স্মার্টফোন ব্যবহার : যা বললেন মুফতি তাকি উসমানি

শিহাব সাকিব

আজকাল আমাদের নিত্যসঙ্গী স্মার্টফোন। এর উপকারিতা যেমন আছে, ক্ষতির দিকগুলোও উপেক্ষা করার উপাই নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে তা ভয়ংকর রকম অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। মানবতা ও নীতি নৈতিকতার চরম অবমাননাও হচ্ছে এর মাধ্যমে। ধর্মীয় অনুশাসন যারা মেনে চলেন তাদের জন্যে এ এক মহা পরীক্ষার জায়গা। এবিষয়ে সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভপূর্ণ আলোচনা করেছেন প্রখ্যাত আলেমে দীন হযরত মাওলানা মুফতি তাকি উসমানী হাফিযাহুল্লাহ।

তিনি তার এক বয়ানে বলেছেন, “যার নিজের উপর এই আস্থা নেই যে, নিজেকে চোখের ফিতনা থেকে হেফাজত করতে পারবে, তার জন্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করা জায়েজ নেই। যার নিজের উপর ভরসা হবে সে ব্যবহার করবে। এর মাধ্যমে ভাল ভাল কাজ করবে। অবশ্য পদস্খলনের শংকা সব সময়ই আছে। দৃষ্টি বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এমনও দেখা যায় যে, বাহ্যত ভাল নামাযি, পরহেজগার লোক, প্রথম কাতারে নামায পড়ে কিন্তু নির্জনে যখন বসে আপন চক্ষুকে আল্লাহর অবাধ্যাচরণে ব্যবহার করে! কত বড় খেয়ানত! কত বড় নাফরমানি! তাই সাবধান! মাত্র অল্প কদিনের জীবন, কখন কার মৃত্যুর ডাক চলে আসবে, আমরা কেউই জানি না। এরপরই আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে মহান রবের সামনে। জবাব দিতে হবে প্রতিটি কর্মের, প্রতিটি দৃষ্টির।” আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তার মর্জি মোতাবেক চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *