সুওয়াল
আমি প্রায়ই অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটা করি। কিছুদিন আগে আমি একটা প্রোডাক্ট কিনি, যার মূল্য ছিল অনলাইন ভ্যাট সহ 521 টাকা। বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পেমেন্ট করে দেখি বিকাশ এর পক্ষ থেকে আমাকে 26.95 টাকা ক্যাশ ব্যাক দেওয়া হয়েছে । আমার জানার বিষয় হল এখন আমার করনীয় কি? ক্যাশবাকের এই টাকার হুকুম কি?
জাওয়াব
এটি আপনার জন্য উক্ত কোম্পানীর পক্ষ থেকে হাদিয়া ধরা হবে। তাই উক্ত ক্যাশব্যাক ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]
ফতওয়া লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
আমাদের তাহকীক অনুযায়ী ফাতওয়া সহীহ নয়।
আরো তাহকীক করা প্রয়োজন।
হালাল হারামের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরী।
আলোচনার আহবান রইলো>
মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী
+8801717940254
বিকাশ যে ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে তা সাধারণত কোম্পানির সাথে চুক্তি করে দিয়ে থাকে। অর্থাৎ ক্যাশব্যাকটা কোম্পানি নিজের ফাণ্ড থেকে করে। শরীয়তে এমন ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা তো পাওয়া যায় না।
আপনার এ ধারনা সঠিক নয়। ক্যাশব্যাক পণ্য সরবরাহকারী ক্যাশব্যাক করে না বরং বিকাশ করে, বিকাশের একাউন্টস ইমপ্লয়ীর সাথে কথা বলে এটা আমি নিশ্চিত হয়েছি। মাঝে মাঝে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাশব্যাকের একটা পারসেন্টেজ দেয় তবে ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রেই পুরো ক্যাশব্যাক বিকাশ দেয়। অন্য কোম্পানির মত বিকাশ বিজ্ঞাপনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে না, ক্যাশব্যাকের মাধ্যমেই তাদের মার্কেটিং করে থাকে। আর বিকাশের ইনকামের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ সুদ, তারা বিভিন্ন ব্যাংকে সুদী কারবারের মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে। আশা করি আপনি ভালো করে খোজ নিয়ে দেখবেন।
আমি তো আর বিকাশের ইনকাম থেকে ক্যাশব্যাক পাচ্ছি না।আমি একটা পণ্যের মূল্য বাবদ কিছু টাকা পেমেন্ট করেছি এবং অফার স্বরূপ এর একটা অংশ ফেরত পেয়েছি। আমি তো আমার টাকার কিছু অংশ ই ফেরত পেলাম। এটা তো ইসলামের দৃষ্টিতে না জায়েজ না। টাকার বদলে টাকা লেনদেন হয়নি এখানে। এমন তো না যে আমি বিকাশকে ১০ টাকা দিলাম, তারা আমাকে ১৫ টাকা ব্যাক করল। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অংশ সুদ হত। ক্যাসব্যাকের ক্ষেত্রে আমরা সুদের কোন আলামত পাই না। সেটা বিকাশ দেক আর কোম্পানি ই দেক।
এই আর্টিকেলটি দেখে মতামত জানানোর অনুরুধ রইল।
http://returnofislam.blogspot.com/2018/05/cashback.html
উক্ত লেখাটি বাংলাদেশের অনলাইন পেমেন্টের ব্যাপারে নয় বলে মনে হচ্ছে। কারণ পোস্টদাতা লিখেছেন “যখন কেউ পেমেন্ট ওয়ালেট রিচার্জ করে, সে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত পরিমান পায় তার ওয়ালেটে। উদাহরণস্বরূপ, সে ১০০ রিয়াল রিচার্জ করলে ১১০ রিয়াল পাচ্ছে। ” অথচ বাংলাদেশের যে কোন ওয়ালেটেই আপনি টাকা রাখুন না কেন, অতিরিক্ত কিছু যুক্ত হচ্ছে না। আর ক্যাসব্যাক নিজ ওয়ালেট থেকেও দেয়া হয় না। দেয়া হচ্ছে কোম্পানির ওয়ালেট থেকে। কাজেই এটি বৈধ।
আমি যতটুকু জানি,, এসব অতিতের অসংখ্য নামাজ কাযা করা যাবে না। তাওবা করতে হবে
আপনি হাদিস থেকে রেফারেন্স দিলে ভালো হতো,,,,,
আলহামদুলিল্লাহ, জিবন ধন্য।
আমি একটি মাসআলা জানতে চাই। আমি অফিস থেকে মিথ্যা কথা বলে ছুটি নিয়েছি। এখন ছুটি থাকাকালীন আমার অনন্য কাজ গুলো কি হালাল হবে?
মিথ্যে বলা মহাপাপ। তাই আপনার কবিরা গোনাহ হবে। তবে এভাবে ছুটি নেয়ায় অন্যান্য বৈধ কাজ অবৈধ হয়ে যাবে না। অর্থাৎ সমস্যা নেই।
মুফতী মাসুমবিল্লাহ্ সাহেব এটিকে বৈধ নয় মর্মে আলোচনা পেশ করেছেন। আলোচনাটি শুনলে আশা করি উপকৃত হবেন।
https://www.facebook.com/ulamaforum/videos/973283676162515/
শুকরান
জি আমারও জানামতে ক্যাশ ব্যাক সুদ।
আপনি দোকান থেকে কিছু কিনলেন। দোকানদার আপনাকে অফার স্বরূপ কিছু টাকা ব্যাক করে দিল। এটা কোন দিক দিয়ে আপনার কাছে সুদ মনে হল? আপনি তো টাকা বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন না। টাকা পরিশোধ করে দিয়ে কিছু ব্যাক পাচ্ছেন। এটা উপহারের হুকুম এ হবে।
১৭টাকার বিস্কুট কিনতে গেলে দোকানদার ১৫টাকা রেখে দিল আর ২ টাকা ফেরত দিল, তাহলে আমার টাকা হতে আমাকেই যদি ফেরত দেয় এটা তাহলে সুদ হয় কিভাবে?
জি আপনি সঠিক পয়েন্ট ধরেছেন। এটি সুদ নয়।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
ভাইজান! মাঝে মাঝে দেখি বিকাশ থেকে গ্রামীণ নাম্বারে 309টাকা রিচার্জ করলে 21টাকা ক্যাশব্যাক দেয়।
জানার বিষয় হলো এই ক্যাশব্যাক হালাল নাকি হারাম?
হালাল হলে কেন? এবং হারাম হলেও কেন?
দলীল আদিল্লাহ সহ একটু বুঝিয়ে বললে উপকৃত হতাম। অগ্রিম জাযাকুমুল্লাহ
আপনি যেটা উল্লেখ করেছেন, সেটা হচ্ছে ডিসকাউন্ট; ক্যাশব্যাক নয়। ডিসকাউন্ট হালাল কিন্তু ক্যাশব্যাক নয়।
ডিসকাউন্ট বলা হয় পণ্যের মূল্যহ্রাস। আর ক্যাশ ব্যাক অর্থ মূল্য ফেরত। এ দুটোর কোনটাই সুদের পর্যায়ে পড়ে না। কারণ এখানে কোথাও টাকার বিনিময়ে টাকার লেনদেন করা হচ্ছে না। বরং ১ম অবস্থায় পণ্যের মূল্য নেয়া হচ্ছে কম। আর ২য় অবস্থায় মূল্য পুরোই নেয়া হচ্ছে তবে কিছু অংশ ফেরত দেয়া হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না।
কাজেই না জেনে এভাবে ঢালাও ভাবে একটা মাসআলা বলে দিয়ে মানুষের গোমরাহির কারণ না হতে অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ
আমার দোকানে বিকাশের লোক এসে অফার দিল যে এই ফর্মটা ফিলাপ করেন।করলে এখন থেকে আপনার যেসকল পেইমেন্ট আপনার কাস্টোমার বিকাসের দ্বারা করবে তারা 20%-25% ক্যাশব্যাক পাবে। এই ক্যাশব্যাকের উদ্দেশ্য মানুষকে বিকাশ নির্ভর করা যেন ঐ কিছু টাকা ছাড়ের আশায় যেন বিকাশে বেশি বেশি টাকা রাখে। তাতে ব্র্যাক কম্পানি এই টাকা তাদের মূল ব্যাবসা সুদের উপর খাটাতে পারে।দুনিয়াতে কোন কিছু ফ্রি নেই। তারা সুদে টাকা ইনভেস্ট করাচ্ছে 20% সুদ দেয়ার নামে।
বিকাশ ওয়ালারা সুদী কারবার করবে এটাই স্বাভাবিক। জাস্ট আমরা সেই সুদটা গ্রহণ না করলেই হয়। বিকাশ থেকে যে সুদটা কাস্টমারদের দেয়া হয় সেটা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিলেই আমরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাব।
আর ক্যাসব্যাকের যে টাকা টা এটা তো মূলত আমার টাকাই। আমি বিকাশকে 100 টাকা দিয়েছি তারা আমাকে আমার দেয়া 100 থেকে 20 টাকা অফার স্বরূপ ফেরত দিয়েছে। আমার টাকা আমি ফেরত পেয়েছি। তাদের সুদী টাকা তো নেইনি। কাজেই এটা হালাল বলেই গণ্য হবে।
আসসালামু আলাইকুম আমার একটি প্রশ্ন ছিল প্রশ্ন টি হল লন্ড্রিতে কাপড়-চোপড় ধুয়ে পড়ার হুকুম কি তা জানালে উপকৃত হব?
আগে দেখতে হবে যারা কাপড় ধোয়, পবিত্র পানি দিয়ে ধোয় কি না।
পানি পবিত্র হলে সে কাপড় ব্যবহার করতে অসুবিধা নেই।
আসসালামু আলাইকুম হুজুর অনেকের তো কাপড়ে হায়েযের রক্ত
লাগানো থাকে বীর্য লাগানো থাকে আবারো অনেকের ভাল কাপড় থাকে এ ক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম জানতে চাই
রক্ত বা বীর্য থাকলে ধুয়ে পাক করে নিতে হবে। এসব নাপাক
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রশ্ন হল মা যদি তার 13-14 বছরের ছেলেকে ঘুমের ঘরে উত্তেজিত হয়ে স্পর্শ করে তাহলে কি সে তার স্বামীর জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যাবে জানালে উপকৃত হব?
আপনি এই লেখাটি পড়ুন।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2427503580676478&id=100002505798571
আল্লাহতালা আপনাকে নেক হায়াত দান করুন আমিন
জাযাকাল্লাহ খাইর
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার দেড় মাসের কন্যা সন্তান আছে সন্তানের নাম রেখেছি ফাতিমা অনেকে আবার ফাতেমা বলে কোন নামটি সঠিক এবং নামটির অর্থ কি আমার নাম হল বিলাল অর্থ জানতে চাই আমার আহালিয়া নাম হল আসমা অর্থ জানতে চাই
ফাতিমা বা ফাতেমা যেটাই বলুক সমস্যা নেই।
নামের অর্থ জানতে গুগল করুন।
না আপনি যেভাবে ভাবছেন সেভাবে নয়। এখানে আমরা বিকাশ থেকে কিনছি না। বরং তৃতীয় ব্যক্তি থেকে কিনেছি। আর বিকাশকে বলেছি আমার পাওনা টাকা থেকে পরিশোধ করে দাও। তারপর বিকাশ পরিশোধ করলো আর আমাকেও কিছু দিল। এবার বলেন বিকাশ আমায় কি দিল কেন দিল কিসের বিনিময়ে দিল?
আসসালামু আলাইকুম হুজুর ছোট শিশুর প্রস্রাব শরীরে লাগলে না ধুয়ে পরিষ্কার ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেললে পবিত্র হওয়া যাবে কি? শিশুর মা ওযু অবস্থায় বুকেরদুধ পান করালে পুনরায় ওযু করতে হবে কি? শিশু যদি ওয়াল ক্যালাদে বা ফ্লোরে প্রসাব করে ভেজা কাপড় দিয়ে ওয়াল ক্লাদ বা ফ্লোর একবার পসলে পাক হবে কি? জানালে উপকৃত হব জাযাকাল্লাহ খায়ের
না, ধোঁয়া আবশ্যক। মোছা যথেষ্ট না
আসসালামুআলাইকুম হুজুর আমার কাপড়ে বীর্য অথবা প্রস্রাব লাগলে যেভাবে আমি কাপড় ধৌত করি তা আপনাকে বলছি প্রথমে কল ছেড়ে রেখে ভালোভাবে কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করি যখন মন সাক্ষী দেয় এখন আর কাপড়ে ময়লা লেগে নেই তখন কল বন্ধ করে কাপড় ভালোভাবে চিপরে নেই এভাবে কি আমার কাপড় পবিত্র হবে জানালে উপকৃত হব।
হুজুর কাপড়ে প্রাণীর ছবি থাকলে সে জামা পড়ে নামায আদায় হবে কি?
এত ঝামেলা না করে সাবান লাগিয়ে ভালোমত কচলে ধুয়ে ফেললেই তো হয়।
আসসালামু আলাইকুম হুজুর অনেকে আবার বলে তিনবার বালতির পানি চেঞ্জ করে কাপড় না ধুলে পবিত্র হয় না কথাটি কি সঠিক?
তিনবার ধোঁয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হল নাপাকি পূর্ণ দূর হওয়া। একবার ধুয়েই যদি পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায় তবে তিনবার ধোঁয়ার কোন দরকার নেই।
কাপড়ে প্রাণীর ছবি নিয়ে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। কাজেই ফ্রেস কাপড় পরে নামাজ পড়ুন।
আসসালামু আলাইকুম হুজুর এমন কোন নাপাকী আছে কি যা কাপড়ে লাগলে তিনবার ধোয়া আবশ্যক জানালে উপকৃত হব। আপনার উত্তর শুনে আমি বুঝতে পারলাম কাপড়ে প্রস্রাব বা বীর্য লাগলে সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলেই কাপড় পবিত্র হবে। তিনবার ধৌত করার প্রয়োজন নেই।
পৃথিবীতে যত রকম নাপাকিই থাকুক না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত তার ঘ্রাণ এবং রঙ কাপড় থেকে দূর না হবে ততক্ষণ ধুতে হবে। এখন যদি একবার ধুয়েই নাপাকির চিহ্ন মুছে যায়, কোন প্রভাব না থাকে তবে একবার ই ধোঁয়া যথেষ্ট হবে। ভাল মত পরিস্কার না হলে শুধু ৩ বার না, ১০বার ও ধোঁয়ার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আল্লাহ পাক আপনাকে নেক হায়াত দান করুন আমিন।আমি এই মসলা টানিয়ে বহুৎ চিন্তিত ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি চিন্তা মুক্ত হলাম জাযাকাল্লাহ খায়ের।
জাযাকাল্লাহ খাইর
আসসালামু আলাইকুম হুজুর বাসের সিটে ট্রেনের সিটে চেয়ারে ঘুমালে অজু যাবে কি এবং আসন করে বসে দুই হাত দিয়ে রানের উপর ভর করে ঘুমালে অজু যাবে কি?
জি, হেলান দিয়ে ঘুমালেই ওজু ভেঙে যায়। হেলান না দিয়ে শুধু বসে বসে ঝিমালে ওজু ভাংবে না।অন্য কোন কারণ না পাওয়া গেলে
কোন কিছুতে হেলান না দিয়ে নিজ জায়গায় বসে ঝিমুলে ওজু ভাঙ্গে না। তবে সতর্কতা স্বরূপ নামাযের আগে ওজু করে নেবে
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার প্রায় তিন বছরের নামাজ কাজা হয়েছে এখন আমি উক্ত নামাজ গুলো কিভাবে আদায় করব এবং তিন বছর কোন রোজা রাখেনি কিভাবে আদায় করব?
এভাবে নিয়ত করবেন যে হে আল্লাহ , আমার কাজা হওয়া জীবনের ১ম ফরজ নামাজটি আদায় করছি। এভাবে প্রতিবার একই নিয়ত করবেন। যেটা আদায় করে ফেললেন সেটা তো আর কাজা রইল না। তাই একের পর এক কাজা নামায সিরিয়ালে আসতে থাকবে।
রোযা গুলা নির্ধারিত ভাবেই রাখবেন। যেমন ২০১৮ সালের রমজানের ১ম রোযা, ২০১৮ সালের রমজানের ২য় রোযা ইত্যাদি রোযার কাজা আদায় করছি ইত্যাদি
হুজুর কাজা নামাজের একামত দেওয়া লাগবে কি? এবং আসরের ফরজের পর কাজা নামাজ পড়তে পারব কি? এবং ফজরের সুন্নতের পর কাজা নামাজ পড়তে পারবো কি?
হুজুর রাত্রে খাবার খেয়ে রোজা রাখব বলে নিয়ত করেছিলাম কিন্তু সেহেরির সময় ঘুম থেকে জাগ্রত হতে পারেনি এখন আমি রোজা রাখতে পারব কি? রাত্রে রোজা রাখার নিয়ত ছিল না সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রোজার নিয়ত করলে রোজা রাখা যাবে কি?
সকালে ১১টার আগে নিয়ত করতে হবে।
১/একজন আমার পারসোনাল বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠালো 1020 টাকা খরচ সহ ।তাকে আমি 1000টাকা তার ঘরে পৌছিয়েছি এভাবে অতিরিক্ত খরচ আমার লাভ হয়েছে এটা কি গায়ে হয়েছে?
২/বিকাশ ব্যবহার করলে রিওয়ার্ড পয়েন জমা হয় পরে এই পয়েনের বিনিময়ে রিচার্জ বা বিল পে বা পেমেন্ট করলে তারা ক্যাশব্যক দেই এটা কি গায়ে?
৩/অনেক সময় পয়েন্ট ছাড়াই বলে এত টাকা রিচার্জ করলে এত টাকা ক্যাশব্যক পাবে এটা গ্রহণ করা জায়েজ?
জায়েয হবে।
১/একজন আমার পারসোনাল বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠালো 1020 টাকা খরচ সহ ।তাকে আমি 1000টাকা তার ঘরে পৌছিয়েছি এভাবে অতিরিক্ত খরচ আমার লাভ হয়েছে এটা কি জায়েজ হয়েছে?
২/বিকাশ ব্যবহার করলে রিওয়ার্ড পয়েন জমা হয় পরে এই পয়েনের বিনিময়ে রিচার্জ বা বিল পে বা পেমেন্ট করলে তারা ক্যাশব্যক দেই এটা কি জায়েজ ?
৩/অনেক সময় পয়েন্ট ছাড়াই বলে এত টাকা রিচার্জ করলে এত টাকা ক্যাশব্যক পাবে এটা গ্রহণ করা জায়েজ?
সবগুলা প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, জি জায়েয হবে
ধন্যবাদ
ধরুন, আমার বিকাশে ৫০১৫ টাকা আছে কিন্তু রকেট বা নগদ একাউন্টে আমার টাকার প্রয়োজন।
এখন আমি বিকাশ থেকে ৫০১০ টাকা দিয়ে রকেট বা নগদ একাউন্টে ৫০০০ টাকা নিয়ে নিলাম। অতিরিক্ত ১০ টাকা হাদিয়া হিসেবে খুশি হয়ে দিলাম এবং সেন্ডমানি ফি বাবদ আরো কেটে নিল ৫ টাকা।
আমি যে, অতিরিক্ত ১০ টাকা অতিরিক্ত দিলাম শরীয়তের দৃষ্টিতে এর হুকুম কি?
জায়েয হবে। কোন সমস্যা নেই।
কোনো দলীল উপস্থাপন করলেন না, শুধু জায়েজ হবে বলে দিলেন?
ভুল বলে থাকলে সংশোধন করতে পারেন
বিকাশ একটি মোবাইল ব্যাংকিং মাত্র এর মূল হচ্ছে ব্রাক ব্যাংক আর আমারা সবাই ভালো করে জানি ব্যাংকিং খাতের মূল হচ্ছে সুদ
# প্রশ্ন হচ্ছে আমি ২০ টাকা রিচার্জ করে ১০ ক্যাশ ব্যাক পাচ্ছি
# আবার ২৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে ২৫ টাকা ক্যাশ ব্যাক পাচ্ছি
এই ক্যাশ ব্যাক তো বিকাশ দেয় কোন ফান্ড থেকে দেয় সেটা জানা নেই।এর মাসালা জানতে চাই। ধন্যবাদ