মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
আল্লাহর ক্ষমতা’ সম্পর্কে ডাক্তার জাকির নায়েকের মতবাদ হলো–-
(১) “আল্লাহ সবকিছু করতে পারেন না। আল্লাহ একজন চিকন-মোটা বা লম্বা-বেটে লোক তৈরী করতে পারেন না। এ রকম হাজার হাজার জিনিস আছে, আমি তালিকা দিতে পারি–যা সর্বশক্তিমান খোদা করতে পারেন না।”
(এরপর কিছু অমূলক উদাহরণ দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন–)
“কুরআনের কোথাও আল্লাহ বলেননি যে, তিনি সবকিছু করতে পারেন। বাস্তবে আল-কুরআন বলে– اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। এটি বলে না যে, খোদা সবকিছু করতে পারেন।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৭৫ ॥ মুদ্রণ ও প্রকাশনায় : পিস পাবলিকেশন, ৩৮/৩, কম্পিউটার মার্কেট, বাংলা বাজার–ঢাকা)
ইন্টারনেটে ডাক্তার জাকির নাযেকের উক্ত লেকচারের ভিডিও স্ক্রিপ্ট নিম্নোক্ত লিঙ্কে রয়েছে (উল্লেখ্য যে, এ ভিডিওটির ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড থেকে সেই বিষয়ের কথা পাবেন)–
অথবা-
উক্ত লেকচারটির বাংলা ভার্ষণ শুনতে চাইলে নিম্নোক্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন (উল্লেখ্য যে, এ ভিডিওটির ২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে সে বিষয়ে বক্তব্য রয়েছে)–
♦ পর্যালোচনা ♦
যে লেকচারের প্রশ্নোত্তরপর্বে ডাক্তার জাকির নায়েক মহান আল্লাহর অসীম কুদরতকে অস্বীকার করেছেন, উক্ত লেকচারের শিরোনাম হচ্ছে– “Is The Quran God’s Word”। উক্ত বক্তব্যে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ “আল্লাহ তা‘আলা সকল কিছুর উপর সক্ষম”–মহান আল্লাহর এ শাশ্বত মহান গুণকে অস্বীকার করেছেন। বস্তুত এ আয়াতে মহান আল্লাহর বিশেষ গুণবাচক নাম قَدِیۡرٌ রয়েছে–যা মহান আল্রাহর সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান বা সবকিছুর নিয়ন্তা হওয়ার পর্যায়ে তাঁর সবকিছু করতে পারা এবং তাঁর সবকিছু করার সক্ষমতাকে নির্দেশ করে। আরবী লুগাত-অভিধানে এবং তাফসীরের কিতাবসমূহে এ শব্দকে এভাবেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
(প্রমাণের জন্য দেখুন : আল-মিনহাজ, ১ম খণ্ড, ১৯১ পৃষ্ঠা/ আল-আসমা’ লিল বাইহাকী, ২১ পৃষ্ঠা/ আল-মাকামুল আসনা ফী তাফসীরিল আসমায়িল হুসনা, ২৩১ পৃষ্ঠা/ মাজমাউল বায়ান, ১ম খণ্ড, ১৫৪ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)
.
সুতরাং ডাক্তার জাকির নায়েক আরবী ভাষায় আনাড়ির পরিচয় দান পূর্বক মহান আল্লাহর গুণ বর্ণনার স্পর্শকতর বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা করতঃ মহান আল্লাহর সব কিছু করতে পারার মহান গুণকে অস্বীকার করে মারাত্মক কুফরী কাজ করেছেন। যে কাজ করলে মানুষ মুলহিদ (ইলহাদকারী অর্থাৎ বাঁকা পথ অবলম্বনকারী বা দ্বীনের সত্য পথ থেকে বিচ্যুত) পরিগণিত হয়। এটা কাফির হওয়ারই মতো একটি পর্যায়। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন–
وَلِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا وَذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اَسۡمَآئِہٖ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
“আল্লাহর জন্য উত্তম নামসমূহ রয়েছে। কাজেই সেই নামসমূহ দ্বারাই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে (ইলহাদ করে) বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।”
(সূরাহ আ‘রাফ, আয়াত নং ১৮০)
এ জন্য ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত ইলহাদী বক্তব্যের কারণে সৌদী আারবের প্রসিদ্ধ আলেম শাইখ সালিহ আল-ফাওজান ডাক্তার জাকির নায়েককে ‘মুলহিদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং তার এ লেকচারের কড়া প্রতিবাদ করে দলীল-প্রমাণসহ একে রদ করে ফাতওয়া প্রদান করেছেন।
শাইখ সালিহ আল-ফাওজান সাহেবের উক্ত ফাতওয়া আরবী ভাষায় প্রদত্ত। ইন্টারনেটে তার সেই ফাতওয়ার ভয়েস স্ক্রিপ্ট পাওয়া যায়। যারা আরবী বুঝেন না এবং ইংরেজী বুঝেন, তাদের সুবিধার জন্য সেখানে সাবটাইটেলে ইংরেজী অনুবাদ দেয়া হয়েছে। ফাতওয়াটির ভয়েস স্ক্রীপ্ট ওয়েবসাইটের নিম্নোক্ত লিঙ্কে দেখুন :
এ ছাড়াও শাইখ সালিহ আল-ফাওজান সাহেবের উক্ত ফাতওয়ার ইংরেজী অনুবাদের সফটকপি সৌদী আরব ভিত্তিক ‘বাক্কা’ নামক ওয়েবসাইটের নিম্নোক্ত লিঙ্কে পাবেন :
Shaykh Saalih al-Fowzaan on the Claim that Allaah Cannot Do All Things
ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরী
উক্ত বক্তব্যে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে আল্লাহ তা‘আলা সবকিছু করতে পারেন–মহান আল্লাহর এ শাশ্বত মহান গুণকে অস্বীকার করেছেন। পবিত্র কুরআনের উল্লিখিত মহান আল্লাহর বাণী اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ -এর অর্থ সেটা নয় যা ডাক্তার জাকির নায়েক বুঝিয়েছেন। বরং উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছে–“নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।”(সূরাহ নূর, আয়াত নং ৪৫)
সুতরাং বুঝা গেলো–ডাক্তার জাকির নায়েক মিথ্যা বলেছেন যে, কুরআনের কোথাও বলা হয়নি যে, আল্রাহ সবকিছু করতে পারেন। নিঃসন্দেহে পবিত্র কুরআনের উক্ত আয়াতই স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে যে, মহান আল্রাহ সবকিছু করতে সক্ষম। কিন্তু আরবী ভাষা এবং পবিত্র কুরআনের তাফসীর ও ইসলামী আকায়িদ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কথা বলতৈ গিয়ে তিনি এ আয়াতের মর্ম বুঝার ব্যাপাারে বিপথগামী হয়েছেন।
ডাক্তার জাকির নায়েক যেসব উদাহরণ টেনে লেকচারটিতে মহান আল্লাহর অসীম কুদরতকে অস্বীকার করেছেন, সে সম্পর্কে তাহকীকী বিশ্লেষণ হচ্ছে– ডাক্তার জাকির নায়েক যে ধারণার ভিত্তিতে সেসব কল্পকাহিনী তৈরী করেছেন যে, আল্লাহ লম্বা-খাটো লোক তৈরী করতে পারেন না, চিকন-মোটা লোক তৈরী করতে পারেন না এবং এ রকম হাজার হাাজার তালিকা তার নিকট থাকার কথা তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ এটা পারেন না, ওটা পারেন না–এ চিন্তা ডাক্তার জাকির নায়েক তৈরী করেছেন আল্লাহর কুদরতকে মানুষের সক্ষমতার দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখার দ্বারা। অর্থাৎ যেহেতু মানুষের ক্ষমতায় এটা করা অসম্ভব, তাই আল্লাহর জন্য এটা করা অসম্ভব বলে তিনি ভেবেছেন। কিন্তু এ বিষয়টিকে মহান আল্লাহর কুদরতের কারিশমা দিয়ে বিবেচনা করলে তখন তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। নিঃসন্দেহে তখন পরিষ্কার হবে যে, মহান আল্রাহর কুদরতের কারিশমার কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যেমন, মানুষের চিন্তায় নারী-পুরুষের মিলন ছাড়া সন্তান জন্মদান অসম্ভব। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার কুদরতের কারিশমার কাছে সেটা সম্ভব। যেমন, মহান আল্লাহ স্বীয় কুদরতের কারিশমায় হযরত ঈসা (আ.)কে নারী-পুরুষের মিলন ছাড়াই হযরত মারয়াম (আ.)-এর গর্ভে সৃষ্টি করেছেন। এভাবে মহান আল্লাহর অসীম গুণকে তার অসীমত্বের দ্বারাই বিবেচনা করতে হবে।
সুতরাং মহান আল্লাহর কুদরতকে মানুষের চিন্তা দিয়ে বিচার করলে হবে না। অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক সেই ভ্রান্ত চিন্তা করেই উক্ত পথভ্রষ্টতা ও কুফরী মতবাদের জন্ম দিয়েছেন।
বলা বাহুল্য, মহান আল্লাহর মহান কুদরতের মধ্যে অক্ষমতা বা অপারগতা বলতে কিছু নেই। তিনি লম্বা-বেটে সৃষ্টি করতেও সক্ষম এবং চিকন-মোটা সৃষ্টি করতেও সক্ষম। কিন্তু তিনি তা কিভাবে করবেন? সেটা আল্লাহ তা‘আলাই জানেন কিভাবে করবেন। তাই এক্ষেত্রে বিশ্বাস রাখতে হবে–তিনি পারেন এবং যেহেতু ব্যাপারটি আমাদের বোধগম্য নয়, এ জন্য এটা বিশ্বাস করতে হবে যে, এটা আল্লাহ কিভাবে করবেন–এটা তিনিই জানেন, তা বুঝা আমাদের ক্ষমতার বাইরে। সুতরাং এটাকে আল্লাহর অসীম কুদরতের কারিশমার বিষয় বিশ্বাস করে এর কাইফিয়্যাতকে মহান আল্লাহর ইলমের দিকে নিসবত করতে হবে। কেননা, এটা মহান আল্লাহর অসীম ইলমের সংশ্লিষ্ট বিষয়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন–
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا
“তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, রূহ আমার পালনকর্তার বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে। (সূরাহ বনী ইসরাঈল, আয়াত নং ৮৫)
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক এক্ষেত্রে ইসলামের এ নির্ধারিত নীতিপথে না গিয়ে মহান আল্লাহর এ গুণ বর্ণনার স্পর্শকতর বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা করেছেন এবং এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর সব কিছু করতে পারার মহান গুণকে অস্বীকার করেছেন। যা মারাত্মক কুফরী ও ইলহাদ ফী সিফাতিল্লাহ-এর অক্ষমার্হ অপরাধ–যে অপরাধ করলে মানুষ মুলহিদ (বাঁকা পথ অবলম্বনকারী বা দ্বীনের সত্য পথ থেকে বিচ্যুত) পরিগণিত হয়। যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
হয়তো কেউ বলতে পারেন, ডাক্তার জাকির নায়েককে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আল্লাহ যেহেতু সবকিছু পারেন, তাহলে আল্লাহ কেন মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে আসতে পারবেন না? আল্লাহ মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে আসতে পারেন, তাই হিন্দুদের ভগবান রজনিশ ঈশ্বরের মানুষ রূপ। এ প্রশ্নের উত্তরে সেখানে ডাক্তার জাকির নায়েক উক্ত জাওয়াব দিয়েছেন। যদি ডাক্তার জাকির নায়েকের কথা ঠিক না হয়, তাহলে সেই প্রশ্নের জাওয়াব কী হবে?
.
আসলে উক্ত প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার জাকির নায়েক যা বলেছেন, তাকে বলা যায় আগুন থেকে রক্ষা করতে পানিতে ডুবিয়ে মারা। তিনি মহান আল্লাহর কুদরতের ব্যাপারে ঈমানবিরোধী বাতিল আকীদার জাওয়াব দিতে গিয়ে নিজেই মহান আল্লাহর অসীম কুদরতকেই অস্বীকার করে ঈমানবিরোধী বাতিল আকীদার জন্ম দিয়েছেন। তাই ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত জাওয়াব কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
.
বস্তুত এক্ষেত্রে সহীহ জাওয়াব হলো, একটি বিষয় হলো কুদরত যাকে ‘সক্ষমতা’ বলা হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে ফি‘ল যাকে ‘কর্ম’ বলা হয়। আল্রাহ তা‘আলার কুদরত হচ্ছে তিনি সবকিছুতে সক্ষম। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।”(সূরাহ নূর, আয়াত নং ৪৫) আর আাল্লাহ তা‘আলার ফি‘ল হচ্ছে, তিনি তা-ই করেন–যা করার তিনি ইচ্ছা করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে–إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ “নিশ্চয় আপনার পরওয়ারদেগার যা করার ইচ্ছা করেন, তা করেন।” (সূরাহ হুদ, আয়াত নং ১০৮)
.
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর শানের খিলাফ কোনকিছু করার ইচ্ছা করেন না। তাই তা করেন না। যদিও এক্ষেত্রেও তার সক্ষমতা বিদ্যমান। সুতরাং মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে আসার সক্ষমতা থাকলেও এটা আল্লাহ তা‘আলার শানের খিলাফ। এ জন্য তা আল্লাহ তা‘আলা করেন না এবং করবেন না। সুতরাং রজনিশ বা অন্য কেউ খোদা দাবী করলে সেটা মিথ্যা।
এভাবে এ ধরনের যত প্রশ্ন হয়, তার উত্তর এটাই হবে। কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক ইসলাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ইলম অর্জন না করেও মিথ্যা ইলম জাহির করতে সচেষ্ট হয়েছেন এবং ঈমান-কুফরের মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও মনগড়াভাবে উত্তর দিতে লেগেছেন। যার মাধ্যমে তিনি দ্বীনকে নিজের খিয়াল-খুশী মতো ব্যাখ্যা করে কাদিয়ানী-রাফেজীদের মতো ভিন্ন ধর্মমত সৃষ্টির মাধ্যমে ফিতনার জন্ম দিয়েছেন। তার এ গোমরাহীর পথ থেকে মুসলমানদের দূরে থাকা কর্তব্য।
হয়রত ২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে সে বিষয়ে তো কোন বক্তব্য নেই!
তবে (দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৭৫ ॥ মুদ্রণ ও প্রকাশনায় : পিস পাবলিকেশন, ৩৮/৩, কম্পিউটার মার্কেট, বাংলা বাজার–ঢাকা) তে পাইছি ।
মুলত ভিডিওর কত মিনিটে আছে ভালো করে চেক করে বলবেন।
হয়রত ২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে সে বিষয়ে নাইতো। তবে ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৭৫ ॥ মুদ্রণ ও প্রকাশনায় : পিস পাবলিকেশন, ৩৮/৩, কম্পিউটার মার্কেট, বাংলা বাজার–ঢাকা)তে পেয়েছি।
মুলত কত মিনিটে আছে সঠিক ভাবে দিলে সকলের জন্য ভালো হয়।
তোমরা যারা এই সাইটটি নিয়ন্ত্রণ করো সবাই বেয়াদব। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে যে কথাগুলো বলেছো সব বানোয়াট। আমি এই লেকচার গুলো অরিজিনাল কপি শুনেছি। তোমরা মূলতঃ ইহুদী। মানুষকে বিভ্রান্ত করো। আল্লাহ হয়তো তোমাদের হেদায়েত দান করুন না হয় ধ্বংস করে দিন। আমিন
জাকির নায়েক মুসলমানদের জন্য আল্লাহর একটা নেয়ামত।
অন্ধ ভক্ত ব্যক্তিদের যতই বুঝানো হয় তারা বলে বিচার মানি তালগাছ আমার এই প্রবাদের মতো তাদের অবস্থা অন্ধভক্ত হোয়েন না সঠিক কোরআন-হাদিস জানার জন্য কামেল একজন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তি তালাশ করুন।