১. বাহির থেকে ঘরে ফেরার সময় স্ত্রীর জন্য তার পছন্দের খাবার নিয়ে আসুন। চটপটি ফুচকা চিপস আচার আইসক্রিম বা এ জাতীয় কিছু!
২. মাসে অন্তত একদিন স্ত্রীকে গিফট করুন! ফুল। বই। চুড়ি। কিংবা বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী। মেয়েরা সাধারণত গিফট পেতে পছন্দ করে। আর তা যদি হয় সবচেয়ে পছন্দের মানুষটির তরফ থেকে, তাহলে তো কথাই নেই!
৩. পর্দা রক্ষার পরিবেশ থাকলে ছুটির দিনগুলোতে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যান। রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। সুযোগ হলে স্ত্রীকে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতার সুন্নাতটুকুও আদায় করে নিন!
৪. হেল্প করুন। স্ত্রীকে মাঝেমধ্যে রান্নার টুকিটাকি কাজে হেল্প করুন। রান্নার ফাঁকে যখন প্রিয় মানুষটা ঘেমে উঠবে, একটু কাছে গিয়ে তার কপালের ঘামটা মুছে দিন। আদরে বলুন– তুমি একটু রেস্ট নাও বাকিটা আমি দেখছি।
৪. স্ত্রীর চুল আঁচড়ে দিন। বেণী বেঁধে দিন। চুল আঁচড়ানোয় মেয়েরা একটু সময় নিতে পছন্দ করে। গল্প করতে ভালোবাসে। আপনিই হোন তার সঙ্গী। খোশগল্প করার এটা কিন্তু সুবর্ণ সুযোগও বটে!
৫. মাঝেমধ্যে আপনিও স্ত্রীর কাপড় চোপড় ধুয়ে দিন। মাথাব্যথা না হলেও তার মাথাটা টিপে দিন। নাকটাও টিপে দিতে পারেন! হাহাহা…
৬. সবসময় একসাথে খাবার গ্রহণ করুন। সম্ভব হলে এক প্লেটেই খাবার খান। এতে আরও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। স্ত্রীর মুখে লোকমা তুলে দিন। আপনাকে খাইয়ে দেবার সময় প্রিয়তমার আঙুলে মৃদু কামড় দিতে ভুলবেন না আবার!
৭. বাইরে বের হবার আগে কিংবা মসজিদে নামাজে যাবার আগে স্ত্রীকে আদর করে বের হোন। তার কপালে ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিন। আল্লাহর হাওয়ালা করে রেখে যান।
৮. সপ্তাহের শুক্রবারে স্ত্রীর কাজগুলো আপনি করুন। রান্না, ঘরমোছা ইত্যাদি। স্ত্রী তো আপনার সাথেই থাকবে। ভয় কীসের! আর দেখবেন কাজগুলো সে নিজেই করে নেবে! বলবে– আমার প্রিয়তম স্বামীটা হাঁপিয়ে উঠেছে রে। তার এখন বিশ্রাম দরকার। স্ত্রীর এই হাসিমুখটাই তো আপনার জান্নাত!
৯. স্ত্রীকে নিয়ে জ্যোৎস্না উপভোগ করুন। ছাদে-ব্যালকনিতে বসে এক কাপ চা বা কফির পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তুমুল গল্প করুন! স্ত্রীকে ‘গান’ শোনান, তার থেকেও শুনুন!
১০. সামান্য থেকে সামান্য কাজেরও প্রশংসা করুন। মনে রাখবেন সবাই প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে। আর মেয়েরা তাদের স্বামীদের থেকে প্রশংসা পাওয়াটাকে অধিকারই মনে করে! খেতে বসে একটু বাজে হলেও রান্নার দোষ ধরবেন না। স্ত্রীই তো বুঝতে পারবে, আপনার বলার কী দরকার!
১১. স্ত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন। মাশাআল্লাহ তোমার বয়স তো দেখি অর্ধেক কমে গেছে, তোমাকে একদম হুরপরীর মতো লাগছে, তোমাকে নতুন বউ নতুন বউ মনে হচ্ছে। এ জাতীয় বাক্য দ্বারা। মাঝেমধ্যে তার প্রশংসায় কবিতা কিংবা দু’চার লাইনে অনুভূতি লিখে তাকে দেখাতে পারেন। খুউব খুশি হবে।
১২. তাহাজ্জুদের সময় স্ত্রীকে জাগিয়ে দিন। স্ত্রীকে শুনিয়ে মোনাজাতে আল্লাহকে বলুন– আল্লাহ! জীবনসঙ্গিনী হিসেবে তাকে পেয়ে আমি সন্তুষ্ট। তুমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট থেকো। তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ো। তাকে জান্নাতে আমার হুরদের সর্দারনী বানিয়ো। তার কোলে মাথা রেখে কোরআন তেলাওয়াত করুন। ইনশাআল্লাহ ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধাবোধটুকুও সুদৃঢ় হবে।
১৩. স্ত্রীকে কখনোই ‘তুই’ সম্বোধন করবেন না। কখনোই গায়ে হাত তুলবেন না। এই দু’টো বিষয় প্রতিজ্ঞা করে নিন। মনে রাখবেন, সে আপনার সন্তানের মা। আপনার সন্তানের বেহেশত তাঁর পদতলে! কীভাবে আপনি তার অসম্মান করেন!
১৪. কোনও মেয়ের আলোচনা বা প্রশংসা স্ত্রীর কাছে করবেন না। মনে রাখবেন, এরা বেশি জেদি। আবার সন্দেহপ্রবণও। স্বামীর ভালোবাসায় এরা কারো ভাগ সহ্য করতে পারে না। আপনি হয়তো সাদা দীলে অন্য মেয়ের প্রশংসা করলেন, কিন্তু আপনার স্ত্রী মনে মনে রহস্যের খুঁজে নেমে পড়বে…
১৫. অপছন্দনীয় কিছু দৃষ্টিগোচর হলে সরাসরি আলোচনা করবেন। কখনোই সন্দেহ মনে পুষে রাখবেন না। অবিশ্বাস করবেন না। সন্দেহ একটি মারাত্মক ব্যাধি। ভালোবাসা অনেকটাই কিন্তু বিশ্বাস-অবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে!
[ হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন স্ত্রী-সন্তান দান করুন, যারা হবে ‘কুররাতু আইয়ূন’। আর আমাদেরকে কেবল পুণ্যবানদেরই অভিভাবক করুন।]