হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ধউর গ্রামে অবস্থিত জামিয়া সুবহানিয়া মাদরাসায় দাফন করা হয় তাঁকে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে কাসেমী রহ.-এর লাশ আশুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বরেণ্য এই আলেমের জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল নামে।
মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.-এর জানাজার জন্য জাতীয় ঈদগাহে স্থান নির্ধারণ করা হলেও প্রসাশনিক অনুমতি না মেলায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে তাঁর জানাজার জন্য নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন হেফাজত মহাসচিবের প্রেস সচিব মাওলানা মুনীর আহমদ।
জানাজায় ইমামতি করেন কাসেমী রহ.-এর ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমী। জানাজায় অংশ নেন অংশ নেন মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, জমিয়ত নেতা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, বেফাক সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হেফাজত আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিল প্রমুখ।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায়ও জানাজা উপলক্ষে লোক সমাগম হয়।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) ইন্তেকাল করেন মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.। গত ১ ডিসেম্বর ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার কারণে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।