নুরুল শিপার খান
আমাদের গ্রামের মানুষ যে এখন ও স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনি তা আজ বুঝতে পারলাম৷কেননা রহমান ভায়ের বৌকে নিয়ে যে অজ্ঞ গোঁড়ামি নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছে এটাই তার উজ্জলময়ী দৃষ্টান্ত!
মানছি করোনা ভাইরাস খুবই মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ তাই বলে স্বাভাবিক মৃত্যুকে করোনা ভেবে লাশ দাফনে বাধা!
গ্রামের নাম শান্তিপুর !
জন্ম থেকে শৈশব কৈশোর এ গ্রামেই আমার বেড়ে ওঠা৷..নড়াইল জেলার মধ্যে শিক্ষায় এবং চাকুরীজীবীতে আমাদের শান্তিপুর গ্রাম শীর্ষে না হলেও সকলের নখ দর্পণে আছে৷
কি নেই এই গ্রামে..
প্রাইমারী,হাইস্কুল,মসজিদ,মাদ্রাসা,পুলিশের বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে, ব্যাংকার,ম্যাজিস্ট্রেট,জজ ব্যারিস্টার,উকিল মুক্তার ইত্যাদি ইত্যাদি…আর শিক্ষার হার বলতে গেলে শতকরা ৯০% শিক্ষিত৷
যাহোক চাকুরীর সুবাদে ঢাকা থাকি৷ আমি বাংলাদেশ পুলিশ এর গর্বিত সৈনিক৷ঢাকা লালবাগ থানাতে আমার পোস্টিং..তবে বর্তমানে কাজের প্রেশারে প্রাণ যায় যায় অবস্থা৷পুলিশ মানেই জনগণের সেবক আর এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত জনগণের সেবা করে যাচ্ছি৷ইতিমধ্যে মরণঘাতক করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে আমার সহকর্মী ১৫ জন (পুলিশ )ভাইদের৷
দুটো সন্তান নিয়ে স্ত্রী সব সময় আতঙ্কে থাকে এই বুঝি খারাপ সংবাদ এলো৷
ডিউটি শেষ করে সবে বাসায় ফিরে মুখ হাত ধুয়ে লাঞ্চ খেতে বসলাম..যদিও বিকাল চারটা বাজে৷খাবার মাঝামাঝি হঠাৎ মোবাইলে রিং বেজে উঠলো…
-সংগ্রাম কাকু আমার মা হাসপাতালে …খুব খারাপ অবস্থা ৷রক্তের প্রয়োজন আপনি কিছু একটা করুন৷
বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়লো রুমেল৷
রুমেল রহমান ভাই এর ছেলে৷যদিও আমার আপন কেউ নয় তবুও পাশাপাশি বাড়ি সেই সুবাদে আমাদের পরিবারের সাথে একটা ভাল সম্পর্ক৷
খাবার রেখে উঠে দাঁড়ালাম..বললাম কোন হাসপাতালে আছো!
– আমরা ঢাকা মেডিকেলে আছি কাকু৷
-ঠিক আছে থাকো আমি এখনি আসছি৷
দ্রুত বাইক টেনে পৌঁছে গেলাম ঢাকা মেডিকেলে..
ডাক্তার এর সাথে কথা বলতেই আঁতকে উঠলাম–কেননা একজন সুস্থ মানুষের দেহে রক্তের প্লাটিনিটি থাকে ১লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কিন্তু ওনার শরীরে আছে মাত্র পাঁচ হাজার৷আমি পৌঁছানোর মিনিট দুই আগে…..
রুমেল আর আরিয়া দুই ভাইবোন, রুমেল বাইরে দাড়িয়ে আছে৷কিন্তু ওরা জানেনা ওদের মা আর স্নেহ ভালবাসায় বুকে টেনে নিবেন না কোনদিন!
এবার চারদিকে সাড়া পড়ে গেলো রহমান ভাইয়ের বৌ করোনা রোগে মারা গেছে৷
অলরেডি ডেডবডি ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে করোনায় আক্রান্ত ডেডবডির পাশে রাখা হয়েছে৷
তখন আমি প্রস্তাব রাখলাম -আমি এই ডেডবডি নিয়ে যেতে চাই!
-না,করোনা রোগে ওনার মৃত্যু হয়েছে অতএব কোনভাবেই নেওয়া যাবেনা৷
-দেখুন আমি আইনের সেবক আমি বলছি সব ফর্মালিটি পালন করবো তবুও ডেডবডি আমার চাই!
-ডেডবডি দেওয়ার নিয়ম নেই,তবে কিট নিয়ে পরীক্ষা করে দেখে যদি নেগেটিভ আসে তাহলে আমি ছাড়তে পারবো নচেৎ না৷কর্তব্যরত ডাক্তার বললেন৷
-আচ্ছা তাই হবে,তবে ব্যবস্থা করুন নমুনা সংগ্রহের আর আমার কোন সহযোগিতা লাগলে বলবেন!
ডাক্তারের সাথে কথোপকথনে রুমেল আরিয়া বুঝতে পেরেছে তাদের মা আর নেই৷
আরিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে উঠলো-কাকু আমার মা?
-তোমার মা,আছে,ভাল আছে৷
-আমি জানি কাকু আমার মা আর নেই,তাই মিথ্যে সান্ত্বনা দিবেন না আমাকে,তবে একটাই অনুরোধ আমার মাকে যেন গ্রামে নিয়ে যেতে পারি শুধু এই ব্যবস্থাটুকু করে দিন৷
এবার আমি আরিয়ার মাথায় হাত রাখলাম-কি বলে সান্ত্বনা দিবো তাকে,মা হারানো সন্তানদের কিভাবে সান্ত্বনা দিতে হয় সে ভাষা আমার জানা নেই তবে ছোটবেলা আমি ও মাকে হারিয়েছি তাই মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে যে বুকের পাঁজর ভেঙে খান খান হয়ে যায় এটুকু বুঝি..
হঠাৎ নীরব কান্না আমার বুকে বাসা বাধতে লাগলো এ কান্না বড় ভয়ানক খালি চোখে দেখা যায় না শুধু ব্যথিত হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়৷কোন মতে নিজেকে সামলে নিলাম..
দেখো মামনি তুমি তো যথেষ্ট বড় হয়েছো,বাবা মা কারো আজীবন বেঁচে থাকেনা৷তাই তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে৷আর আমি দেখছি কি করা যায়৷
এরপর পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে আরিয়ার ছোট চাচা উজ্জ্বলকে ভাইকে ফোন করলাম এবং বিস্তারিত বললাম!
উত্তরে তিনি বললেন-আমি বাসা থেকে বের হতে পারবোনা ,তুমি যেভাবে পারো একটা ব্যবস্থা করে বাড়িতে পাঠিয়ে দাও৷
-বলেন কি এইটুকু দুটো ছেলে মেয়েকে কি করে ডেড বডিসহ পাঠাবো৷তাছাড়া ছুটি পেলে আমি নিজেই যেতাম সাথে!
-বললাম তো আমার শরীর ভাল না৷আমি যেতে পারবো না৷যেহেতু তুমি হাসপাতালে আছো একটা এম্বুলেন্স ধরিয়ে দিও…
ওনার কথা শুনে যেন আকাশ ভেঙে পড়লো আমার মাথায়..তার নিজের ভাবি মারা গেছে কই খবর শুনে ছুটে আসবে তা না মুখের উপর বলে দিলো আসতে পারবে না৷আরে কুকুর বিড়াল পুষলে ও তো তার বিয়োগে মায়া কান্না আসে অথচ যে ভাবির সাথে একই সংসারে কাটিয়েছে , আজ তার বিয়োগে করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা৷
আরে করোনা তো আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহ চাইলে ঘরের মাঝে ও মৃত্যু দিতে পারে৷আল্লাহকে ভয় করেন করোনাকে নয়..
যাহোক এভাবে কেটে গেলো চারঘণ্টা ৷বহুচেষ্টার ফসল হাতে পেলাম টেস্ট রিপোর্ট !
চোখে মুখে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো,কেননা রিপোর্ট এ করোনা নেগেটিভ এসেছে৷
যাক বুক ফুলে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম এই ভেবে যে রুমেল আরিয়াসহ অন্তত তার মাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে পারবো৷
একটা এম্বুলেন্স ঠিক করে দিলাম এবং ড্রাইভারকে সবকিছু বুঝিয়ে দিলাম৷
হায়রে কি মুষলধারে বৃষ্টি৷দুই ভাইবোন তাদের মাকে নিয়ে চললো গ্রামের বাড়ি৷যাবার সময় আরিয়া বললো কাকু আপনি যেটা করলেন তার ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবোনা…আমার মায়ের জন্য দোআ করবেন..এসেছিলাম মায়ের হাত ধরে ঢাকা ভাল কলেজে ভর্তি হবো মানুষের মত মানুষ হবো..সেটা আর হলো না..জানেন কাকু আমার মা সবসময় বলতেন একমাত্র শিক্ষাকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনা..
ডেডবডিসহ এম্বুলেন্সটা যখন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল তখন আরিয়া ছলছল নয়নে আমার দিকে তাকাচ্ছিল কিন্তু তার চোখে কোন অশ্রু দেখিনি আমি..কথায় আছে না অধিক শোকে পাথর..মাকে হারিয়ে ওদের অবস্থা তাই হয়েছে৷
মনটা কেবল বার বার কু ডাক ডাকছে, এই ঝড়ো বৃষ্টির রাতে দুই ভাইবোনকে ছেড়ে দিলাম..
দেশের যা অবস্থা প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে. ওদের এভাবে পাঠানো কি ঠিক হলো?
কিন্তু আমি কীইবা করতাম এখন তো সরকারী সব সোলজারদের সকল ছুটি বন্ধ,তাই আমি ও যেতে পারিনি ওদের সাথে৷
ওই এম্বুলেন্স ড্রাইভার যদি আরিয়াকে কিছু করে বসে৷ছটফট করতে লাগলাম..ঠিক তখনি এম্বুলেন্স ড্রাইভার ফোন করলো
-স্যার
-তোমরা এখন কোথায়!
-স্যার আমরা এখন মাওয়া ফেরি ঘাটে..প্রচুর ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে৷আপনি কোন চিন্তা করবেন না আমি ঠিকঠাক পৌঁছে যাব৷
শান্তিপুর গ্রামে হঠাৎ অশান্তির কালো ছায়া বিরাজ করা শুরু হলো..না না আমরা মানি না,করোনা রোগীকে এই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবেনা৷আবার কেউ বলছে করোনা রোগ বড্ড ছোঁয়াচে তাই ডেডবডি ঢাকায় দাফন করা হোক,কেউ কেউ আবার যুবক ছেলেদের সংগঠিত করে রেখেছে..সারা রাত লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছে লাশবাহি এম্বুলেন্স আসা মাত্রই তাকে ফেরত পাঠানো হবে৷
ফজরের আযানের পর লাশবাহি এম্বুলেন্সটা পৌছালো শান্তিপুর গ্রামে৷অবশ্য গ্রামে ঢোকার শুরু থেকে দফায় দফায় বাধার সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু সাথে পুলিশ থাকায় সব জটিলতা সহজে পরিণত হলো৷ ভোর তিনটায় যখন লোহাগড়া থানায় এলো তখন থানা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক’জন সদস্য লাশবাহি গাড়ির সাথে গিয়েছিল বলেই রক্ষা৷
কেননা আমি আগে থেকেই আচ করতে পেরেছিলাম এমন বাধার সম্মুখীন হতে পারে!
কারণ রহমান ভায়ের বৌ মারা যাবার পর গ্রামে যখন জানাজানি হলো তখন গ্রামের মান্যবর একজন ফোন করেছিল আমাকে
-কেমন আছো ভাতিজা!
-জি আলহামদুলিল্লাহ,আপনি কেমন আছেন চাচা?
-ভাল তো ছিলাম ,কিন্তু শুনলাম তুমি নাকি রহমান এর বৌকে গ্রামে পাঠাচ্ছ,করোনা আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়া মানুষকে গ্রামে পাঠিয়ে কেন গ্রামের ক্ষতি করছো বাবা৷গ্রামে তো মহামারি মড়ক বাসা বাধবে..তুমি এক কাজ করো রহমান এর বৌকে ঢাকা কোন এক কবরস্থানে দাফন করে দাও৷
-না চাচা,আপনি যেটা শুনেছেন সেটা ভুল ,ওনার করোনা নেগেটিভ, ডেড সার্টিফিকেট আছে আমার কাছে৷উনি রক্তশূন্যতায় মারা গেছে..ইত্যাদি ইত্যাদি৷
অবশ্য তিনি আরো বলেছিলেন ঠিক আছে ভাতিজা আমরা এ লাশ গ্রামে ঢুকতে দিবো না..
বিষয়টা আমলে নিয়ে সাথে সাথে লোহাগড়া থানার ওসি স্যারকে বিষয়টা অবহিত করি আর তিনি ফোর্স দিয়ে সহযোগিতা করেন ৷
যাহোক গ্রামের দু-চারজনকে পাশে পেয়েছিল কবর খুড়তে কিন্তু গোসল করাতে কেউ আসেনি৷রহমান ভায়ের শালি ও এসেছিলেন বোনকে শেষ দেখা দেখতে কিন্তু তিনি একটু দুরে দাড়িয়ে ছিলেন নাক মুখ ঢেকে৷
মেয়ে আরিয়া যখন দেখলো মায়ের গোসল করাতে কেউ আসছে না তখন মসজিদের ইমাম সাহেবের সহযোগিতায় মাকে গোসল করানোর দায়িত্ব সে নিলো৷পর্দার আড়াল থেকে ইমাম সাহেব বলে দিলো কিভাবে গোসল করাতে হবে….
কিন্তু কতইবা আরিয়ার বয়স ৷তবুও আজ এই ঘুণে ধরা কুসংস্কার সমাজের জুলুমের স্বীকার হয়ে যেন মায়ের অন্তিম গোসল করানোর শক্তি পেলো৷
যে মা দশমাস দশদিন তাকে গর্ভে ধারণ করেছে অথচ সেই মায়ের চিরবিদায়ে শেষ পবিত্র গোসল হবেনা তা সে মেনে নিতে পারেনি৷ ততক্ষণে একটু দুরে নাকমুখ ঢেকে দাঁড়িয়েছিলেন আরিয়ার ছোটখালা..
মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন আপনি কেন দাড়িয়ে আছেন আপনি গোসল করাতে সাহায্য করতে পারছেননা৷
তখন আরিয়ার খালা বললেন-আমি কখনও গোসল করাই নি তাছাড়া আমি লাশ গোসল করাতে পারিনা৷
-যতটুকু পারেন সেটাই করুন…তারপর মৃত বোনের গোসলে বদনা ভরে পানি ঢেলে সহযোগিতা করেছিল৷
জানাজা শেষে ইমাম সাহেব যখন মসজিদে নামাজ পড়াতে গেলেন তখন হুড় হুড় করে মুসল্লিগণ মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়লেন৷মনে হচ্ছিল ঘরে আগুন লাগলে বাঁচার জন্য মানুষ যেমন ছটফট করে ঠিক তেমনি হুড়মুড় করে সবাই বেরিয়ে পড়লেন..
মুসল্লীগণ ওই ইমাম সাহেবের পেছনে নামাজ পড়বেন না ..ইমাম সাহেবের অপরাধ তিনি করোনায় মৃত রহমান ভায়ের বৌকে জানাজা পড়িয়েছে৷
এ কোন জামানায় এলাম..মানুষে মানুষে সম্প্রীতি সৎ আদর্শ সৎ নীতি এটাই যদি সত্য হয় তাহলে এমন প্রতিহিংসা বিভেদ কেন আমাদের সমাজে৷
কথায় আছে বিপদেই বন্ধুর পরিচয়৷তাই রহমান ভাই ও তার ছেলে মেয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছে এই মহাবিপদে কে বা কারা তাদের পাশে দাড়িয়েছে৷ আর কে তাদের বিপদে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে৷
যতদূর জেনেছি রহমান ভাই আর ছেলে রুমেল লাশ কবরে নামিয়েছিল..আর সাথে আরো পাঁচজন মানুষ ছিল তবে ১০০ হাত দুরে ছিল৷
শুরুতেই বলেছিলাম আমাদের গ্রামের একটা ঐতিহ্য আছে,কোন মৃত ব্যক্তির জানাজা পড়াতে ৫০০/৭০০ মানুষ হয় আর সেখানে রহমান ভাইয়ের বৌ এর জানাজাতে লোক শুন্য৷কিছু সম্পর্ক মৃত্যুর ভয়কে ও উপেক্ষা করে যার উজ্জলময়ী দৃষ্টান্ত রহমান ভাই আর ছেলে মেয়ে৷যেখানে নিকট আত্মীয়রা ঘরের কপাট বন্ধ করে পড়ে আছে সেখানে এই তিনজন সম্পর্কের বন্ধনকে করলো আরো স্থায়ী প্রগাঢ়৷
ক্ষণস্থায়ী জীবন জেনেও মৃত্যুকে এত ভয় কেন পেলো গ্রামবাসী৷কেন মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ভুলে গেলো !
যে গ্রামের আলো বাতাসে আমি বড় হয়েছি আজ যদি আল্লাহ না করুক (যেহেতু পুলিশের চাকরী করি)করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমি মারা যায় তাহলে তো গ্রামের মানুষ আত্মীয়, পরিজন,দুর দুর করে নবগঙ্গার জলে ফেলে দিবে আমার লাশ৷মায়ের কবরের পাশে ও শেষ ঘুমের জায়গা পাবো না…
আর পরবর্তী প্রজন্মকে কোন ইতিহাস বলবো মানুষে মানুষে সম্প্রীতির কথা নাকি করোনা ভাইরাস সকল সম্প্রীতিকে বিভেদ করে দিয়েছে সেই কথা…আঁধারের বুক ফুঁড়ে হয়তো একদিন আলো আসবে আর সেই দিন মেঘমুক্ত আকাশ শান্তি আর সম্প্রীতির বার্তা এনে দিবে আমি সেই দিনটির জন্য অধীর৷………..