মতবাদ স্থান পেয়েছে। যেমন, তিনি এক বয়ানে বলেন–
“কুরআনে কারীম বুঝে পাঠ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ওয়াজিব। যে এই ওয়াজিব ছেড়ে দিবে, তার ওয়াজিব ছেড়ে দেবার গুনাহ মিলবে।”
সাদ সাহেবের এ ভ্রান্ত কথার রেফারেন্সের জন্য ইন্টারনেটে দারুল উলূম দেওবন্দের নিম্নোক্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন–
http://www.darulifta-deoband.com/home/ur/Dawah–Tableeg/148977
এ মতবাদটি মওদূদীপন্থী ও অন্যান্য ভ্রান্ত মতাদর্শের লোকদের অনুরূপ। তারা বলে থাকেন, “কুরআন শরীফ বুঝে না পড়লে কোন ফায়দা নেই।” অথচ শরয়ী দলীলের দ্বারা প্রমাণিত বিষয় হলো–কুরআন শরীফ বুঝা ভিন্ন একটি কর্তব্য। কিন্তু শুধু কুরআন তিলাওয়াতও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। যাতে ছাওয়াব লাভ হবে। তাই অর্থ না বুঝে কুরআন তিলাওয়াত করলেও তাতে হাদীসে বর্ণিত প্রতি হরফে দশ নেকীর ফজীলত লাভ হবে। আর বুঝে পড়লে তো তার মর্তবা আরো বাড়বে–তা বলাই বাহুল্য।
সুতরাং সাদ সাহেবের কথা যে, কুরআন শরীফ বুঝে পাঠ না করলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে, তা সঠিক নয়। যেটা ছাওয়াবের কাজ বলে পরিগণিত হয়েছে, তা আবার গুনাহর কাজ হয় কী করে! (নাউযুবিল্লাহ)
এভাবে সাদ সাহেব লাগামহীন বক্তব্যের দ্বারা সমাজে বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তি ও মারাত্মক গোমরাহী সৃষ্টি করেছেন। এরূপ আরো প্রায় অর্ধশত সাদ সাহেবের মারাত্মক ভ্রান্ত উক্তি রয়েছে–যেগুলো দ্বীন ও ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
————————————————-
বি. দ্র. পরবর্তী পোস্টে সাদ সাহেবের আরো কিছু মারাত্মক ভ্রান্ত
মতবাদের বিবরণ দেখুন। এ ছাড়াও এসব বিষয় বিস্তারিত
মাসিক আদর্শ নারীর জুলাই–২০১৮ সংখ্যায় পড়ুন।)