সমাজে এমন কিছু জিনিস প্রচলিত আছে যা আমাদের অজান্তেই দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ করে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হুরমতে মুসাহারাত। চলুন, এ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা জেনে নেয়া যাক-
মাসআলা – ১
ইসলামী বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত ৮+ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত ১১+ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।
মাসআলা – ২
১ নং মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।
মাসআলা – ৩
উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।
মাসআলা – ৪
যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
মাসআলা – ৫
হুরমতে মুসাহারার দ্বারা অটোমেটিক বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যায়।
আর এই হারামটা সারা জীবনের জন্য বহাল থাকে। অর্থাৎ পুনরায় বিবাহের কোন উপায় আর থাকে না। কাজেই তালাকের কোন ব্যাপার স্যাপার এখানে নেই।
—————-
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।
শর্তগুলো হল,
১–
সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)
২–
স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)
৩–
স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)
৪–
স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
৫–
মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে। {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}
উপরোক্ত ৫টি শর্ত পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যাবে।
وكذا المقبلات، أو الممسوسات بشهوة لأصوله، أو فروعه (رد المحتار-4/100)
لأن حرمة المصاهرة إذا ثبتت لا تسقط أبدا (رد المحتار-4/109)
Maashaallah, Jazakallah. Very relevant and time-worthy masail.
জাযাকাল্লাহ খাইর।
Mashallah..it was very helpful Post. Please try to give this kind of post a lot of
আমাদের প্রতিটা পোস্টই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সাথেই থাকুন। জাযাকাল্লাহ খাইর।
একটি মাসআলা জানতে চাই। আমি একটি সরকারি অফিসে চাকুরি করি। আমি অফিস সময়ে আমার ব্যক্তিগত কোন কাজ করলে মনে হয় যেন আমার কাজটা জায়েয হচ্ছে না। যেমন অফিস সময়ে ব্যাংক থেকে টাকা উঠালে আমার মনে হয় টাকাগুলো হারাম হয়ে যাবে ইত্যাদি। উক্ত সময়ে কেনাকাটা করলে জিনিসগুলো যায়েজ হবে না ইত্যাদি। আমার ধারণা কি ঠিক? আমি মানসিক শুচিবায়ু রোগী।
মানুষ বৈধ কোন কাজ করলে ওটা কোন কারণ ছাড়াই অবৈধ হয়ে যায় না। কাজেই অফিস সময়ে ব্যক্তিগত কাজ করার দ্বারা আপনার ওই কাজটা হারাম হয়ে যাবে না। এটি আপনার মানসিক সমস্যা বলেই মনে হচ্ছে।
তবে অফিস সময়ে প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত কাজ করা এক প্রকারের দায়িত্বহীনতা বলা চলে। এ ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য।
আপনি সরকারের আজিরে খাস আপনার অফিস টাইমে আপনার বসের অনুমতি ব্যতিত ব্যাক্তিগত কাজ করা জায়েজ হবে না
কী বোঝালেন?
আমার উপরোক্ত প্রশ্নোত্তরটি দিলে অনেক উপকার হতো। ধন্যবাদ।
জি দেয়া হয়েছে। জাযাকাল্লাহ খাইর।
আসসালামু আলাইকুম হুজুর কাউকে সালাম দিতে চাইলে তাকে কোন কোন অবস্থায় দেখলে সালাম দেওয়া যাবে না? আরেকটি বিষয় হলো রাস্তাঘাটে কত কাগজপত্র পড়ে থাকে যার উপরে বাংলায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং সংক্ষেপে 786 এর মানে অনেকে বলে বিসমিল্লাহ, লেখা থাকে উক্ত কাগজ পাড়া দিলে গুনা হবে?
খাওয়া ও ইস্তেঞ্জা অবস্থায় সালাম দেয়া যাবে না।
বাংলা বিসমিল্লাহ বা ৭৮৯ এগুলা আসল বিস্মিল্লাহের হুকুমে নয়। তবে কাগজ সম্মানিত বস্তু। ইচ্ছে কৃত পা মাড়ানো উচিৎ নয়।
Khawar time salam dewa jabena dolil ki?
সালাম দেয়া যাবে না বলতে এখানে জায়েজ নেই বলা হয় নি। অনুত্তম বলা হয়েছে।
আহারকারী অন্যকে সালাম দিতে পারবে। এ সময় অন্যকে সালাম দেওয়া নিষিদ্ধ নয়। তদ্রুপ আহারকারীকেও সালাম দেওয়া বৈধ। তবে এ সময় সালামের উত্তর দেওয়া যদি তার কষ্ট বা বিরক্তির কারণ হয় তাহলে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। কেননা, এমন হলে সে অবস্থায় সালাম দেওয়া অনুত্তম।
-(রদ্দুল মুহতার ১/৬১৭, ৬/৪১৫; আলমাজমূ’ ৪/৪৬৯; ফাতহুল বারী ১১/১৯-২১)
অসাধারনভাবে বুঝিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। খুব ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনার ভালো করুক।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
সব গুলো শর্ত পূরণ হতে হবে কি ?
জি
Jajakallah
ওয়া ইয়্যাকুম
Jajakallah
ওয়া ইয়্যাকুম
আসসালামু আলাইকু। হযরত যদি কোন অসুস্থ শশুর নিজের স্ত্রীকে জাগ্রত করতে গিয়ে ভূলবশত পুত্রবধূর লজ্জাস্থানে হত দিয়ে পেলে এমন অবস্থায় যে পুত্রবধূ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এমতাবস্থায় পুত্রবধু তার পুত্রের জন্য চিরতরে হারাম সাব্যস্ত হবে কিনা?অথাৎ হুরমতে মুসাহারাত হয়ে যাবে কিনা? কোরআন-সুন্নাহ ও ইসলামি শরীয়ত এ ব্যাপারে কি বলে? দয়া করে উত্তর দানে বাধিত করবেন।
ভুলবশত করা হলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন বলে আশা করা যায়
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
হযরত মুফতী সাইদ আল হাসান। আমি হুরমতে শাহওয়াতের ব্যাপারে আপনার সাথে কিছু আলোচনা ও পরামর্শ করতে চাই। দয়া করে আমাকে রিপ্লাই দিবেন।
জি বলুন।
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর।
আপনার উপরোক্ত আলোচনাটি পড়েছি।
হুরমাতে মুসাহহারা সম্পর্কে না জেনে স্পর্শের মাধ্যমে শয়তানের ধোঁকায় পরে যদি এটা ঘটে যায়। এবং কেউ ঘুমন্ত কাউকে শুধু স্পর্শের মাধ্যমে এটা ঘটিয়ে ফেলে। এতে ঘুমন্ত লোকটির তো কোনো দোষ নেই।
এবং জানার পর খুবই অনুতপ্ত হয়ে কেউ যদি আল্লাহর দরবারে খাঁটি দিলে তওবা করে কান্নাকাটি করে আল্লাহ কি মাফ করবেন না?
এতে কি হুরমাতে সাব্যস্ত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে না?
আর আল্লাহ মাফ করে দিলে তো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ও হারাম হবেনা।
প্লিজ দয়া করে উত্তর দিবেন।
অনিচ্ছাকৃত হলে সমস্যা নেই
উপরোক্ত ৫ টি শর্তই কি পূরণ হতে হবে?
নাকি যেকোনো একটি শর্ত পূরণ হলেই হুরমাতে মুসাহহারাত সাব্যস্ত হবে?
ধরুন কেউ শরীয়াতের এই বিধান সম্পর্কে আগে জানতো না, এবং সে তার ঘুমন্ত মায়ের শরীরে শয়তানের ধোঁকায় পরে স্পর্শ করে ফেলে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মা সজাগ হওয়ার সাথে সাথে হাত ছেড়ে দেয় এবং কিছুদিন পর জানতে পারে হুরমাতে মুসাহহারা সম্পর্কে।
জানার পর খুবই অনুতপ্ত হয়ে সত্যিকারের তওবা করলে,আল্লাহর দিকে ফিরে আসলে কি আল্লাহ ঐ ব্যক্তির এই পাপ ক্ষমা করবেন না?
না জেনে ভুল করে ফেললে ও কি শরীআতের একই বিধান?
মানে এতে ও কি মা বাবার বিবাহ ভেঙ্গে যাবে?
এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছিলাম।
একজন এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছে, সে খুবই মনোকষ্টে আছে।
দয়া করে সঠিক পরামর্শ দিবেন,কারণ এতে একটা সুখি পরিবার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যেতে পারে।
মায়ের শরীরে স্পর্শ করে ফেলায় সে খুবই অনুতপ্ত, সে এখন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কোরআন তেলাওয়াত করে, নফল রোজা রাখে।
আল্লাহর ভয়ে সে অস্হির হয়ে থাকে সবসময়।
সে যেহেতু ইচ্ছে করে করে নি, বরং ভুলে হয়েছে, কাজেই এখানে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর।
আপনার উপরোক্ত আলোচনাটি পড়েছি।
হুরমাতে মুসাহহারা সম্পর্কে না জেনে আমার পিতা স্পর্শের মাধ্যমে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আমার স্ত্রীর সাথে এমনটি করে। কিন্তু আমার স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। সে কিছু বুঝতে পারেনি এবং তার ভেতর কোন কামভাবও আসেনি। কামভাব আসলেও আমার পিতার ভেতর এসেছে। এতে আমার ঘুমন্ত স্ত্রীর তো কোনো হাত নেই।
কিন্তু পরবর্তীতে আমার পিতা খুবই অনুতপ্ত হয়ে কেউ যদি আল্লাহর দরবারে খাঁটি দিলে তওবা করে কান্নাকাটি করে।
আল্লাহ কি মাফ করবেন না?
এতে আমাদের স্বামী স্ত্রীর কোন হাত নাই ।
তবে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ও হারাম হবে?
প্লিজ দয়া করে উত্তর দিবেন।
এ বিষয়ে হাদিস, কুরআনের দলিল আছে?
ভুল থাকলে শ্বশুরের আছে বা মা কে স্পর্শ করায় ছেলের আছে।
এতে ছেলের বউয়ের বা মায়ের তো কোনো দোষ নেই।একজনের পাপের শাস্তি আরেকজন কেন পাবে।
এসব ভুুলভাল ফতোয়া দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ইসলামটাকে হাস্যকর কেন করছেন নাস্তিকদের সামনে?
এসব ফতোয়াবাজি বন্ধ করেন।
এখানে কোন কিছুই বানিয়ে লেখা হয়নি। কুরআন হাদিসে আছে বলেই লেখা হয়েছে। যে বিষয়ে জানা নেই সে বিষয়ে মন্তব্য না করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে,। অসংখ্য ধন্যবাদ
সালাম
মুহতারাম
কুরআন হাদীস এর দলিল টা জানতে চাই।
ছেলে ইচ্ছে করে ঘুমন্ত মায়ের স্তনে হাত দিয়ে চাপ দিয়েছে।। লক্ষণীয় বিষয় হল, ছেলে “হুরমতে মুসাহারাত” এর মাসায়ালা আগে জানতো না বা জানা ছিল না,, এখন আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছে। এবং খাজকরে তাওবা করেছেন। জীবনে আর কখনো এমন করবে না এক্ষেত্রে তার বাবা-মার মাসালা কি হবে?
দয়া করে রিপ্লাই দিবেন
01715039399 কল দিয়ে মাসআলা জানুন
কুরআন এবং সহীহ হাদিসের রেফারেন্স দিন।
একজন সামান্য স্পর্শ করলে আরেকজন হারাম হয়ে যাবে এটা কুরআন হাদিসের কোথায় বলা আছে?
এটা তো হানাফি মাজহাবের বির্তকিত ফতোয়া।
বাকি সব মাজাহাবের ইমামরা এই ফতোয়ার বিরোধীতা করেছেন।
কারণ এর কুরআন হাদিস ভিত্তিক কোনো দলিল নেই।
এতে মারাত্মক কবীরা গুনাহ হয়,তবে হারাম সাব্যস্ত হয়না।
এই নিন হারাম যে হয়না এর রেফারেন্স সহীহ হাদিসের ভিত্তিতে,
Imam Bukhari relates from Saaiduna Ibn Abbas Radiallahu Anhu that, “If someone commits illegal sexual intercourse with his sister-in-law, then his married relation to his wife does not become unlawful. (Sahih Bukhari p.765 v.2)
Imam Darqutni relates from Saaidah Aaisha Radiallahu Anha that the Prophet of Allah Sallallahu Alahi Wasalam said, Haram (action) does not prohibit (make Haram) that which is Halal. The Haram (i.e. Hurmat Musaharah) is established through marriage.” (Sunan Darqutni p.188 v.3)
প্রত্যেকটা মাসাআলার সাথে দলিল দেয়া আছে
এদের সাথে কথা বলা না বলা সমান। হাস্যকর ফতওয়া বানাইছে নিজেরা। এই ফতওয়া অনুযায়ী তাদের নিজের বা তাদের বাবা মা দের বিয়ে ঠিক আছে কি না সন্দেহ আছে
আল্লাহকে ভয় করুন।
দলিল দেওয়া আছে বুঝলাম।
লজিক দেন।
যে স্পর্শ করেছে তার দোষ আছে।
যার গায়ে স্পর্শ করেছে তার দোষ কি?
একজন লোক তার ঘুমন্ত মায়ের শরীরে স্পর্শ করে ফেললো শয়তানের ধোঁকায় পরে, মা তার হাতের স্পর্শ বুঝতে পেরে সজাগ হয়ে তাকে চড় মারলো এবং ছেলে লজ্জা পেয়ে চলে গেলো, সে বুঝতে পারলো শয়তানের ধোঁকায় পরে সে হাত দিয়ে ফেলছিলো শরীরে এবং সে মায়ের পা ধরে মাফ চাইলো এমন ভুলের জন্য। এবং প্রমিজ করেছে এমন ভুল বেঁচে থাকতে করবেনা।
এতে দোষটা ছেলে করেছে শয়তানের ধোঁকায়, এবং পরে সে অনুতপ্ত হয়। তবুও দোষটা সন্তানের, সে যেহেতু শয়তানের ধোঁকায় পরে হাত দিয়ে ফেলছিলো।
এতে মায়ের দোষটা কি?
এতে মা বাবার বৈধ সম্পর্ক বিয়ে ভাঙ্গবে কেন?
মা তো কোনো দোষ করেনি।
আমি কোনো লজিক খুঁজে পাচ্ছিনা।
আপনি তো পোস্ট না বুঝেই কমেন্ট করা শুরু করেছেন। ভুলক্রমে হাত দিলে সেক্ষেত্রে এই হুকুম প্রযোজ্য না। ইসলামে ভুলকে ক্ষমা করা হয়েছে। তা ছাড়া ভুলে হাত দিলে কাপড়ের ভেতর তো আর হাত যাবে না। আমরা উপরে শর্ত লিখেছি স্পর্শ সরাসরি হতে হবে মানে কাপড়ের ভেতর দিয়ে।
আমি শুধু এটুকু জানতে চাচ্ছিলাম উপরোক্ত ৫ টি শর্তের সবগুলি পূরণ হতে হবে কিনা?
এমন ও হতে পারে কাপড় খানিকটা সরেছিল ঘুমের মধ্যে সে ওখানে স্পর্শ করে ফেলছে শয়তানের ধোঁকায় । কিন্তু তার কামভাব জাগ্রত হয়নি। মানে তার গোপনাঙ্গ দাড়ায়নি। এবং হাতের স্পর্শে লোকটি সজাগ হয়ে গেলো,সে ও সাথে সাথে হাত ছেড়ে দিলো।
★হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
এইটুকু দ্বারা কি বুঝাচ্ছেন?
হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে উত্তেজনা অনুভূত হলে হুরমাতে মুসাহহারা সাব্যস্ত হবেনা?
হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বলতে কয়েক সেকেন্ড আগে এমন বুঝাচ্ছেন?
যদি এমন হয়, তাহলে হুরমাতে মুসাহহারাত সাব্যস্ত হয়নি।
আসসালামুআলাইকুম,
৫ নং শর্তের বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন প্লিজ….
মানে, মেয়ের বা ছেলের বয়সের বিষয়টি।
অর্থাৎ ছেলে মেয়ে বালেগ না হতে হবে
মানে,ছেলের বয়স ১২ বছর এবং মেয়ের বয়স ৯ বছর হতে হবে?
সাধারণত এই বয়সে বালেগ হয় মানুষ। তাই বলা হয়েছে
আপন ভাইয়ের মেয়েকে স্পর্শ করাও কি হুরমতে মুসাহারাতের শর্ত প্রযোজ্য হবে?
জি না। তবে মারাত্মক গোনাহ হবে।
যদি ভুল বশত মাকে স্পর্শ করে ফেলে এবং মা সেটা জানে না । পরে সে এসব ইসলামী শরিয়ত জানার পর তওবা করলো, অনুতপ্ত হলো, আল্লাহর কাছে মাফ চাইলো, প্রতিগ্গা করলো যে সে কখনও এরকম কাজ করবে না, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরা শুরু করলো। এখনকি এই বিষয়টা তার মাকে জানাতে হবে?
প্রয়োজন নেই জানানোর
দয়া করে উত্তরটা দিবেন
১৬/১৭ বছর বয়সের কেউ যদি হুরমতে মুসাহারাত সম্পর্কে না জেনে যদি ভুল করে ফেলে এবং জানার পর সে যদি খাটি দিলে তওবা করে তাহলে কি সেটা মাফ হবে না? তবুও কি মা বাবার সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে? একটু জানাবেন হুজুর। কারণ সে অনেক চিন্তিত
হুজুর উত্তরটা দিয়েন উপরোক্ত প্রশ্নের
ম্যাকসিমাম বাঙালি নারীদের নাভি দেখা যায়! পেটে কাপড় থাকেনা। শয়তানের ধোকায় পরে যদি মাকে জরিয়ে ধরার সময় কামভাব অনুভূত হয় তাহলে কি হুরমতে মাসাহারা সাব্যস্থ হবে?
01715039399 কল দিয়ে মাসআলা জানুন
বর্তমানে মেয়েদের চলাফেরা খোলা মেলা। একঘরে বউ ও সৎমেয়ে নিয়ে থাকি।সৎ মেয়ের বয়স ১৪ বছর।গরমের সময় যখন বিদ্যুৎ থাকে না।তখন অনেক সময় কাপড় সরে যায়।তখন অসাবধানতাবশত যদি মেয়ের বুকের দিকে নজর পড়ে সেক্ষেত্রে মাস আলা জানতে চাই
জাযাকাল্লাহ খাইর
শুধু নজর পড়ার সাথে সাথে সরিয়ে নেয়ার দ্বারা সমস্যা হবে না
আসসালামু আলাইকুম। স্বামী স্ত্রী ঝগড়া হচ্ছিলো স্বামী স্ত্রী কে মারার কারনে স্ত্রী কান্নাকাটি করছিলো তখন শশুর গিয়ে পুত্রবধুর হাতে মুখে পানি দিয়ে দেয় এবং মাথায় হাত বুলায়ে দেয়,নিজের গায়ের সাথে আগলে ধরে পিঠে হাত বুলায়ে শান্তনা দেয় কান্না থামানোর জন্য এতে কি হুরমতের নিয়ম অনুযায়ী তার ছেলের জন্য বউ হারাম হয়ে যাবে?শশুর এই কাজগুলো পিতৃস্নেহ থেকে করছে নাকি তার মনে অন্য কোন খারাপ উদ্দেশ্য জাগ্রত হয়েছিল সেটা জানার তো উপায় নেই বা সে সরল মনে করলেও তার মধ্যে স্পর্শের মাধ্যমে কোন খারাপ অনুভূতি হয়েছিল কিনা তাও তো জানিনা।সে যখন এমনটা করেছিলো আমার সেটা ভালোলাগেনি এবং শরীরের অস্বস্তি কাজ করছিলো।আমি আমার স্বামীকে প্রচন্ড পরিমাণ ভালোবাসি।এইটাতে আমাদের সম্পর্ক হারাম হয়ে গেছে কিনা সেই চিন্তায় পাগল প্রায় অবস্থা। দয়া করে উত্তর দিবেন।
যৌন উত্তেজনা তৈরি হলে হারাম হবে, অন্যথায় নয়
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ, সর্বপ্রথম যে মাসালা টা বলা হয়েছে তার মধ্যে, বাবা মেয়ের সাথে যেনা করলে মেয়ের মা ওই স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যায়, অর্থাৎ সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায় ।
এই মাসআলার রেফারেন্স টা দিলে ভালো হয়।
ফোন করুন ০১৭১৫০৩৯৩৯৯। জাযাকাল্লাহ খাইর।
১৪ বছর বয়সী এক ছেলে হুরমতের বিধান না জেনে কামভাবের সাথে মায়ের দেহে হাত দিয়ে সাথে সাথে হাত সরিয়ে নেয়।পরে বিধান জানার পর ক্রমাগত আল্লাহর কাছে তওবা ইস্তেগফার করছে।শয়তানের ধোঁকায় পড়ে না জেনে সে এরূপ করেছে।এখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে কি হবে?তাদের কি হুরমত সাব্যস্ত হবে?
সোমবার রাত ১০টায় মাসিক আদর্শ নারীর ফেসবুক পেইজে লাইভে প্রশ্ন করুন