আখেরাতে তো নয়ই, হারাম উপার্জনকারীরা দুনিয়াতেও শান্তি পায় না – মুফতি শওকত কাসেমি

হারাম সম্পদ উপার্জনের দুনিয়াবি শাস্তি হলো, আল্লাহ তায়ালা তার জীবনকে সংকীর্ণ করে দেবেন। আর আখেরাতের শাস্তি হলো তাকে অন্ধ করে তুলবেন। মানুষ মনে করে, হারাম-হালাল কি, সম্পদ কামাই করতে পারলেই আরাম পাওয়া যাবে। অথচ আল্লাহ বলছেন, আমি তার জীবন সংকীর্ণ করে দেব। প্রশ্ন জাগে, মানুষ তো হারাম কামাই করার পরও বড়লোক হচ্ছে। জাকজমক আর আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করছে। এর উত্তরে তাফসিরে মায়ারিফুল কোরআনে মুফতি শফি রহ. বলেছেন, সংকীর্ণ জীবন মানে অশান্তির জীবন। পেরেশানির জীবন। টাকা-পয়সা থাকবে। বিপুল সম্পদ ও ক্ষমতা থাকবে। কিন্তু টেনশন ও পেরেশানি থেকে কখনো মুক্ত থাকবে না। এটা হলো হারাম সম্পদের দুনিয়াবি একটা মাত্র সাজা।

হারাম সম্পদের দুনিয়াবি প্রতিফল হলো, তারা স্ত্রী অনুগত হবে না। সন্তানরা নেক হবে না। পরিবার ও সন্তানকে হালাল টাকায় লালনপালন করা স্বামী ও পিতার ওপর আমানত ও দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে যে খেয়ানত করবে তার জন্য ওই পরিবার ও সন্তানই আজাবের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। হারামের সম্পদ দ্বারা যা কিছু করা হবে তা-ই বরকত ও কল্যাণশূন্য হবে।
হাদিসে পরিষ্কার আছে, হারাম উপার্জনকারীদের ইবাদত-বন্দেগি কবুল হয় না। হারাম সম্পদ ভোগকারীদের ব্যাপারে নবীজি আশ্চর্য হয়ে বলেন, তাদের দোয়া-মুনাজাত কবুল হবে কেমন করে!

হারাম সম্পদ কামাইকারী ও ভোগকারীদের জন্য আখেরাতের শাস্তি তো আছেই। কোরআনে এসব লোকদের শাস্তির বর্ণনায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তারা হারাম সম্পদ ভোগ করছে না, বরং আগুনের গোলা দিয়ে নিজেদের পেট বোঝাই করছে। হাদিস শরিফে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অন্যায় ও অবৈধভাবে কারও জায়গাজমি ভোগদখল করলে কেয়ামতের দিন সাত তবক যমিন তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।

যে বা যারাই অন্যের সম্পদ ভোগদখল করে, দশের সম্পদ লুটপাট করে তারা দুনিয়াতেও শান্তি-সম্মান পায় না; কবরেও না। বরং আখেরাতে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।

অনুলিপি : সাদ আবদুল্লাহ মামুন

One thought on “আখেরাতে তো নয়ই, হারাম উপার্জনকারীরা দুনিয়াতেও শান্তি পায় না – মুফতি শওকত কাসেমি

  1. আল্লাহ তাআলা আমাদের হারাম থোকে হেফাযত করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *