মুন্তাখাব হাদিস নামক গ্রন্থটি আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ প্রতিটি মুসলমানের ঘরে ঘরে পাওয়া যায়। হাদিসের প্রসিদ্ধ এ গ্রন্থটি সংকলন করেছেন ভারতের তাবলীগ জামাতের অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ কান্ধলভি রহ.। উর্দু অনুবাদ করেছেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভি এবং সর্বশেষ তা বাংলা অনুবাদ করেন বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমদ ।
‘মুন্তাখাব’ শব্দটি অর্থ হচ্ছে ‘নির্বাচিত’। অর্থাৎ মুন্তাখাব হাদিস এর পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায় ‘নির্বাচিত হাদিস’। অর্থাৎ এ কিতাবের প্রতিটি হাদিসই নির্বাচিত সহিহ। মুন্তখাব হাদিস কিতাবটিতে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস রয়েছে তাই এ গ্রন্থটি সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়, বিশেষকরে তাবলিগের সাথী-শুভাকাংঙ্খীদের কাছে এটি খুবই প্রিয় একটি ইসলামি হাদিসের কিতাব।
মসজিদে মসজিদে তাবলিগ জামাতের তালিমের জন্য যেসকল হাদিসের কিতাবাদি পড়া বা শোনা হয়ে থাকে তারমধ্যে ‘মুন্তাখান হাদীস’ অন্যতম একটি গ্রন্থ।
সম্প্রতি এ কিতাবটি সম্পর্কে জৈনক এক ব্যক্তি জানতে চাইলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রশ্নটি ছিলো এমন, ‘হযরত আমার প্রশ্ন হলো, বিভিন্ন মসজিদে মুনতাখাব আহাদিস কিতাবের তালিম করা হয়। আমি জানতে চাই এ কিতাব তালিম সম্পর্কে শরিয়তের বিধান কী? প্রশ্ন নং: ১৬৮১৬৭১
এ প্রশ্নের উত্তরে দারুল উলূম দেওবন্দের দারুল ইফতার পক্ষ থেকে জানানো হয়,‘মুনতাখাব আহাদিস গ্রন্থে হাদিসসমূহের ব্যাখ্যা নেই। যার ফলে জনসাধারণ হাদিসগুলোর মর্ম বুঝতে সমস্যা হয়। এজন্যে ফাজায়েলে আমাল তালিম করা জনসাধারণের জন্যে ভালো হবে। ফতোয়া নম্বর: 657-533/B=05/1440
দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে কোন ফতোয়া গ্রহন করা বৈধ নয়। কারণ দারুল উলুম দেওবন্দ বহুবার ফতোয়ার ক্ষেত্রে ইলমের খেয়ানত করেছে, যার ফলে মাদ্রাসার ভিতরে এবং বাহিরে বহু বড়, বড় ফেতনা সৃষ্টি হয়েছে। মুফতি মোঃ জাহানগীর হোসেন।
কথার স্বপক্ষে দলিল পেশ করুন
তাহলে কোথায় বৈধ?
প্রশ্ন ক্লিয়ার করুন
বিপক্ষে গেলে প্রয়োজন নাই।