অশ্লীল ভিডিও চ্যাট কিংবা ভার্চুয়াল সেক্স ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম মনে করে, শুধু কল্পনা করে কোনো যৌন আচরণ করলেও গোনাহ হয়। কামভাব নিয়ে বেগানা নারী ইচ্ছাকৃতভাবে দেখলে চোখের জিনা হয়। স্পর্শ করলে হাতের জিনা হয়। ভাবলে মনের জিনা হয়। সে দিকে অগ্রসর হলে পায়ের জিনা হয়। এসব কথা বললে বা শুনলে মুখ ও কানের জিনা হয়। জিনা মানে জিনার মতো গোনাহ হয়।
ইসলামের এই নীতিমালার আলোকে অশ্লীল ভিডিও চ্যাট কিংবা ভার্চুয়াল সেক্স ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত। তবে এ কারণে ঠিক জিনার সমান শাস্তি না হলেও গোনাহ সমান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
কারণ, পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা জিনার ধারে কাছেও যেয়ো না। নিঃসন্দেহে এটা অশ্লীলতা ও খুবই মন্দ পথ।’
কোরআনে কারিমে জিনার ধারে কাছেও যেয়ো না থেকে কী বোঝা যায়? যেসব কাজ বা আচরণ জিনার কাছাকাছি, প্রেরণাদাতা বা পরিণামে জিনার দিকে নিয়ে যায়- এর সবই হারাম বা জিনার অনুষঙ্গ।
অতএব, মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য যেমন মৃত্যুর কারণগুলো থেকে বাঁচতে হয়। তেমনই জিনা থেকে বাঁচতে হলে জিনার কারণসমূহ থেকে বাঁচতে হবে।
হ্যাঁ, দীর্ঘদিন বিদেশে থাকলে বিবাহিত ব্যক্তির জন্য কষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। এর প্রতিকার হচ্ছে- অন্তরের চিন্তাভাবনা পবিত্র রাখা, ধর্মীয় আবহে অবস্থান করা ও অধিক পরিমাণ রোজা রাখা।
অনেক ইসলামি স্কলারের অভিমত হলো- ভিডিও চ্যাটিং ইত্যাদির মাধ্যমে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে যৌন আচরণ করা শরিয়তে হারাম নয়। তবে, যৌনতার উদ্দেশ্য যেহেতু মানসিক প্রশান্তি ও সন্তানাদিকে পৃথিবীতে আনা- এসব দ্বারা তো উদ্দেশ্য পূরণের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এমন আচরণকে ইসলামি শরিয়ত পূর্ণ সমর্থন দেয় না। তবে, এতে ভিন্ন নারী-পুরুষের মধ্যকার কঠিন গোনাহের মতো গোনাহ হবে না, কিন্তু বেঁচে থাকা ভালো।
অগত্যা যদি নিজেদের উভয়ের মানসিক প্রশান্তির জন্য বিশেষ করে অন্য কোনো গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য এসব করা হয়- তাহলে শরিয়ত কিছুটা শিথিলতা দেখাতে পারে। এ ব্যাপারে হাদিসেও ইশারা পাওয়া যায়।
তবে, স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পর নারী-পুরুষের বেলায় এসব সম্পূর্ণ হারাম।