সুরা আর-রহমান শুনতে শুনতে অপারেশন, বেঁচে যায় মৃতপ্রায় রোগী

পাকিস্তানের লাহোরে তীব্র বিষাক্ত পিল খেয়ে  ২২ বছর বয়সী মুহাম্মদ হাফিজ আব্বাস হাসপাতালে আসেন। লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। অবস্থা দেখে ডাক্তার অপর ডাক্তারের কাছে মন্তব্য করলেন, ‘তেমন আশা নেই, বাঁচার সম্ভাবনা ১০ শতাংশেরও কম।’

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের বরাতে জানা যায়, এরপর মাত্র তিন দিনের মাথায়ই সুস্থ হয়ে হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন হাফিজ। অথচ আইসিইউতে ১৫০ বার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তার!

তার ডাক্তার মুহাম্মদ জাবেদ তার বেঁচে ওঠার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর তার হার্ট সচল রাখতে ১৫০ বার ইলেকট্রিক শক দিতে হয়। বারবার তার কিডনি ও পাকস্থলি পরিষ্কার করা হয়। অনেক পরে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি বলেন, আমি জীবনেও শুনিনি ১৫০ বার হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়া কোন রুগী বেঁচে ফিরেছে।

ডাক্তার জাবেদ নিশ্চিত, আইসিইউতে হাফিজের বিছানার পাশে অনবরত কুরআন তেলাওয়াত বাজানোর কারণেই জীবন রক্ষা হয়েছে তার। কুরআনের আয়াতই অলৌকিকভাবে রক্ষা করেছে হাফিজকে।

ডা. জাবেদ বলেন, ‘হাফিজের চিকিৎসা চলাকালে আমি অনবরত সুরা আর-রহমান বাজাতে থাকি। কোন ওষুধ বা চিকিৎসা নয়, মহিমাময় এ সুরাটির কারণেই রক্ষা পেয়েছে সে।

তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়া পান হাফিজ। তার প্রেসক্রিপশনে সবার ওপরে ডাক্তার জাবেদ লেখেন, ‘সুরা আর-রহমান ১-১-১’, অর্থাৎ প্রতিদিন তিনবার সুরাটি তেলাওয়াত করতে হবে রোগীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.