মাসুম থা না, ওয়াকফ সুজুদ ওয়া দুআ থা মাঁই # খুবি মেরি ইয়েহি থি কে আহলে খতা থা মাঁই # ইবলিস হ্যাঁয় মেরে লিয়ে য়েক ইমতিহান তো কিয়া # ইবলিস কে লিয়ে ভি তো য়েক ইবতেলা থা মাঁই
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। আমরা পদে পদে আল্লাহ পাক যে উদ্দেশ্যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, সেই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হই। আমরা ক্ষণে ক্ষণে আল্লাহ পাকের বিধান লঙ্ঘন করি, নিষিদ্ধ পথে চলি, গোনাহে লিপ্ত হই। আর এই গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের ইস্তেগফারের নেয়ামত দিয়েছেন।
আল্লাহ তা’য়ালা ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে গুনাহ করার যোগ্যতাই নেই। এর বিপরীতে বনি আদমকে গুনাহ করার যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এবং গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার হাতিয়ার হিসাবে ইস্তেগফারও দিয়েছেন। তাকে এভাবেই দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।
ইবলিসের মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা যেভাবে আদম আ:-কে বিরাট বড় পরীক্ষার সম্মুখীন করেছেন তেমনি আদম আ: কে সেজদা করার আদেশ দিয়ে ইবলিসকেও আল্লাহ তা’য়ালা পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ইবলিস আদম আ:-কে সেজদা না করে আল্লাহর হুকুম অমান্য করেছে। আর এটা অপরাধ এ কথা জেনেও সে আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করেনি। যার ফলে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে লা’নত করেছেন। এর বিপরীতে আদম আ: যখন নিজের ভুলের কথা জানতে পেলেন সাথে সাথে ‘রাব্বানা যালামনা’ এই দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করেন। আর এই ইস্তেগফারের বদৌলতেই আল্লাহ তা’য়ালা তাকে ক্ষমা করে দেন।
ইস্তেগফার বনি আদমের প্রতি আল্লাহ তাআলার অনেক বড় দান, বিস্ময়কর দান। অনেক বড় রহমত। ইস্তেগফার মানে আল্লাহ তাআলার কাছে বান্দার ক্ষমা চাওয়া। এই বাক্য বড় জবরদস্ত বাক্য। এক মুহূর্তের ইস্তিগফারে আল্লাহ তাআলা বান্দার সত্তর বছরের গুনাহ মাফ করে দেন।
অতএব এই ইস্তেগফার আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় একটা নিয়ামত। এই নিয়ামতের যথাযথ কদর করা উচিত। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।
ভাষান্তর: মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ