কিউ এম জি দস্তগীর
——————-
বর্তমান বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি স্লোগান আছে, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”।
আর এর দোহাই দিয়ে মুসলমান ছেলে-মেয়েরা হিন্দুদের পূজোতে/মণ্ডপে অবাধে মেলামেশা করছে স্বাচ্ছন্দ্যে! এমন কি, এটা জায়েয কাজ মনে করছে! তারা গুনাহের প্রতি এক বিন্দুও সতর্ক নয়!
প্রকৃতপক্ষে আমরা যদি স্লোগানটিকেই বিশ্লেষণ করি তবে বুঝতে পারব যে, পরোক্ষভাবেই এর মাঝে উত্তর নিহিত আছে।
১) ধর্ম যার যার হলে, প্রথমেই ইসলাম বলে, বিজাতীয় সংস্কৃতি মুসলমানের জন্য না জায়েজ ও হারাম।
তো ধর্ম যার যার হলে এখানে ইসলাম ধর্মই তো বলছে বিজাতীয় সংস্কৃতি মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। তাই এ কথা স্পষ্ট যে, পূজোতে যাওয়া হারাম কথাটা স্লোগানেই পরোক্ষভাবে বলা হয়েছে।
২) বেগানা নারী-পুরুষ কুলের জন্য পর্দা ফরজ। তাই আমরা জানি পূজোতে পর্দার কোনো বিধান নেই বরং অবাধে মেলামেশা এমন কি অবৈধ যৌন চর্চার পরিবেশ অনেক জায়গায় গড়ে উঠে, যা কামভাবের সূচনা ঘটায় ফলে গুনাহের সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।
তাই এজন্য বলি ভাই/আপু এসব যেহেতু ইসলাম সমর্থন করেনা তাই আমাদের এসব গোমরাহি বাদ দিয়ে ইসলামকে হৃদয়ে লালন করে যথাযথ আমল করার চেষ্টা করা উচিৎ।
স্পষ্টভাবে আরেকটা কথা বলে রাখি যে, কোন ধর্মকে ছোট/হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
এমন কি ইসলাম এটাকে নিরুৎসাহিত করেছে ও যার যার ধর্ম তার তার কাছে বড় বলে সম্মানও দিয়েছে এবং ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধও করা হয়েছে।
তাই বলছি, মূল উদ্দেশ্য হল আমার মুসলমান ভাই-বোনদের ভ্রান্ত ধারণাকে উপড়ে ফেলে সঠিক কথাটি জানিয়ে দেয়া।
আর আমাদের তথা সমগ্র মানব জাতির কল্যাণের জন্য প্রেরিত গ্রন্থ আল-কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক যথাযথ জীবন গঠনে নিজেকে গড়ার জন্য সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা মাত্র।
এখন আশা করি সবাই জেনে বুঝে শরীয়ত বিধি মোতাবেক জীবন গঠন করবে। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুক,আমীন।
প্রতিটি মুসলিম নর ও নারী এর জন্য পর্দা করা ফরজ। অন্য ধররমকে শ্রদ্ধা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের ধর্ম পালন করা যাবে না।
জাযাকাল্লাহ।