মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
‘রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর ঈমান না আনলে জান্নাতে যাওয়ার চান্স’ সম্পর্কে ডাক্তার জাকির নায়েকের মতবাদ হলো–
—————————————————————————
ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন–
“ যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান রাখে, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর ঈমান রাখে না, তার জান্নাতে যাওয়ার .০০১ পারসেন্ট সম্ভাবনা আছে।”
এ বক্তব্য ডাক্তার জাকির নায়েক ২৮ আগস্ট–২০০৯ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত “Misconception About Islam” শীর্ষক পিস কনফারেন্সে প্রদান করেছেন। তিনি উক্ত কননফারেন্সের প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষ প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেছেন।
উক্ত কনফারেন্সের “Islam Is Way Of Life” বিষয়ক লেকচারের প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক্তার জাকির নায়েককে ‘রাহুল’ নামের এক অমুসলিম যুবক প্রশ্ন করেন–“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান রাখলো, কিন্তু নবী মুহাম্মদ (সা)-এর ওপর ঈমান রাখলো না, সে কি জান্নাতে যেতে পারবে?” এ প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন–
“যে ব্যক্তি এক আল্লাহর উপর ঈমান রাখে, সে যদি মুহাম্মদ (সা)-এর ওপর ঈমান না রাখে, তার জান্নাতে যাওয়া খুব কঠিন হবে, তার জান্নাতে যাওয়ার .০০১ পারসেন্ট চান্স আছে। তার উদাহরণ হলো কোন বহুতল ভবন যেমন বুরুজ-দুবাই থেকে নীচে পড়া ব্যক্তির মতো। যার মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী এবং বেঁচে থাকার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে।”
(উল্লেখ্য যে, ডাক্তার জাকির নায়েক তার সেই বক্তব্যের প্রথম দিকে .০০০০০০০০১ পার্সেন্ট চান্সের কথা বলেছেন। এরপর দুবাই বুরুজের উদাহরণ টেনে .০০১ পার্সেন্ট চান্সের কথা বলেছেন। মোট কথা, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর উপর ঈমান না আনলেও জান্নাতে যাওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা আছে বলে উল্লেখ করেছেন–নাউযুবিল্লাহ।)
তার উক্ত বক্তব্য ইন্টারনেটের ইউটিউবে “Will you go to Heaven if you believe in one God and not in His Messengers” শিরোনামে রয়েছে। ইউটিউবের উক্ত ভিডিও-স্ক্রিপ্ট থেকে সরাসরি তার উক্ত বক্তব্য নিম্নোক্ত লিঙ্কে (উল্লেখ্য যে, এ ভিডিওটির ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড থেকে সেই অমুসলিম যুবকের প্রশ্ন ও ডাক্তার জাকির নায়েকের সেই বক্তব্য সম্বলিত উত্তর রয়েছে)–
এ ছাড়াও যদি কেউ উক্ত প্রশ্নোত্তরসহ পুরো প্রশ্নোত্তর পর্বের ভিডিও দেখতে চান, তাহলে তা ইউটিউবে “Misconception About Islam | Dubai Part 1 | Full Question & Answer” নামে পাবেন। ইউটিউব থেকে উক্ত ভিডিও-স্ক্রিপ্ট দেখতে নিম্নবর্ণিত লিঙ্কে লগইন করুন (উল্লেখ্য যে, উক্ত হিন্দু যুবক কয়েকবারে অনেকগুলো প্রশ্ন করেছেন। তাই তার যে কোন প্রশ্ন খুঁজলে আলোচ্য বিষয়ের প্রশ্নোত্তর সহজে পাওয়া যাবে না, বরং সরাসরি উক্ত প্রশ্নোত্তর পেতে এ ভিডিওটির ২ ঘন্টা, ২৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড থেকে শুনলে তা পাবেন)–
এতদ্ব্যতীত যদি কেউ সেই কনফারেন্সের সম্পূর্ণ লেকচার ও উক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব সহ পুরো ভিডিও-ক্লিপ দেখতে চান, তাহলে নিম্নবর্ণিত লিঙ্কে “Misconception About Islam | Dubai Part 1 | Full Length” নামে এর প্রধান পার্ট পাবেন, এরপর সেখানে গেলে ২য় পার্টটিরও লিঙ্ক পাবেন। ইন্টারনেটের ইউটিউবে সরাসরি উক্ত ফুল ভিডিও-স্ক্রিপ্ট দেখতে নিম্নোক্ত লিঙ্কে লগইন করুন (উল্লেখ্য, এ ভিডিওটির ৪ ঘন্টা ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে আলোচ্য প্রশ্নোত্তর রয়েছে)–
এটা নিঃসন্দেহে ডাক্তার জাকির নায়েকের মারাত্মক ঈমানধ্বংসী কুফরী বক্তব্য। যা বিশ্বাস করলে মানুষ ঈমানহারা হয়ে কাফির হয়ে যাবে। বস্তুত কোন ব্যক্তি ইসলামের সবকিছু মেনেও মাত্র একটি আকীদা বা ঈমানের কোন একটি বিষয়কেও অস্বীকার করলে সে কাফের হয়ে যায়। আর কাফিররা চিরস্থায়ী জাহান্নামী এবং তাদের জন্য জান্নাত হারাম বলে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য বাণীতে মহান আল্লাহর উপর ঈমানের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর ঈমানের অপরিহার্যতা বর্ণনা করা হয়েছে। তাই শুধুমাত্র মহান আল্লাহর উপর ঈমান আনলে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর ঈমান না আনলে তার ঈমান কিছুতেই গ্রহণীয় হবে না। তাই সে কোনভাবেই ঈমানদার গণ্য হবে না। বরং সে কাফির পরিগণিত হবে। সুতরাং তার জান্নাতে যাওয়ার কোনই চান্স বা সম্ভাবনা নেই। বরং সে কাফির হওয়ার কারণে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে যাবে।
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন–
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یُّفَرِّقُوۡا بَیۡنَ اللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ یَقُوۡلُوۡنَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٍ وَّ نَکۡفُرُ بِبَعۡضٍ ۙ وَّ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّتَّخِذُوۡا بَیۡنَ ذٰلِکَ سَبِیۡلًا – اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡکٰفِرُوۡنَ حَقًّا ۚ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابًا مُّہِیۡنًا
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ ও রাসূলগণের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে আর বলে–আমরা একজনকে বিশ্বাস করি এবং অন্যজনকে অস্বীকার করি এবং তারা এর মাঝে কোন পথ তৈরী করতে চায়, এরাই হলো প্রকৃতপক্ষে কাফির। আমি কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাকর আজাব প্রস্তুত রেখেছি।”
(সূরাহ নিসা, আয়াত নং ১৫০ ও ১৫১)
.
তেমনি এ বিষয়ে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে–
عن أبي هريرة رضي الله عنه- أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لاَ يَسْمَعُ بِي أحد من هذه الأمة لا يَهُودِيٌّ، وَلاَ نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ إِلاَّ كانَ مِنْ أَصْحَابِ النار
হযরত আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে শুনে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন–“সেই মহান সত্তার কসম–যাঁর কুদরতী হাতে মুহাম্মদের জান, এই উম্মতের কেউ কোন ইয়াহুদী বা কোন খৃস্টান যে আমার ব্যাপারে শুনেছে, এরপর সে মারা গিয়েছে এ অবস্থায় যে, আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার উপর ঈমান আনে নি, সে জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩)
.
সুতরাং পবিত্র কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান রাখে, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা)-এর উপর ঈমান রাখে না, সে ঈমানহারা কাফির গণ্য হবে এবং সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। তার জান্নাতে যাওয়ার সম্ভাবনা ০ (জিরো) পার্সেন্ট। অর্থাৎ তার জান্নাতে যাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক তার জন্য জান্নাতে যাওয়ার .০০১ পার্সেন্ট চান্স আছে বলে উল্লেখ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ)
বলা বাহুল্য, কাদিয়ানীরা অমুসলিম-কাফের বলে পরিগণিত। কারণ, তারা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করে। তেমনি হিন্দু, খৃস্টান, ইয়াহুদী, বৌদ্ধ যারা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর রিসালাতকে মানে না, তারা এ কারণে ঈমানহারা-কাফের বলে পরিগণিত। আর সকল কাফেরদের জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই তাদের জান্নাতে যাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন–
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ فِیۡ نَارِ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمۡ شَرُّ الۡبَرِیَّۃِ
“নিশ্চয়ই যারা কাফের হয়েছে আহলে কিতাব (ইয়াহুদী-খৃস্টান) ও মুশরিক (হিন্দু-বৌদ্ধ প্রমুখ মূর্তিপূজক) লোকদের মধ্যে–তারা চিরকাল জাহান্নামের আগুনে থাকবে।”
(সূরাহ বাইয়্যিনাহ, আয়াত নং ৬)
তেমনি হাদীস শরীফে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) (হাদীসে কুদসীতে) মহান আল্লাহর এ বাণী বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন–
اِنِّيْ حَرَّمْتُ الْجَنَّةَ عَلَي الْكَافِرِيْنَ
“নিশ্চয়ই আমি কাফেরদের জন্য জান্নাত হারাম করেছি।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৫০)
অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক রাসূলুল্লাহ (সা.)কে যথোচিতভাবে না মানা কাদিয়ানীদের পক্ষে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অবিশ্বাসী হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইয়াহুদী প্রমুখদের স্বার্থে মিথ্যা ওকালতী করতে গিয়ে তাদের জান্নাতে যাওয়ার চান্সের উক্ত ভ্রান্ত বক্তব্যের অবতারণা করেছেন। তার কথা মতে ইসলাম গ্রহণ না করেও শুধু এক আল্লাহকে মেনে বিধর্মীরা জান্নাতে যাওয়ার কোনরকম চান্স পাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ। নিঃসন্দেহে এটা কুরআন ও হাদীসের বিরোধী স্পষ্ট কুফরী মতবাদ।
.
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রিসালাত বিষয়ে ঈমানবিরোধী বক্তব্যের কারণে ডাক্তার জাকির নায়েক কাফের?
কোন ব্যক্তি ইসলামের সবকিছু মেনেও মাত্র একটি আকীদার বিষয়কে অস্বীকার করলে সে কাফের হয়ে যায়। যে ব্যক্তি সকল নবীকে মানে, কিন্তু শুধুমাত্র একজন নবীকে অস্বীকার করে, সে কাফের। যে ব্যক্তি আ্ল্লাহ তা‘আলার সব ফেরেশতার প্রতি ঈমান রাখে, শুধু একজন ফেরেশতাকে বিশ্বাস করে না, সে কাফের। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন–
مَنۡ کَانَ عَدُوًّا لِّلّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ رُسُلِہٖ وَ جِبۡرِیۡلَ وَ مِیۡکٰىلَ فَاِنَّ اللّٰہَ عَدُوٌّ لِّلۡکٰفِرِیۡنَ
“যে ব্যক্তি আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, রাসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ কাফিরদের শত্রু।”
(সূরাহ বাক্বারা, আয়াত নং ৯৮)
সুতরাং পবিত্র কুরআন ও হাদীসের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত আকীদাগত মূলনীতি হলো, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রিসালাতের উপর ঈমান না আনলে সে কাফের গণ্য হবে। তাই সে কষ্মিনকালেও জান্নাতে যেতে পারবে না।
.অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক কত মারাত্মক ঈমানবিরোধী কথা বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রিসালাতের উপর ঈমান না আনলেও তার জান্নাতের যাওয়ার .০০১ পার্সেন্ট চ্যান্স আছে। এ রকম ঈমানবিরোধী বিশ্বাস কেউ পোষণ করলে কিংবা এ ধরনের কথা বললে সে ঈমানহারা হয়ে কাফির হয়ে যায়। যদিও সে ইসলামের অন্যসব বিষয় যথারীতি বিশ্বাস করে এবং পালন করে।
সুতরাং ইসলামের আকায়িদ ও মূলনীতি অনুযায়ী ডাক্তার জাকির নায়েক কি উক্ত বক্তব্যের কারণে কাফের গণ্য হবেন না? তার উক্ত বক্তব্য কি তার ইসলামের গণ্ডি থেকে খারিজ হওয়ার প্রমাণ বহন করে না–যার কোনরূপ তা’বীলের অবকাশ নেই?
.
আহলে হাদীস স্কলারসহ উলামায়ে কিরামের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের বক্তব্যের জোরালো প্রতিবাদ
“মুহাম্মদ (সা)-এর ওপর ঈমান না আনলেও জান্নাতে যাওয়া যাবে” ডাক্তার জাকির নায়েকের এ বক্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ করে তাকে কুফরী মতবাদ আখ্যা দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুহাক্কিক উলামায়ে কিরাম ফাতওয়া দিয়েছেন। বাংলাদেশের ঢাকা মোহাম্মদপুরের জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, যাত্রাবাড়ী জামেয়া দারুল উলূম ও কুমিল্লা, ফরিদপুর, বগুড়া, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানের মাদরাসাসমূহের মুফতীয়ানে কিরাম ও মাশায়িখে ইজাম ডাক্তার জাকির নায়েকের ভ্রান্ত ও কুফরী বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন।
তেমনি এ ধরনের বিশ্বাস পোষণকারী ব্যক্তিকে কাফির ও জাহান্নামী আখ্যা দিয়ে ফাতওয়া প্রদান করেছেন ডাক্তার জাকির নায়েকের সম্প্রদায়ের সালাফী ও আহলে হাদীস বহু আলেম। বিশেষ করে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন প্রসিদ্ধ আহলে হাদীস স্কলার সৌদী আরবের জেদ্দার নূর টিভির লেকচারার শাইখ ড মুরতাজা বিন বখশ এবং ভারতের ডাক্তার জাকির নায়েকের এলাকার প্রখ্যাত আহলে হাদীস লেকচারার ও খতীব শাইখ আবু যাইদ জামীর।
ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত ঈমানবিরোধী বক্তব্য দ্বারা মানুুূষ যাতে ঈমানহারা না হয়, এ জন্য সে ব্যাপারে মুসলমানদেরকে সতর্ক করে প্রখ্যাত আহলে হাদীস স্কলার সৌদী আরবের জেদ্দার নূর টিভির লেকচারার শাইথ ড মুরতাজা বিন বখশ ফাতওয়া প্রকাশ করেন। তিনি উক্ত কুফরী লেকচারের কারণে ডাক্তার জাকির নায়েককে গণ্ড মুর্খ আখ্যা দেন এবং তাকে তাওবা করতে বলেন। তার উক্ত ফাতওয়া-বক্তব্য ইন্টারনে্েটের ইউটিউবে রয়েছে। উর্দূ ভাষায় ইউটিউবে তার উক্ত বক্তব্য শুনতে নিম্নোক্ত লিঙ্কে :
তেমনিভাবে ভারতের প্রখ্যাত আহলে হাদীস লেকচারার শাইখ আবু যাইদ জামীর ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত কুফরী বক্তব্যের দালীলিক বিশ্লেষণ পেশ করে মুসলমানদেরকে তার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তিনি উক্ত বিশ্বাস পোষণকারীকে কাফের বলে ফাতওয়া দেন। তার বক্তব্যের স্ক্রিপ্টও ইন্টারনেটের ইউটিউবে রয়েছে। উর্দূ ভাষায় প্রদত্ত তার উক্ত বক্তব্য ইউটিউব থেকে শুনতে নিম্নবর্ণিত লিঙ্কে লগইন করুন —
সুতরাং ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত ভ্রান্ত ও কুফরী মতবাদ থেকে সকল মুসলমানের দূরে থাকা কর্তব্য। এভাবে তার সকল ভ্রান্ত মতবাদ থেকে সকলের দূরে থাকা উচিত। অল্লাহ তা‘আলা সকল মুসলমানকে হিদায়াতের উপর রাখুন এবং আখিরী যমানার এ মারাত্মক ভয়াবহ ডিজিটাল জাকিরী ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। আমীন।