বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ও ভ্রূণ হত্যা প্রসঙ্গে

প্রশ্নোত্তর বিভাগCategory: ধর্মীয় জিজ্ঞাসাবিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ও ভ্রূণ হত্যা প্রসঙ্গে
Eti Akter Chadndi asked 5 years ago

আসসালামু আলাইকুম, আমি এই প্রথম প্রশ্ন করছি তাই আশা করি আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর টি আপনারা দিবেন,, জাযাকাল্লাহ বিল খইর। বর্তমান যুগে অনেকেই বিয়ের আগে ছেলে বন্ধুর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে,এতে অনেকের গর্ভে সন্তান এসে পড়ে, বিয়ে না করে সন্তান জন্ম নিলে তাকে অনেক জারজ সন্তান বলে, আমার প্রশ্নটি হলো যদি বিয়ের আগে পেটে সন্তান আসে তাহলে কি সেই সন্তানকে কী জন্ম দেওয়া যাবে? অনেকেই আছে এব্রোশন করিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে,এতে কেমন ধরেন গুনাহ হতে পারে? বিয়ের আগেই যদি বাচ্চা পেটে আসে আর এই বাচ্চা জন্ম নেওয়ার আগেই যদি ছেলে-মেয়ে দুইজনে বিয়ে করে নেই তাহলে তাদের সন্তানকে কী বৈধ বলা যাবে? বিয়ের আগেই বাচ্চা পেটে আসার জন্য তাকে নষ্ট করে দেওয়া টা কি ঠিক হবে? বা যদি বাচ্চাটি জন্ম নেই তারপর তার মা-বাবা তাকে নিজেদের কাছে না রেখে অন্য কাওকে দান করে দেই তাহলে কী গুনাহ হবে?

1 Answers
ওয়ালাইকুমুস সালাম। সন্তান পেটে চলে আসলে তাকে জন্ম দেয়া ছাড়া তো আর কিছু করার নেই। কারণ, ভ্রুণে প্রাণ সঞ্চার হওয়ার পর এবোর্শন করে তাকে হত্যা করা কবিরা গুনাহ। তা মানুষ হত্যার নামান্তর। তবে যে সন্তান গর্ভে এসেছে তার কোন দোষ নেই। দোষ সম্পূর্ণ মা বাবার। তারা জেনার কারণে শাস্তি পাবে। আর সন্তানকে জারজ বলার ব্যাপারটা তো মানুষের জন্যে প্রযোজ্য। অর্থাৎ অন্যরা তাকে বলতে পারে মা বাবা বলবে না। কাজেই উভয়ে যদি বিয়ে করে নেয় তাহলে সন্তানকে আর জারজ বলার মত কেউ থাকছে না। কাজেই তাকে স্বাভাবিক সন্তানের মতোই মনে করতে হবে। আর সন্তানকে দান করে দেয়ার ও কোন দরকার নেই। আসলে দান করার ব্যাপারটা মানুষের বেলায় খাটে না। আপনি আপনার মালিকানাধীন বস্তু দান করতে পারেন। সন্তান তো এরকম কিছু না। যদি সন্তান পালতে অপারগ হন তাহলে কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন যাতে সে আপনার সন্তানকে পেলে বড় করে বিয়ে শাদী দিয়ে দেয়। ব্যস এইটুকুই। দান করে মালিক বানানোর মত কিছু না। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।