ইসলাম ও মওদুদীবাদ : সংক্ষেপে ১৫টি মন্তব্য ও খণ্ডন

মুফতী মনসূরুল হক দা.বা.


যুগে যুগে আমাদের আকাবিরগণ নব্য বাতিলের মুকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে দ্বীনী দায়িত্ব পালনের এক উজ্জ্বল নমুনা জাতির সামনে রেখে গিয়েছেন । কিয়ামত যতই সন্নিকটে আসবে, বাতিলের সয়লাব ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই আকাবিরদের অনুসরণে দ্বীন ও ঈমানের হেফাযতের জন্য ও বাতিলের মুকাবিলার লক্ষে দ্বীনের খাদেমদের সর্বদা প্রস্তুত থাকা ঈমানী দায়িত্ব।

দীর্ঘদিন যাবত আবুল আলা মওদূদী সাহেবের প্রবর্তিত ফিতনা মহান আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীন-ইসলামের উপর আঘাত হেনে চলেছে। নিরীহ ধর্মপ্রাণ সরল মুসলমানগণ দ্বীন অনুশীলনের ধোঁকায় পড়ে উক্ত ফিতনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজেদের দ্বীন ও ঈমান হারাতে বসেছে। আমাদের আকাবিররা উক্ত ফিতনা সম্পর্কে মুসলিম জাতিকে অবহিত করে গিয়েছেন। বর্তমানে ইসলামের খাদিমদেরও দায়িত্ব হচ্ছে, এই ফিতনার মূলোৎপাটনের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা চালানো। বলাবাহুল্য, এই ব্যাপারে হক্কানী উলামায়ে কিরামের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

মওদূদী সাহেবের ভ্রান্ত মতবাদের দিকে জাস্ট ইঙ্গিত করতে গেলেও তা মাঝারী আকারের একটি স্বতন্ত্র বইয়ের আকার ধারণ করবে। কাজেই আমরা এখানে মওদূদী সাহেবের ঐ সমস্ত ভ্রান্তির মধ্য থেকে ১৫টি নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা পড়লে বুঝতে পারবেন যে,  যাদের দ্বীনের সাথে সামান্যতম সম্পর্ক আছে, তারাও এমন কথা কখনই বলতে পারে না।

উল্লেখ্য যে, মওদূদী সাহেবের সাথে আমাদের বিরোধ রাজনৈতিক নয়, যেমনটি আজকাল প্রচার হচ্ছে। বরং, এটা আমাদের আদর্শিক দ্বন্দ্ব। এখানে প্রশ্ন ঈমান ও কুফরের, সত্য ও মিথ্যার।

নিম্নে মওদূদী সাহেবের ভ্রান্ত মতবাদের কিছু নমুনা পেশ করা হল:-

(১) আল্লাহ সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: মহান আল্লাহ কোনো ক্ষেত্রে জুলুমের আশঙ্কাজনিত কোনো বিধান দেননি। (সূরা ইউনুস- আয়াতঃ৪৪)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ যেক্ষেত্রে নর- নারীর অবাধ মেলা-মেশার সুযোগ রয়েছে, সেক্ষেত্রে যিনার কারণে আল্লাহর আদেশকৃত রজমের শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম। (তাফহীমাত ২-২৮১)

(২) ফেরেশতা সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: ফেরেশতাগণ নূরের তৈরী আল্লাহর মাখলূক। তাদেরকে মহিলা বা পুরুষ কোনোটাই বলা যাবে না। তাদের খানা-পিনার প্রয়োজন হয় না। তারা সর্বদা আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন। (শরহুল আকাইদ-১৩৩)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিষ, যাকে গ্রীক,ভারত প্রভৃতি দেশের মুশরিকরা দেব-দেবী স্থির করেছে। (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন-১০)

(৩) পবিত্র কুরআন সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: পবিত্র কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করা নাজায়িয ও হারাম। (তিরমিযী শরীফ,২/১১৯)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ কুরআন শরীফের মনগড়া ব্যাখ্যা করা জায়িয। তিনি তাফহীমুল কুরআনের ভূমিকাতে লিখেন: কুরআনের এক একটি বাক্য পড়ার পর, তার যে অর্থ আমার মনে বাসা বেঁধেছে এবং মনের ওপর তার যে প্রভাব পড়েছে, তাকে যথাসম্ভব নির্ভুলভাবে নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি। (তাফহীমুল কুরআন,বাংলা ১/১০)

(৪) আম্বিয়ায়ে কেরাম (আলাইহিমুস্ সালাতু ওয়াসসালাম) সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: নবীগণ মাসূম তথা নিষ্পাপ, তারা যাবতীয় গুনাহ থেকে পবিত্র। (শরহুল আক্বাইদঃ১৫২)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ নবীগণ মাসুম নন। প্রত্যেক নবীর দ্বারাই কোনো না কোনো গুনাহ সংঘটিত হয়েছে। (তাফহীমাত ২/৪৩)

(৫) ঈসা আ.কে আসমানে উত্তোলন সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: মহান আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত ঈসা আ.কে জীবিতাবস্থায় সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। (সূরা-আল ইমরান আয়াত ৫৫)

কিন্তু অমুসলিম ভ্রষ্ট কাদিয়ানী সম্প্রদায় এ সত্যকে স্বীকার করে না। মওদূদী সাহেবও তাদের অনুকরণ করে বলেনঃ ‘হযরত ঈসা আ.কে আল্লাহ তা‘আলা আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন এ কথা বলা যাবে না, আবার তিনি মারা গেছেন একথাও বলা যাবে না। বরং, বুঝতে হবে, এ ব্যাপারটি অস্পষ্ট। (তাফহীমূল কুরআন, উর্দূ, ১/৪২১)

(৬) মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন। (তরজুমানুস্সুন্নাহ্-৩/৩৫০, শরহুল আকাইদ-১৩০)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশবর্তী হয়ে গুনাহ করেছিলেন। যে কারণে ‘সূরা নাসর’ এর মধ্যে তাকে তাওবা ও ইস্তেগফার করতে বলা হয়েছে। (তাফহীমুল কুরআন বাংলা, ১৯/২৯০)

(৭) সুন্নাত সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদত-আখলাক ও স্বভাব-চরিত্র আমাদের অনুকরণের জন্য উত্তম নমুনা বা আদর্শ। (সূরা আহযাব ২১, বুখারী শরীফ ২/১০৮৪)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদত-আখলাককে সুন্নাত বলা ও তা অনুকরণে জোর দেওয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরণের বিদ‘আত ও ধর্ম বিকৃতির নামান্তর। (রাসায়েলে মাসায়েল-১/২৪৮)

(৮) ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য:

মহান আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম হল ইসলাম। (সূরা আল ইমরান- ১৯)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ ইসলাম কোনো ধর্মের নাম নয় বরং এটি হলো একটি বিপ্লবী মতবাদ। (তাফহীমাত-১/৬২)

(৯) সাহাবায়ে কেরাম (রিযওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাইন) সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: সাহাবায়ে কেরাম (রিযওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন) সত্যের মাপকাঠি। (সূরা বাক্বারা-আয়াত ১৩৭, বুখারী শরীফঃহা.৩৬৫১)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি জানবে না। (দস্তুরে জামায়াতে ইসলামী-পৃঃ৭)

(১০) মাযহাব এর তাক্বলীদ (অনুসরণ) করা সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম বলে: চার ইমামের পরবর্তী যুগের মুসলমানদের, চাই তারা আলেম হোক বা মূর্খ হোক; হানাফী, শাফেয়ী, মালিকী, হাম্বলী, এই চার মাযহাবের কোনো এক নির্দিষ্ট মাযহাবকে অনুসরণ করা ওয়াজিব। এ চার মাযহাবের অনুসারী সকল মুসলমান ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত’ নামে অভিহিত।

মওদূদী সাহেব বলেনঃ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য তাক্বলীদ করা, তথা চার মাযহাবের কোনো এক মাযহাবের অনুসরণ করা নাজায়িয ও গুনাহের চেয়েও জঘন্যতম। (রাসায়েলে মাসায়েল, ১/২৩৫)

(১১) নামায রোযা ইত্যাদি সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: দ্বীনের আসল মাকসাদ হচ্ছে; নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি কায়েম করা। আর ইসলামী হুকুমত উক্ত মাকসাদ অর্জনে সহায়ক। (বুখারী শরীফ-কিতাবুল ঈমান.হাদীস নং-৮)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ দ্বীনের আসল মাকসাদ হচ্ছে, ইসলামী হুকুমত। আর নামায,রোযা,হজ্জ,যাকাত, প্রভৃতি ইবাদত হচ্ছে উক্ত মাকসাদ অর্জনের মাধ্যম মাত্র। (আকাবিরে উম্মত কি নযর মে মাওলানা মওদূদী পৃঃ ৬৪, জিহাদের হাক্বীকত-১৬)

মওদূদী সাহেবের উপরোক্ত বক্তব্যের ফল এই দাড়ায় যে, ইসলামী হুকুমত অর্জিত হলে নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদতের কোনো প্রয়োজন থাকবে না। কেননা, মাকসাদ অর্জিত হয়ে গেলে মাধ্যমের আর প্রয়োজন থাকে না। অথচ ইসলামী হুকুমত কায়েম হোক বা না হোক, সকল মুসলমানের মৃত্যু পর্যন্ত নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত পালন করতে হবে।

(১২) ইফতার সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: রোযার শেষ সীমা সূর্যাস্ত পর্যন্ত, সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে ইফতার করতে হবে, এর আগে ইফতার করলে রোযা হবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৩৭১এইচ এম সাঈদ)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ ইফতারের জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারিত নেই। তাই কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট এদিক সেদিক হলে রোযা নষ্ট হবে না। যার অর্থ দাড়ায় যে, সূর্য ডোবার আগেও ইফতার করতে পারবে। (তাফহীমূল কুরআন উর্দূ ১/১৪৬)

(১৩) দাড়ি সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং দাড়ি এক মুষ্টি পরিমাণ লম্বা রাখাও ওয়াজিব। (মুসলিম শরীফ-১২৯) ।

মওদূদী সাহেব বলেনঃ দাড়ি কাটা/ছাঁটা জায়িয। কেটে/ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছিলেন, সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নাত বলা এবং তার অনুসরণে জোর দেওয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়। (রাসায়েলে মাসায়েল ১-২৪৭)

(১৪) সিনেমা দেখা সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: সিনেমা দেখা নাজায়িয ও হারাম। (তাকমিলা ফাতহুল মূলহিমঃ৪/৯৮, আহাম মাসায়েলঃ২২৬)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ প্রকৃত পথে সিনেমা দেখা জায়িয। (রাসায়েলে মাসায়েল ১-২৬২)

(১৫) তাসাউফ (আত্মশুদ্ধি) সম্পর্কে মন্তব্য:

ইসলাম ধর্ম বলে: তাসাউফ কুরআন হাদীস দ্বারা সু-প্রমাণিত, তাযকিয়ায়ে নফস তথা আত্মশুদ্ধি ইসলামের অন্যতম উদ্দেশ্য, বরং একে ইসলামের প্রধানতম উদ্দেশ্য বলা হয়, কারণ, কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা তাযকিয়ায়ে নফসকে নবী প্রেরণের উদ্দেশ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আত্মশুদ্ধি অর্জনকে শরী‘আতের কোথাও ইসলামী হুকুমতের উপর নির্ভরশীল বলেনি। (সূরা বাক্বারা, আয়াত-১২৯; আল ইমরান, আয়াত-১১৪)

মওদূদী সাহেব বলেনঃ আত্মশুদ্ধির জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা পূর্বশর্ত, অর্থাৎ রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জন করা ছাড়া ব্যক্তির আত্মশুদ্ধি অসম্ভব । (আত্মশুদ্ধির ইসলামি পদ্ধতি-৭)

তিনি আরও বলেনঃ তরিকত বা পিরালীর মাধ্যমে মুসলমানদেরকে আফিম দেওয়া হয়েছে, এর ফলে তাদেরকে অচেতন, অকর্মা ও অকেজো করে দেওয়া হয়েছে । (তাজদীদে ইহইয়ায়ে দ্বীন-২২)

এভাবে তিনি ইসলামের অনেক বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, যা পূর্ববর্তী সকল উলামায়ে কেরামের বিপরীত।

মওদূদী সাহেব বর্তমানে জীবিত নেই। কিন্তু তার রেখে যাওয়া ভ্রান্ত মতবাদ এখনও পুরোদমে চালু আছে। তার কিছু ভক্ত ও অন্ধ অনুসারী না বুঝে উক্ত ভ্রান্ত চিন্তাধারা সমাজে প্রচার করে যাচ্ছেন এবং মানুষকে ধোঁকায় ফেলার জন্য বাহ্যিকভাবে ইসলামের বুলি আওড়িয়ে বস্তুত ইসলামকে বিকৃত করে নতুন ধর্ম গড়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে মওদূদী মতবাদ প্রচারে গোপন সমর্থন প্রদান করা কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য জায়িয হবে না। তাই আপন জান-মালের মাধ্যমে এ ফিতনা মূলোৎপাটনের জন্য সঠিক চেষ্টা চালানো আজ সকল মুসলমানের উপর ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যারা না বুঝে এ ভ্রান্ত মতবাদ গ্রহণ করেছেন বা এর শিকার হয়েছেন; তাদের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন এই যে, আপনারা হক্কানী উলামায়ে কেরামের সোহবতে আসুন। উল্লেখিত কথাগুলো নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন। কবরে ঈমানের পরীক্ষা একবারই হবে, ফেল করলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মওদূদী সাহেব এর সাথে উলামায়ে কেরাম এর কোনো ঝগড়া বা হিংসা নেই। শুধুমাত্র সাধারণ মুসলমানদের ঈমানের হেফাযতের জন্যই এই প্রচেষ্টা।

আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে এই ঈমান বিধ্বংসী ফিতনা থেকে হিফাযত করে সঠিক ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

47 thoughts on “ইসলাম ও মওদুদীবাদ : সংক্ষেপে ১৫টি মন্তব্য ও খণ্ডন

  1. সবগুলোর উত্তর ছিল, ইসলাম ধর্ম বলে, কিন্তু ১০ নাম্বার পয়েন্টে লেখছেন উলামায়ে ইসলাম বলে , এই উত্তরটা অন্যগুলোর মত হলে আরো ভাল লাগত।

    1. এ কলকে তো আপনার সাজা নয়। অন্যের সাজায় এতো টান কেন ভাই।

    2. ১৫টা অভিযোগ ও জবাব ভালো মতে পড়েছি!!! তৎমধ্যে ১০ নং ‌‌টাইঅনেকাংশে মোওদুদী র কথাই সঠিক।কারন হানাফী শাফেয়ি মালেকি হাম্বলী এই চার মাজহাবের যে কোন একটি মানা ওয়াজিব বলা এটাও একটা বড় পথভ্রষ্ট দের কথা!!!! ওয়াজিব নির্ধারণ করা একমাত্র আল্লাহ ও রাসূলের কাজ!!!!
      যারা বলে এই চার মাজহাবের যে কোন একটি মানা ওয়াজিব তাদের কাছে জানতে চাই ইমাম আবু হানিফা রহ ও উনার পিতা সড় পুর্ব পুরুষ রা কোন মাজহাব মানত????

      1. জনাব, এই ৪ মাজহাব কোরআন ও হাদিস মোতাবেকই নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনাকে আরো অনেক জানতে হবে। ভাল করে জেনে নিন তাহলে বুঝবেন। হক্কানী আলেম সাহেবে’র দারস্থ হোন।

  2. মওদুদীর সমালোচনায় যত সময় নষ্ট করছেন এতে গিবত হচ্ছে আর ফিতনা ছরাচ্ছেন এই সময় নষ্ট না করে পরালেখা করুন দাওয়াতী কাজ করুন । আপনার নেয়া তথ্য আংশিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। যত সমালোচনাই করেন আধুনিক পৃথিবীতে ইসলামী পুনর্জাগরনে তার লেখাই কার্যকর।

    1. গীবত কাকে বলে সেটা আগে আপনি জানতে হবে।
      যে আক্বীদাগুলো পোষণ করলে উম্মত বিভ্রান্ত হবে ঈমান হারানোর উপক্রম হবে সে আক্বীদাগুলো মানুষের সামনে স্পষ্ট করা জরুরি আরে গুলো স্পষ্ট করলে কখনো গীবত হবে না।

    2. মানুষকে আমলের দাওয়াত দেওয়ার আগে তাদের আকিদা ঠিক করা দরকার কারন সহীহ আকিদা বিশ্বাস ব্যতীত আমল মুল্য হীন

    3. ভাই জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক একেবারেই শেষ হয়ে গেছে।

  3. মজার বিষয় হলো স্বল্প জ্ঞানীরাই মওদুদী রহ. এর বিরুধিতা করে…. এই সবগুলো কাটপিস ছাড়া কিছুই নয়

  4. আপনি একজন মিথ্যুক। কারন উপরোক্ত কথাগুলো মওদুদির ভাষা নয়, শুধুই মিথ্যা । কারন আমি তাফহিমুল কুরআন পড়েছি। আল্লাহ্ কে ভয় করুন,বিচারের মাঠে এর ফয়সালা আল্লাহই করে দিবেন।

  5. সাইয়্যেদ মওদুদির সমালোচনা না করে ইসলামের কালজয়ী আদর্শ প্রচার করুন।কাজে লাগবে,না হয় আল্লাহর সামনে প্রত্যেকটি কথার জবাব দিতেই হবে,ইনশাআল্লা। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত দিন।আমিন।

  6. আলহমদুলিল্লাহ,,, আপনারা একবার জাকির নায়েক একবার মওদুদী একবার সাঈদী আর একবার অনিঅ কোন,,,,
    কি লাভ ভাই এসব ব্যবসায়িক সমোলচর্না করে।
    আলহমদুলিল্লাহ আমাদের মত অসংখ্য যুবক তরুণ যারা এ সকল মানুষের ক্ষুরধার লিখনে পরে দ্বীনের পথে আল্লাহর পথে, কুরআনের পথে এসে নিজের জীবনকে পাল্টিয়ে দিয়েছি।
    এসব না করে সমাজ পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর রাসূলের কর্মপন্থা অনুসরন করেন।

  7. আমার মনে হচ্ছে আপনি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আল্লাহ কে ভয় করুন। কারো সম্পর্কে ডিটেইলস না জেনে তার বিষয়ে মন্তব্য করে আপন ভয়ের গোস্ত ভক্ষণ ছাড়ুন। নিজে ভাল থাকুন অন্য কে সঠিক পথের সন্ধান দিন। আর না বুঝলে নীরব থাকুন চেষ্টা করুন সঠিক টা জানার।

  8. একটা গরুর রচনা পড়লাম। মূর্খগুলারে আল্লাহ একটু আকল দিক।

  9. “মহান আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম হল ইসলাম। (সূরা আল ইমরান- ১৯)

    মওদূদী সাহেব বলেনঃ ইসলাম কোনো ধর্মের নাম নয় বরং এটি হলো একটি বিপ্লবী মতবাদ। (তাফহীমাত-১/৬২)”

    প্রচলিত ধর্ম আর বিপ্লবী মতবাদ বলতে মওদূদী সাহেব যা বুঝিয়েছেন, তা বোঝার মত সাধারণ জ্ঞানটুকুও কি আপনার নেই? এখানে উল্লেখিত প্রায় প্রত্যেকটি বক্তব্যই আংশিক ও খন্ডিত। এবং এসব বক্তব্য ব্যাখ্যার দাবী রাখে। মওদূদী সাহেব অবশ্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূল করেছেন। কিন্তু তার বিরোধিতা করতে গিয়ে এরকম হাস্যকর লেখার অবতারণা করা কূপমন্ডুকতারই শামিল।

    চিন্তা করতে শিখলে আমাদের সবার জন্যই ভালো হবে। ইসলাম চিন্তাশীলদের জন্যই জীবনব্যবস্থা। কূপমন্ডুকদের জন্য আচারসর্বস্ব ধর্ম।

  10. ক্লাশ টু লেভেলের গরুর রচনা।
    ক্লাশ টু লেভেলের থার্ড ক্লাস গরুর রচনা বৈকি ?
    এমনিতেই মুসলিম উম্মাহ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এবং বিভক্ত! আর আপনারা এখনো পড়ে আছেন বান্দাত্মার আমলের মওদূদীবাদ নিয়ে। বাংলাদেশে মুসলমানদের জন্য সমসাময়িক যে সকল সমস্যা যেমনঃ চরম ধর্মবিদ্বেষী সেকুলার এবং নাস্তিকতা প্রভাবিত শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইসলামী তামাদ্দুন ও তাহ্জীবকে ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছে তা নিয়ে লিখুন। মুসলামনদের উপকার হবে।

  11. ভাই বলুন তো ওনার বই পড়ে কোন যুবক হয়েছে আমার মনে হচ্চে মাওলানা আপনি মওদূদীর সকল বই নিয়ে পড়লে আপনি ইসলাম একটি বিপ্লব সেটি, আর আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি মওদূদীর সকল বই পড়বেন,

  12. সবার মন্তব্যই পড়লাম। লিখক পাঠকদের জন্য লিখলেন। আর পাঠক লিখককেই বুঝিয়ে দিলেন লিখলেই লেখক হওয়া যায়না। লেখা হতে হবে পাঠকদের উদ্দেশ্যে । লেখক সাহেব এখন থেকে বুঝে লেখবেন।

  13. মিথুক কোথাকার। মনগড়া রেফারেনস। রেফারেনস এর নাম ও ভুল।এহয়ায়ে দীন না উলুমউদদীন।

  14. যিনি এই লেখাগুলো লিখছেন,তিনি হয় মিথ্যাবাদী নতুবা মুর্খ।কারণ,মাওলানা মওদুদী সম্পর্কে উনি যা লিখছেন,তা কেবল উনার বই সম্পর্কে যারা অজ্ঞ তারাই লিখতে পারে।একজন শিক্ষিত আলেম কখনোই মাওলানা মওদুদী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবেন না।

  15. ধন্যবাদ,জনাব আপনানকে।
    আমি কোন ঞ্জানী গুনিনই।
    তবে আপনার পোষ্ট করা
    “ইসলাম ও মৌদূদিবাদ”
    আমি মনোযোগ সহকারে পড়েছি।
    এর পর আমার অনুভূতি:

    আমি যখন ঙ্কুলে পড়ি।
    আমাদের শ্রদ্ধেয় বাংলার শিক্ষক একটা
    গলপ শুনিয়ে ছিলেন, “একদা এক ডুবুরী ঘোষনা করলেন যে তিনি ডুব দিয়ে সমুদ্রের তলদেশে অনেক মণি মুক্তা দেখে এশেছেন।
    এ কথা শুনে অনেকে সমুদ্রে ডুব দিতে শুরু করলো। দমের অভাবে কিছুদূর গিয়ে,
    ফিরে এসে বললো, ওনি যা’ বলেছেন, তা’ মিথ্যা/ফেতনা। কারপ জলের গভীরে সুধূ হলুদাভ ছাড়া আর কিছুই নাই।”

    বিষয়টি তুমূল বিতর্কের সৃষ্টি করলে,সে রাজ্জের রাজা তার একজন পরীক্ষিত ডুবুরীকে সত্যতা যাছাইয়ের নির্দেশ দিলে,
    তিনি ডুব দিয়ে সমুদ্রের তলদেশ থেকে মণি মূক্তা নিয়ে ফিরে আসেন।
    প্রমানিত হল, প্রথম ডুবুরি ই সঠিক।

    তাই কবির ভাষায় বলব,”
    Drink deep, do not touch the parenial water of streem.because, a litte learning is a dangerous thing.”

  16. সবার উদ্দেশ্যে বলছি মওদুদী রহ. এর লেখা বইসমূহ বাংলা অনুবাদের সময় বিতর্কিত বিষয়াদী সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে! এটার প্রমাণ লাগলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন অথবা জামিয়া পাটিয়ার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে গিয়ে মূল উর্দু বই ও বাংলা অনুবাদ প্রথম সংস্করণ এবং বর্তমান সংস্করণ মিলিয়ে দেখুন সব বোঝতে পারবেন। যারা লেখককে মুর্খ ডাকছেন তারা নিশ্চিত বেকুব হয়ে যাবেন!!?

    1. আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় দ্বীনি ভাই। যদি আমাকে এইগুলোর পিডিএফ দিতেন অনেক উপকৃত হতাম। জাযাকাল্লাহ খায়রান

  17. গণ্ডমূর্খের মতো যা লিখার লিখেছেন ভালো কথা।
    পাঠকমণ্ডলী! নিশ্চয় যারা পুরোটা পড়েছেন তারা অবশ্যই খেয়াল করেছেন যে,বেচারারা তার মূল উদ্দেশ্য বলে দিয়েছেযে,তাদের সোহবতে আসতে।
    কারণ মৌদূদীর বই পড়লে পাঠকরা ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।তাদের সোহবতে যায় না,যার ফলে তাদের ব্যবসায় আগুন ধরে।তাই এতো বিরোধীতা।

  18. আপনাদের ভাষাগত সমস্যা আছে৷ সহজ ভাষায় আপনারা মিথ্যাচার করেন। রেফান্স দেয়া ১ টা বই দেখলাম, মিলে না। বরং আপনারা মাওলানা সাহেবের মহান চিন্তাকে অস্বিকার করেন।
    নিজেদের দল ভাড়িতে আপনারা বিজি। মাওলা তার দল ভাড়িতে বিজি ছিলেন না। তার আলোচনা তাত্ত্বিক। আপনাদের মত গন্ড মূর্খ আর স্বল্প শিক্ষিত সে ছিলেন না৷ তবে মানুষ মাত্রই ভুল। তার কিছু ভুল হতে পারে, যা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তাঁর আলোচনা আপনারা বিকৃতি সাধক করে প্রচার করেন। হয়তবা এর দ্বারা সরকার থেকে টাকাও পান।

  19. মওদুদী সাহেব মানুষ,ফেরেস্তা নন। আর মওদুদীবাদ বলতে পৃথীবিতে কোন মতবাদ নেই। ওনার লেখা গুলো কেন কাট করা হবে। পারলে ওনার পুরো লেখা প্রকাশ করুন। যদি মনে হিংসা না থাকে। আর ওনার আকিদা নিয়ে যারা কথা বলে এখন দেখি ওনাদের আকিদায় ভেজাল আছে।

  20. জামায়াত শিবির মওদুদী মতবাদ গোমরাহ পথভ্রষ্ট বিভ্রান্ত ইহুদিদের চাইতেও বেশী খারাপ ।

  21. খুব ভালো লিখেছেন। কারণ ভুল ধরতে হলেও এখন লোকজন তাঁর লেখা পড়বে। আর পড়ার পর বুঝবে যে গণ্ডমুর্খদের লেখা সমালোচনা পড়েই মউদূদী সম্পর্কে জানার কারণেই সঠিক রাস্তাটা খুঁজে পেয়েছি।

  22. সাহাবিদের শানে মাওলানা মওদুদীর কয়েকটি উক্তি:

    ১. সংস্কার সংশোধন এবং তাকওয়া ও পরহেজগারির দিক থেকে সাহাবারা এমন উচ্চতর শিখরে আরোহণ করতে পেরেছিলেন, পৃথিবীতে কোনো মানব সমাজ কখনো সে স্তরে পৌঁছাতে পারেনি।
    (রাসায়েল ও মাসায়েল, ৩য় খন্ড, প্রাগুপ্ত,পৃষ্ঠা-১১০)

    ২. তোমাদের মর্যাদা এত বেশি যে, আল্লাহর আরশের ধারক ফেরেশতারা এবং তার চারপাশে অবস্থানরত ফেরেশতারা পর্যন্ত তোমাদের সহযোগী।
    (তাফহীমুল কুরআন, সুরা গাফির, টীকা-৬)

    ৩. সাহাবাদের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা আমার দৃষ্টিতে স্বয়ং ইসলাম ও রাসূল (সাঃ)-এর সাথে দুশমনী করার সমতুল্য।
    (সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা, পৃ.১০)

    ৪. সাহাবাদের নিন্দা করা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা জায়েয নেই। আল্লাহর অনুগ্রহে এ কাজ আমি কখনো আমার কোনো রচনায় করিনি।
    (রাসায়েল ও মাসায়েল, ৫খন্ড, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-১২৪)

    ৫. যে ব্যক্তি সাহাবায়ে কেরামদের মন্দ বলে, আমার মতে সে কেবল ফাসিকই নয়, বরং তার ঈমানই সংশয়পূর্ণ।
    (সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-২১)

    ৬. রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গী সাথী এমন যে, কেউ তাদের একবার দেখা মাত্রই বুঝতে পারবে যে তারা সৃষ্টির সেরা। কারণ, তাদের চেহেরায় আল্লাহ -ভীরুতার দীপ্তি সমুজ্জ্বল।
    (তাফহীমুল কুরআন, সূরা ফাতাহ, টীকা-৫৪)

    ৭. রাসূল (সাঃ)-যে সৌভাগ্যবান লোকদের প্রশিক্ষণ দান করেছিলেন, মানবজাতির ইতিহাসে তাঁরা ছিলেন অতুলনীয়। এই সৌভাগ্যেবান পবিত্রাত্মার মনীষীদের একজন ছিলেন হযরত উমর (রাঃ)।
    (সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-৩২)

    ৮. সালফে সালেহীনদের মধ্যে যদিও সাহাবিদের সংজ্ঞা নিয়ে মতপার্থক্য ছিল, কিন্তুু যে-কোনো সংজ্ঞানুযায়ী মুআবিয়া (রাঃ)-সাহাবীর মর্যাদা লাভ করেছিলেন। তার কোনো কোনো ব্যক্তিগত কাজ দেখার বিষয়, কিন্তুু সামগ্রিকভাবে তাঁর খেদমত ও পুরস্কার নিশ্চিত ব্যাপার।
    (প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-২২)

    ৯. হযরত মুআবিয়া (রাঃ) যথার্থই বিপুল গুনের অধিকারী ছিলেন। তার সাহাবী হওয়ার মর্যাদাও অতীব সম্মানার্থ। তিনি মুসলিম জাহানকে পুনরায় এক পতাকাতলে সমবেত করেন এবং বিশ্বে ইসলামের বিজয়ের গতি পূর্বের চেয়েও দ্রুত করেন। তাঁর এসব খেদমত অনস্বীকার্য।
    (খেলাফত ও রাজতন্ত্র, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-১৫২)

    সাইয়িদ মাওদূদী মারহূমের এক অমর কীর্তি। খেলাফত ও রাজতন্ত্র বইটি একটি ভলিউম বই। উৎসাহীদের বইটির হার্ড কপি কেনা, পড়া ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এটা ইসলামের ইতিহাসের একটি সামগ্রিক পর্যালোচনা। ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধান থেকে শুরু করে একেবারে ইসলামী খেলাফত, পরবর্তীতে খেলাফত কিভাবে রাজতন্ত্রে পরিণত হলো, ইমাম হানীফা রাহমাতুল্লাহ আলাইহ কিভাবে তাকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছেন তার বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনা রয়েছে এ সুবিশাল গ্রন্থটিতে। এটি অত্যন্ত তত্ত্ব ও তথ্যবহুল প্রামাণ্য গ্রন্থ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *