মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ
করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন রমজান ও তারাবি বিষয়ে মুসলমানদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ।
১৬ এপ্রিল বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যেহেতু এখনও চলমান, তাই আসন্ন রমজানেও প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাগুলো বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত রমজানের তারাবিও প্রশাসন এবং স্থানীয় ব্যবস্থাপনার আলোকে ঘরে কিংবা মসজিদে জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে।
বৈশ্বিক এই মহামারি যেহেতু দিনদিন বেড়েই চলেছে, তাই প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যসংস্থা থেকে যেই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়, তা গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলতে হবে। পরস্পরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং যেই সমস্ত অঞ্চলকে লকডাউনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে, তারা একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নিজেদের বাড়ি থেকে বেরোবেন না।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পবিত্র রমজানে অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত, বেশি বেশি ইস্তেগফার, দরূদ শরীফ এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের জন্য ও পুরো পৃথিবীর মানুষদের সুস্থতার জন্য দুআ করতে হবে।
অপরদিকে আসন্ন রমজান ও তারাবি বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।
১৫ এপ্রিল সকালে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা মাহমুদ মাদানি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরঈ কোনো কারণ ছাড়া আসন্ন রমজানের রোজা কেউ ভাঙবেন না। এমনিভাবে তারাবির নামাজও নিজের পরিবারকে নিয়ে ঘরেই পড়বেন। এক্ষেত্রে অন্য বাড়ির লোকজনদের জমা করার প্রয়োজন নেই। ছয়দিনের বা দশদিনের খতম তারাবির আয়োজন করতে যাবেন না।
জমিয়তের ওই বিজ্ঞপ্তিতে দিনমজুর, ও দরিদ্রদের মাঝে সামর্থ্যবানদের সাহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
এছাড়াও বলা হয়, লকডাউন চলাকালীন সময়ে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও নিজের পরিবারকে নিয়ে জামাতের সঙ্গে আপাততো ঘরেই পড়তে থাকুন।