টঙ্গিতে তাবলীগের মুরব্বী ও আলেমদের যৌথ মাশওয়ারা : নেয়া হল ১১ সিদ্ধান্ত

বিশ্বইজতেমা ও ৫দিনের জোড় সফল করার লক্ষ্যে আজ সকালে (১৯ নভেম্বর) ইজতেমা ময়দানস্থ টীনসেড মসজিদে তাবলীগের মুরুব্বী ও ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের উলামাদের যৌথ মাশওয়ারা অনুষ্ঠিত হয়।

যে সকল বিষয়ে আজকের পরামর্শ সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয় সেগুলো হলো :

১। কাকরাইলের মুরুব্বিদের সাথে দেশের বেফাকসহ সকল কওমী মাদ্রাসা বোর্ড-এর দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলা। কাকরাইলে ও বোর্ড সমূহে শীর্ষস্থানীয় আলেম ও মুরুব্বিদের একটি টিম গঠন করা যাতে যে কোন প্রকার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যায়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ইমাম ও খতীবদের বিভিন্ন সংগঠন আছে, এদের সাথেও যোগাযোগ গড়ে তোলা।

এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৬নভেম্বর টঙ্গী মাঠে বাদ ফজর কওমী মাদ্রাসা বোর্ড সমূহের মুরুব্বিগণ ও দেশের বিভিন্ন ইমাম সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নিয়ে মাশওয়ারাহ অনুষ্ঠিত হবে।

২। আগামী জোড় ও ইজতেমা কামিয়াব করতে বৃহত্তর ঢাকার সকল মাদরাসা ছাত্রদেরকে বিশেষভাবে মেহনতের সাথে সম্পৃক্ত করা। তবে তাদের মধ্যে যেন আজাদী ভাব চলে না আসে, সে জন্য উস্তাদদের নেগরানিতে ছাত্রদেরকে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সাথে সম্পৃক্ত করা।

৩। ইজতেমার ময়দানকে জোড় ও আলমী ইজতেমার জন্য প্রস্তুত করতে হালকাভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করা। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় যে, যেহেতু সময় খুবই কম, পরিবেশও অনুকূল নয়, সেহেতু বিশেষভাবে দায়িত্ব নিয়ে মাঠের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য হালকাভিত্তিক নিম্নোক্ত তারিখ সমূহে মাঠের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

  • ২২-২৩নভেম্বর : টঙ্গী, দোহার ও যাত্রাবাড়ী হালকা
  • ২৪-২৫নভেম্বর : ডেমরা ও কাকরাইল হালকা।
  • ২৬-২৭নভেম্বর : মুন্সীগঞ্জ ও মুহাম্মদপুর হালকা।
  • ২৮-২৯নভেম্বর : মীরপুর ও নরসিংদী হালকা।
  • ৩০ ও ১লা ডিসেম্বর : সাভার, কেরানীগঞ্জ হালকা
  • ২ ও ৩ডিসেম্বর : টঙ্গী, মানিকগঞ্জ
  • ৪-৫ডিসেম্বর: নারায়গঞ্জ, ময়মনসিংহ হালকা

প্রতিটি হালকা থেকে ছাত্র-উস্তাদ এবং সাধারণ সাথীদের নিয়ে মাঠে সকল প্রকার কাজের দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে হবে।

৪। ইজতেমার তারিখের সাথে কওমী মাদ্রাসা সমূহের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার সমন্বয় করে নেওয়ার জন্য উলামাদের প্রতি আহবান জানানো হয়। বর্তমানে যে তারিখ নির্ধারিত আছে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। যদি বিশেষ কোন পরিস্থিতির আলোকে পরিবর্তন আসে, তাহলে তখন সেই আলোকে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে নেওয়া।

৫। অতীতের মতো এবারও ইজতেমা ও জোড় চলাকালীন মক্কা ও মদীনায় বিশেষ দুআর ইন্তেজাম করা।

৬। যে সকল মসজিদে বর্তমানে মেহনত বন্ধ আছে, সেগুলো পুনরায় চালু করতে উদ্যোগ গ্রহন করা। যদি মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীদের কারণে বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে এমন কোন কাজ না করা, যে কারণে নতুন কোন হালতের উদ্ভব হয়। আর যদি বাতিল ফেরকার কারণে বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে সেখানে আরো বেশি জোর দিয়ে কাজ করা।

৭। জোড় ও ইজতেমার তারিখ বহাল রাখার বিষয়ে উপস্থিত সকলেই সম্মতি ও রায় প্রদান করেন।

৮। দেওবন্দ এ প্রতিনিধি দল যাওয়ার বিষয়ে উলামাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা।

৯। কাকরাইলের তত্ত্বাবধানে দেশের বিশিষ্ট আলেম, মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দাওরার জামাত চালু রাখা।

১০। জোড় ও ইজতেমা ভরপুর কামিয়াব করতে মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহে দুআর ইন্তেজাম করা।

১১। সকল মসজিদে ফাযায়েলে আমল তা’লীম করতে ইমাম সাহেবদের এগিয়ে আসা। নিজেরা তা’লীম করা। নিজে করতে সুযোগ না হলে মহল্লার অন্যান্য আলেমদের তত্বাবধানে তালীমের ব্যবস্থা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *