দীন ইসলাম সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, মুসলমানদের অন্তরে ভাল কাজের আগ্রহ-উদ্দীপনা এবং মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকার মনোভাব সৃষ্টির জন্য যে চেষ্টা প্রচেষ্টা চলছে, চাই তা যে সহীহ পদ্ধতিতেই হোক না কেন এগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা যেমন সন্দেহাতীতে তেমনি সেগুলোর গুরুত্বও সর্বজন স্বীকৃত।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, তাদের প্রত্যেকের যে শুধু নিয়ত ও কর্মপদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন তাই নয় বরং চিন্তাধারা, কর্মকৌশল, নিয়ম-কানূন ইত্যাদির বিচারেও একে অপর থেকে পৃথক। এমতাবস্থায় দীনী মারকাজ ও মাহফিল, আন্দোলন ও সংগঠন এবং মাদরাসা সমূহ ইত্যাদির পারস্পরিক সম্পর্ক; সর্বোপরি দীনের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত দা‘ঈদের পারস্পরিক আচরণ ও উচ্চারণ কেমন হওয়া উচিত তা জেনে নেয়া দরকার।
আমাদের অবস্থান : দীন ইসলাম হল একটি দূর্গ, শান্তি-সুখের রাজপ্রাসাদ। যে ব্যক্তি এর মধ্যে প্রবেশ করবে সে ঝড়-তুফান, ঘুর্ণিবায়ু এবং অগ্নিঝরের চাইতে মারাত্মক বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভ করে জান্নাতের চির সুখ-শান্তি আর নিরাপত্তার অধিকারী হবে। সুতরাং সাধারণ দূর্গ বা রাজপ্রাসাদ যেমন কারো একক প্রচেষ্টায় অস্তিত্ব লাভ করতে পারে না। বরং ইঞ্জিনিয়ার, রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী এবং যোগালী সহ সকল কর্মচারীর যৌথ প্রচেষ্টা জরুরী। তদ্রূপ দীনের এ দূর্গ বা রাজপ্রাসাদও শুধু যে কোন এক দলের প্রচেষ্টা বা মেহনতে পরিপূর্ণভাবে ওজুদে আসতে পারে না। বরং তার জন্য জরুরী হল দীনের সাথে সম্পৃক্ত সব দলের যৌথ তৎপরতা এবং প্রচেষ্টা।
তা‘লীম, তাবলীগ ও তাযকিয়া মৌলিক বিষয়
এ বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়াতে আগমনের মৌলিক যেসব লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে তার মধ্যে তা‘লীম, তাবলীগ ও তাযকিয়া সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: (তরজমা) “তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তাঁর আয়াতসমূহ, তাদের অন্তরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কুরআন ও সুন্নাহ।” (সূরা জুম‘আ, আয়াত নং-২)
উক্ত কাজগুলোর কোন একটির ব্যাপারেও নির্দিষ্ট করে একথা বলা যাবে না যে, মূল হচ্ছে একাজ; আর অন্যগুলো গৌণ; মর্যাদা ও গুরুত্বের বিচারে এটা অগ্রগণ্য আর বাকিগুলো তেমন নয়।
শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি ও তার মর্যাদা
মুহিউস্ সুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব রহ. এ কথাটি বড় সুন্দর করে বলেছেন। তিনি বলেন : ‘অভিন্ন জাত ও অভিন্ন প্রকৃতির বস্তুর মধ্যেই শুধু তুলনা চলে। পরস্পর বিপরীত দুই বস্তুর মধ্যে তা হয় না। সুতরাং কেউ যদি প্রশ্ন করে চোখ বেশী জরুরী নাকি কান বেশী জরুরী? তাহলে বলা হবে স্ব-স্ব স্থানে উভয়টিই জরুরী। এক্ষেত্রে তুলনা করাই ভুল। তবে, এটা বলা যেতে পারে যে, উভয় চোখের মধ্যে যে চোখে ভাল দেখা যায় সে চোখ বেশী ভাল। আর উভয় কানের মধ্যে যে কানে ভালো শোনা যায় সে কান বেশী ভাল।
উপরোক্ত উদাহরণের আলোকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল যে, কেউ যদি প্রশ্ন করে “তা‘লীম তাযকিয়া ও তাবলীগের মধ্যে কোনটা বেশী জরুরী?” তাহলে তার এই প্রশ্ন ঠিক হবে না। কেননা এগুলোর প্রতিটি পৃথক পৃথক বিষয়। আর ভিন্ন প্রকৃতির বস্তুর মধ্যে তুলনা চলে না। সুতরাং উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ই জরুরী। অর্থাৎ, স্ব-স্ব স্থানে তা‘লীম যেমন জরুরী তেমনি তাবলীগও জরুরী। অনুরুপভাবে তাযকিয়াও জরুরী। বরং তাবলীগ ও তা‘লীম কবূল হওয়ার জন্য তাযকিয়া অপরিহার্য। (মাজালিসে আবরার: ২৯৪)
শাখাত্রয়ে পরস্পর সম্পর্ক এবং তার উপকারিতা
মুহিউস্ সুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব রহ.-এর একটি কথা খুবই উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন : ‘মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ পৃথক পৃথক কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ নিজের শরীরের কোন অঙ্গকে তুচ্ছ মনে করে না। অঙ্গসূহের পৃথক পৃথক কাজের কোনো তুলনাও করে না। এমন কি এক অঙ্গকে অপর অঙ্গের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না। এমনি ভাবে দীন ইসলামও একটি দেহ সদৃশ। তার বিভিন্ন অংশ আছে।
কেউ মাদরাসায় তা‘লীম তারবিয়াতের কাজ করছে, কেউ তাবলীগ করছে, আবার কেউ খানকাতে তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কাজ করছে। এমতাবস্থায় দীনের বিভিন্ন শাখায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা একে অপরকে তুচ্ছ বা হেয় জ্ঞান করে কিভাবে? তাছাড়া পরস্পরে কাজের তুলনা করা বা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিই বা মনে করার সুযোগ কোথায়! এ কারণেই দেখা যায় যে, পূর্ববর্তী আওলিয়ায়ে কিরাম দীনের সবধরনের খাদেমদের ইকরাম ও তা‘যীম তথা শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন।
{وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى} [المائدة : ٢
অর্থাৎ, ভালো কাজের পরস্পর সহযোগিতা করার নির্দেশ দিতেন। সুতরাং একে অপরকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ‘আমাদের’ ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে; ‘আমাদের’ মাদরাসা চলছে, ‘আমাদের’ দল আগে বাড়ুক; এসব কি ধরনের কথা! ? দীনকে সামনে রাখুন। নিজেকে পেশ করবেন না। কারোর বয়ান দ্বারা যদি সমাজের ব্যাপাক উপকার হয় বা কোন মাদরাসা দ্বারা যদি দীনের উপকার হয় তাহলে হিংসা বা আত্মপীড়নের কী আছে?’ (মাজালিসে আবরার, পৃ: ৮৪)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের শক্তিশালী মুখপাত্র ও নির্ভীক সৈনিক আল্লাম্মা মুহাম্মাদ মনযূর নোমানী রহ. বলেন : ‘এ কাজ (দাওয়াত ও তাবলীগ) ছাড়াও দীনের আরো অনেক কাজ ও শাখা আছে। যেমন-মক্তব মাদরাসা ও দীনি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। অন্তর থেকেই সেগুলোকে সম্মান ও মূল্যায়ন করা চাই এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য আমাদের অন্তরে হামদর্দী ও সহানুভূতি থাকা উচিত। আল্লাহ তা‘আলার যেসব বান্দা ইখলাস ও লিল্লাহিয়াতের সাথে এসব বিষয়ে নিজেদের শ্রম ও কুরবানী পেশ করে যাচ্ছেন সেসব বান্দাদেরকে যথাযথ ভক্তি ও শ্রদ্ধা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ না করুন!
আমাদের কাজকেই যদি দীনের একমাত্র কাজ মনে করি আর দীনের অন্যান্য কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব সৃষ্টি হয় তাহলে এটা হবে আমাদের গোমরাহী ও বদনসীবী। বরং দীনের দাবীতে বদদীনী হবে। নিজেরদেকে বিশেষ করে হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরাম ও আহলুল্লাহদের খাদেম ও অনুগত ভৃত্য মনে করবে। তাদের থেকে উপকৃত হবার জন্য সময়ে সময়ে তাদের খেদমতে হাজির হবে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক রাখাকে নিজের জন্য আবশ্যকীয় প্রয়োজন মনে করবে।’ (আল ফুরকান, পৃ: ৭, ভলিয়ম-১৯)
ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. বলেন : ‘আমাদের এই আন্দোলনের (দাওয়াত ও তাবলীগ) সমসাময়িক অন্যান্য আন্দোলন ও প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ‘বাণীনির্ভর’ বিষয়গুলোকে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানিয়ে ইখলাসের সাথে কাজ করে তাহলে আমাদের উচিত তাদের সাথে ইখতিলাফ না করা। বরং তাদের কাজকে স্বত:স্ফূর্তভাবে সমর্থন করা ও স্বীকৃতি দেয়া উচিত। সাথে সাথে তাদের জন্য দু‘আ করা এবং তাদের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখা।’ (মাসিক আল ফুরকান: পৃ: ৩-৫, ভলিয়ম: ২০)
শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী (দা. বা.) বলেন: ‘উম্মতে মুসলিমাকে আজ চতুর্মুখী ফিতনা ঘিরে রেখেছে। ফিতনার যেন ঝড়-তুফান চলছে। কিংবা মুষলধারে বর্ষণ চলছে। এই চতুর্মুখী ঝড়-তুফানের মোকাবিলা করা কোনো এক জামাতের পক্ষে সম্ভব নয়। একেকটি জামা‘আতকে এখন একেকটি ফিতনার মোকাবেলায় শক্তভাবে দাঁড়ানো উচিত। এবং জান, মাল, চিন্তা ভাবনা ও শক্তি-সাধনা সেই কাজেই পূর্ণভাবে নিয়োজিত করা উচিত। কাজের পথ ও পন্থা ভিন্ন হতে পারে এবং ভিন্ন হওয়াই স্বাভাবিক। তবে অন্যান্য দীনী মেহনতের প্রতিও হামদর্দী ও সহানুভূতি থাকতে হবে।
কিন্তু প্রত্যেক জামা‘আত যদি আচরণে ও উচ্চারণে একথা বুঝায় যে, এটাই একমাত্র কাজ এবং একমাত্র কর্মপন্থা; সুতরাং এটাই সবার করা উচিত তাহলে এটা হবে গুরুতর ভুল। কেননা আসল উদ্দেশ্য দীনের খেদমত। আর কোন মানুষ যদি ইখলাসের সাথে দীনের কোন খেদমতে নিয়োজিত থাকে তাহলে তার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা উচিত নয়। বরং দু‘আ ও সাধ্যমতো তাকে সাহায্য করা উচিত। কিন্তু উদার মানসিকতা ও সহমর্মিতা আমাদের মাঝে এখন একেবারেই অনুপস্থিত। এটা অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি করে এবং দীনের বড় ধরনের ক্ষতি করে। এতে উম্মতের বিভিন্ন তবকার মাঝে অযথা ব্যবধান ও দূরত্ব সৃষ্টি করে। (১৪২১ হিজরীতে ঢাকার বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে তিনি এ বয়ানটি করে ছিলেন।)
বর্তমান পরিস্থিতি
আল্লামা মুহাম্মাদ মনযূর নোমানী রহ. বলেন: ‘দীনের অপরাপর আন্দোলনের ও প্রতিষ্ঠানের খেদমত ও অবদান স্বীকার না করা, সেগুলোকে যথার্থ মূল্যায়ন না করা এবং সামান্য ইখতেলাফ ও মতানৈক্যের কারণে সমালোচনা মুখর হওয়া যামানার এক মহামারি ব্যাধি হয়ে দেখা দিয়েছে। আর শয়তানও এ কাজে বিরাট সফলতা পেয়ে গেছে। বিভিন্ন দল ও সংগঠনের এরকম মনোভাব সৃষ্টি করে উম্মতের দায়িত্বশীল লোকদেরকে শতধা বিভক্ত করে দিয়েছে। ফলে প্রত্যেকেই একে অপরের দোষ চর্চায় মেতে উঠেছে। কিন্তু তার গুণ ও অবদানের কোন আলোচনাই নেই। (মাসিক আল ফুরকান, পৃ: ৩, ৪, ও ৫, ভলিয়ম: ২০)
আজ বাতিল যেখানে বিভিন্ন আকৃতি ও অবয়বে যে শুধু আত্মপ্রকাশ করছে তা-ই নয় বরং সমস্ত কুফরি শক্তি এক প্লাটফর্মে জমা হয়ে ইসলামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কুরআনের ভাষায়: {وَهُمْ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ} [الأنبياء : ٩٦]
অর্থাৎ, ‘প্রত্যেক উঁচু ভূমি হতে তারা দ্রুত ছুটে আসছে।’ এমন নাযুকতম পরিস্থিতিতে আহলে হকের ঝান্ডবাহী কর্মীদের এ অবস্থা বিদ্যমান থাকা খুবই পরিতাপের বিষয়। উচিত ছিল আপোসে মুহব্বাত ও ভালোবাসার আবহ গড়ে তোলা; যাতে পরস্পর সম্পর্ক ভালো থাকে।
পরিস্থিতির দাবী
এ নাযুক পরিস্থিতে প্রত্যেকেরই উচিত সাধ্য ও সামর্থ অনুযায়ী পছন্দমতো যে কোন দীনী কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করা। যিনি যে শাখাতেই কাজ করুন না কেন তিনি মূলত : দীনেরই কাজ করছেন। দীনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা একে অপরের সহকর্মী ও সহযোগী।
দুঃখ-দুর্দশায় শরিক হওয়া সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা চাই। সর্বোপরি একে অপরের খেদমত সমূহের প্রশংসা করা এবং তার কাজের তারাক্বি ও অগ্রগামিতায় আনন্দ প্রকাশ করা। এজন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা।
১. ইহতিমামের সাথে একে অপরের জন্য দু‘আ করা। এবং পরস্পর একে অপরের নিকট দু‘আ দরখাস্ত করা। এতে লাভ এই হবে যে, প্রত্যেকেই অপরকে নিজের জন্য দু‘আ করনেওয়ালা মনে করবে। এভাবেই পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কারো কোনো ভুল-ত্রুটি প্রকাশ পেলে আপোসে বা বৈঠকে আলোচনা-সমালোচনা না করা বরং হামদর্দী ও সহানুভূতির সাথে তা সংশোধনের চেষ্টা করা। অথবা যাদের দ্বারা এর সংশোধন সম্ভব তাদেরকে অবহিত করা।
২. সময়-সুযোগ মত পরস্পর মিলিত হয়ে একে অপরের কাজের খোঁজ নেয়া। কাজের তরক্বী ও অগ্রগামিতায় আনন্দ প্রকাশ করা। কোন সমস্যা দেখা দিলে তা নিরসনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য করা এবং সুপারমর্শ দেয়া।
৩. নিজের মহল্লার উপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। যেখানে যে কাজের প্রয়োজন দেখা দেয় সে কাজের যোগ্য লোকদের দৃষ্টি আকর্ষন করা। এবং নিজের শক্তি সামর্থ অনুযায়ী তাদের সাহায্য করা।
৪. নিজেদের কাজের পরিচিত ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ণনা করা এবং তাতে অংশ গ্রহণের জন্য এমনভাবে উৎসাহ দেয়া যাতে দীনের অন্যান্য কাজের সাথে তুলনাও না হয় আবার তুচ্ছজ্ঞান করাও না হয়। বরং ক্ষেত্র বিশেষে অন্যান্য কাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার স্বীকৃতি দিবে যেন উদার মনোভাবের পরিচয় ফুটে ওঠে। (মাওলানা ইফজালুর রহমান কৃত ‘বা হামী রবত কেয়ছা হো?’)
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এ কথাগুলোরে উপর আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।