আপন ভাইকে পড়াশোনার খরচ বাবদ যাকাতের টাকা দেয়া যাবে?

ভাই যেহেতু উসুল ফুরু নয় কাজেই আপন ভাইকে জাকাত দেয়া যাবে। তবে যাকাতের টাকা দেবার সময় পরিস্কারভাবে নিয়ত করতে হবে যে, এটা তার ভরণপোষণের দায়িত্ব হিসেবে নয়, বরং যাকাত হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।

সেই সাথে তাকে এ অধিকার দিতে হবে যে, সে যে খাতে ইচ্ছে তা ব্যয় করতে হবে। পড়াশোনার জন্যই খরচ করবে এবং এটা তার ভারণপোষণ হিসেবে দেয়া হচ্ছে এমনটি বলা যাবে না।

এ শর্ত পাওয়া গেলে আপন ভাইকে যাকাত দেয়া যাবে।

ولو دفع زكاته إلى من نفقته واجبة عليه من الأقارب جاز، إذا لم يحسبها من النفقة الخ (رد المحتار، كتاب الزكاة، باب المصرف، زكريا-3/93، كرتاشى-2/346)

ولو دفع الزكاة إلى من يعوله بيده يجوز (الفتاوى السراجية، كتاب الزكاة، باب مواضع الصدقات-156، مكتبة الاتحاد)

عن ابن عابس رضى الله عنهما قال: لا بأس أن تجعل زكاتك فى ذوى قرابتك ما لم يكونوا فى عيالك، (المصنف لابن ابى شيبة-6/543، رقم الحديث-10633)

والأفضل فى الزكاة والفطر والنذور الصرف أولا إلى الإخوة والأخوات، ثم إلى أولادهم، ثم إلى الأعمام والعمات، ثم إلى أولادهم، ثم إلى الأخوال والخلات، ثم إلى أولادهم (الفتاوى الهندية-1/190)

قالوا: الأفضل صرف الصدقة إلى أخواته ذكورا أو إناثا (مجمع الأنهر-1/226)

عن سلمان بن عامر رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال: الصدقة على المسكين صدقة، وإنها على ذى الرحم اثنتان، إنها صدقة وصلة، مسند احمد-4/18، رقم-16342

One thought on “আপন ভাইকে পড়াশোনার খরচ বাবদ যাকাতের টাকা দেয়া যাবে?

  1. জাকাতের নেসাব দুই প্রকার

    দরিদ্রবান্ধব নেসাব: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য দুটি পরিমাণের তুলনামূলক কম পরিমাণ সম্পদকে জাকাতের নেসাব হিসেবে ধর্তব্য করে জাকাত প্রদানের এগিয়ে আসা।

    স্বার্থ বান্ধব নেসাব: দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কম দেয়ার অথবা একেবারে না দেয়ার উদ্দেশ্যে দুটি পরিমাণের তুলনামূলক বড় পরিমাণকে জাকাতের নেসাব হিসেবে ধর্তব্য করে, কম দেয়ার অথবা জাকাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করা।

    দরিদ্রবান্ধব নেসাব হচ্ছে, সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রৌপ্য। যার বর্তমান বাজারমূল্য এক হাজার টাকা ভরি হলে ৫২,৫০০ (বায়ান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা হয়।

    আর স্বার্থ বান্ধব নেসাব হচ্ছে, সাড়ে ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ। যার বর্তমান বাজার দর আটচল্লিশ হাজার টাকা ভরি হলে ৩,৬০,০০০ (তিন লক্ষ ৬০ হাজার) টাকা হয়।

    শরিয়া আপনাকে স্বাধীনতা দিয়েছে দরিদ্রবান্ধব নেসাব অথবা স্বার্থ বান্ধব নেসাব এর যেকোন একটি বেছে নেয়ার।
    আর কোন নেসাব বেছে নিলে আপনার আখেরাত উজ্জল হয় সেটা খুবই সুস্পষ্ট।

    প্রশ্ন হলো কেউ যদি দ্বিতীয় নেসাব তথা স্বরনের নেসাব হিসেব করে মেনে জাকাত দিতে চাই, সে কি আখেরাতে জবাব দিহী করতে হবে? নাকি বৈধ কাজ করলো?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *