হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কায়রোর প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সময়ে একদিন তিনি এক ইয়াহুদির তেলের কারখানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঐ সময় ইয়াহুদি ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহে তেলের কারখানায় কাজ করছিল।
প্রধান বিচারপতিকে দেখে ইয়াহুদি এগিয়ে এসে ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে বললেন, ‘আমার একটি প্রশ্ন আছে। আপনাকে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ইয়াহুদি বললেন ‘এ পৃথিবী মুমিন মুসলমানদের জন্য দোজখ আর অবিশ্বাসীদের জন্য বেহেশত’ আপনাদের রাসুলের এ কথাটি কি সত্য?
কায়রোর প্রধান বিচারপতি হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন– হ্যাঁ তিনি সত্যই তা বলেছেন।
তখন ইয়াহুদি বলল, যদি তাই হয় তাহলে আপনি বলুন, আপনি এখন কোন দোযখে আছেন এবং আমি কোন বেহেশতে আছি?
ইবনে হাজার আসকালানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য বেহেশতে যে নিয়ামত ও অফুরন্ত সুখ-শান্তি রেখেছেন, তার তুলনায় এ দুনিয়ার জীবন বিষাদময়, দোজখ-স্বরূপ। আর অবিশ্বাসীদের জন্য পরকালীন জীবনে দোজখের যে ভয়াবহ শাস্তি এবং দুর্বিষহ জবীন রয়েছে, তার তুলনায় এ পৃথিবী তাদের জন্য বেহেশত-স্বরূপ।’
প্রধান বিচারপতির উত্তরের সঙ্গে সঙ্গে ইয়াহুদি লোকটি বললো, ‘আমি আজই (এখনই) ইসলাম গ্রহণ করব, আমাকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় দিন। (আল্লাহু আকবার)!
শিক্ষা: দুনিয়ার সামান্য চাকচিক্য ও স্বল্প সুখের নেশায় মত্ত না হয়ে পরকালের সীমাহীন জীবনের সুখ-শান্তি লাভে আল্লাহ তাআলা হুকুম-আহকাম পালন করা আবশ্যক কর্তব্য