আয়েশা আক্তার শ্রাবণী
হায়েজ, মেন্স, পিরিয়ড, মাসিক। একেকজন একেক নামে ডাকলেও জিনিস একই। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট বয়সী মেয়েরা এই প্রাকৃতিক সমস্যাটি সামলে থাকেন। অনেকের বড় কষ্টের কারণ এই হায়েজ। অথচ একটু অন্য ভাবে চিন্তা করলেই দেখতে পাবেন, এটি কিন্তু নারীদের জন্যে একটি দারুণ নিয়ামত। কিভাবে?!
কারণ হায়েজ অবস্থায় :
১) যত খুশি যিকির করা যায়।
২) যত খুশি ইস্তেগফার করা যায়।
৩) জাহান্নামের ভয়াবহতা নিয়ে গভীর চিন্তা করা যায়। [কারণ হায়েজ অবস্থায় সময় বেশি পাওয়া যায়]
৪) জান্নাত নিয়ে গভীর চিন্তার সাগরে ডুবে থাকা যায়।
৫) অতিমাত্রায় দুরুদ পাঠ করা যায়।
৬) দোয়া কবুলের সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া করা যায়।
৭) রাতের শেষাংশে অল্প সময়ের জন্য উঠে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়।
৮) সবথেকে বড় কথা, অতিমাত্রায় দোয়া, দুরুদ- যিকির, ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং নেকির পাল্লা ভারি করা যায় যা নাজাতের পথ।
[ হায়েজ অবস্থায় নারীদের কষ্ট হলেও, মুখে যত বেশি দোয়া, দুরুদ, যিকির ইস্তেগফার পাঠ করা যায়, যা পবিত্র থাকা অবস্থায় কখনোই সম্ভব হয় না]
যুবতীদের হায়েজ সর্বনিম্ন ৩ দিন থাকার কথা। এই ৩ দিন যদি সে শুধুই ইস্তেগফার করে তাহলে একে তো আল্লাহর ভালোবাসা পেলোই, তাছাড়া আল্লাহর ক্ষমার দ্বারা নিজেও পবিত্র হয়ে যেতে পারল। কারণ, আল্লাহ তায়ালা এমন নন যে, তার বান্দা টানা ৩ দিন ইস্তেগফার করবে অথচ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন না।
৩ দিন একটানা দুরুদ পাঠ করলে কতবার রহমত বর্ষণ হবে চিন্তা করতে পারেন?
একবার দুরুদ পাঠ করলে ১০ বার রহমত নাযিল হয়। তাহলে ৩ দিনে ৩০০০ বার দুরুদ পাঠ করলে রহমত বর্ষণ হয়, ৩০০০*১০=৩০,০০০ বার অর্থাৎ ৩০ হাজার বার।
৩০ হাজার বার যদি রহমত বর্ষিত হয় তাহলে আপনার অবস্থান ৩ দিনে কোথায় যাওয়ার কথা? চিন্তা করেছেন?
আপনি তো রহমতের সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকবেন।
আপনি যদি ৩ দিনে ৩০০০ বার তাসবিহ পড়েন। তাহলে কতো নেকি আসে? ৩০০০*১০=৩০,০০০ নেকি।
এটা কি কোন বুদ্ধিমান ত্যাগ করে? হায়েজকেও কাজে লাগাতে হবে বুদ্ধি দিয়ে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মা- বোনদেরকে এভাবে আমল করার তৌফিক দিন, আমিন!
আমার বাবা ওফাত হয়েছেন। আমি পবিত্র অবস্থায় নিয়মিত নামাজ, অজিফা, বেশি বেশি মা বাবার জন্য দোয়া এসবের মধ্যে থাকলে প্রায় আমার বাবাকে স্বপ্নে দেখি। কিন্তু হায়েজ অবস্থায় কখনো বাবাকে স্বপ্নে দেখিনা। কেন? 😓 হায়েজ অবস্থায় কি রুহ কলব এগুলোর কোন পরিবর্তন হয়?
না এমন কিছু আমরা কোথায়ও পাই নি।
হায়েজ অবস্থায় জায়নামাজে বসে দোয়া করা কি নাজায়েজ?
না, দোয়া করা জায়েয আছে
হায়েজ আবস্থাতে কি দোয়া কবুল হয় যদি মাঝ রাতে পরি??
হা দোয়া কবুল হবে
হায়েজ অবস্থায় মোবাইলে কোরআন পাঠ করা যাবে?
আর দোয়া প্রার্থনা করা যাবে??
হায়েজ অবস্থায় কুরআন পাঠ করা যাবে না কোনভাবেই। ধরা তো আরও নিষেধ। মোবাইল হোক বা যেভাবেই হোক, হুকুম এক। দোয়া প্রার্থনা করতে পারবেন।