গত ২২ মার্চ পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকি উসমানির উপর ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলা হয়। হামলার দুইজন শহিদ ও দুইজন গুরুতর আহত হন। তবে আল্লাম তাকি উসমানি ও তার পরিবার হামলার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পান।
হামলার পর পাকিস্তানভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল উম্মাত ডটনেট-কে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন আল্লামা তাকি উসমানি। সেখানে তিনি হামলার বিবরণ, সম্ভাব্য হামলাকারী, পূর্বে পাওয়া বিভিন্ন হুমকি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। উর্দু ভাষায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি বাংলায় ভাষান্তর করেছেন আবরার আবদুল্লাহ।
উম্মাত : চতুর্মুখী সন্ত্রাসী হামলা থেকে আপনি যেভাবে বেঁচে গেছেন তা বিস্ময়কর। হামলার সময় আপনি কোনো দোয়া পড়ছিলেন?
আল্লামা তাকি উসমানি : বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করার পরও আল্লাহ আমাকে এমনভাবে হেফাজত করেছেন যে, আমার একটু চামড়াও ছেলেনি। তবে আমার দুইজন সাথী শহিদ হয়েছেন এবং দুইজন সাথী আহত হয়েছেন। আমি খুবই ব্যথিত ও ভারাক্রান্ত।
আপনি জানতে চেয়েছেন, আমি দোয়া পড়ি কীনা? আমি দোয়া পড়ি না। দোয়া প্রার্থনা করি। দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। সফরের সময় দোয়া-প্রার্থনা করা আমার অভ্যাস। সাধারণত রাতেই সুরা কাহাফ পড়ে নেই। প্রতিদিন এক পারা কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করি। সফরে থাকলে রাস্তায় তেলাওয়াত করে পারা শেষ করি। যখন হামলা হয় আমি সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলাম। আমি সুরাও শুরু করেছি অন্যদিকে গুলিবর্ষণও শুরু হয়েছে। কয়েকটি গুলি আমার গাড়ির সামনের গ্লাসে এসে লাগে।
আশ্চর্য বিষয়! আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, হঠাৎ বুঝি প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলো। কিন্তু গাড়ির সামনের ভাঙ্গা গ্লাসে চোখ পড়ার পর বুঝলাম বৃষ্টি নয়, গুলিবর্ষণ শুরু হয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, কোনো সন্ত্রাসী আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করছে। খেয়াল করলাম হামলাকারীরা হোন্ডায় করে সামনে পেছনে যাচ্ছে।
উম্মাত : হামলাকারীরা কয়জন ছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : তিনটি মোটর সাইকেলে দুইজন করে ছয়জন হামলাকারী এসেছিলো। আমি আগেই বলেছি, আমি তখন তেলাওয়াত করছিলাম। আমার দুই হাতে কুরআন শরিফ ধরা ছিলো। তেলাওয়াতে মগ্ন ছিলাম। হামলার মুহূর্তে বুঝতে পারছিলাম না কোথায় আছি। তাই তাৎক্ষণিক বুঝতে পারিনি হামলাকারী কয়জন ছিলো? উইন্ডস্ক্রিন ভেঙ্গে যাওয়ার পর গাড়ির ডানপাশের গ্লাস ভেঙ্গে যায়।
উম্মাত : আকস্মিক হামলায় কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : এক গাড়িতে পুলিশ সদস্য ও আমার নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন। আমি, আমার স্ত্রী ও পোতা-পুতনি এক সিটে বসা ছিলাম। পেছন থেকে ছোঁড়া গুলি মাথার একদম কাছ দিয়ে সামনের সিটের পেছনে লাগে। এমন সময় ড্রাইভার হাবিব গুলিবিদ্ধ হয়। সে আমাকে শুয়ে যেতে বললো। কিন্তু শোয়ার সুযোগ ছিলো না। আমি নিচু হয়ে থাকলাম। তখন চতুর্দিক থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হলো। ড্রাইভার আহত অবস্থায় গাড়ি চালাতে লাগলো। আমরা ভেবেছিলাম তারা চলে গেছে। কিন্তু হাবিব চিৎকার দিয়ে বললো, ওরা ফিরে আসছে। আবার গুলিবর্ষণ শুরু হলো।
আপনাকে একটি বিস্ময়কর কথা বলি, আমি গাড়ির বামপাশে বসা ছিলাম। সন্ত্রাসীরা বাম দরজায় গুলি চালালো। গুলির আঘাতে দরজা ছিদ্র হয়ে গেছে। হিসেব মতো সেটা আমার পায়ে লাগার কথা। কিন্তু তা লাগেনি এবং গুলিটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আপনাকে একটি বিস্ময়কর কথা বলি, আমি গাড়ির বামপাশে বসা ছিলাম। সন্ত্রাসীরা বাম দরজায় গুলি চালালো। গুলির আঘাতে দরজা ছিদ্র হয়ে গেছে। হিসেব মতো সেটা আমার পায়ে লাগার কথা। কিন্তু তা লাগেনি এবং গুলিটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আমি ও আমার পরিবার গাড়ির পেছনে সিটে বসা ছিলাম। পেছন দিক থেকেই হামলাকারীরা বেশি গুলি ছুঁড়েছে। পেছনের গ্লাসটা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে হামলাকারীদের উদ্দেশ্য হাসিল হয়নি। গ্লাস ভেঙ্গে যাওয়ার পরও গুলি ছোঁড়া হয়। কিছু গুলি পেছনের সিটের রডে লাগে। কিছু গুলি গ্লাস আটকে রাখার রাবারে লাগে। আল্লাহ আমাকে ও আামর পরিবারকে রক্ষা করেছেন।
উম্মাত : আপনার স্ত্রী ও বাচ্চাদের অবস্থা কী হয়েছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : আমার পৌত্র ইয়ামানের বয়স পাঁচ বছর এবং পৌত্রী দিনার বয়স সাত বছর। তারা বুঝতেই পারছিলো না কী হচ্ছে? যখন ড্রাইভারের গায়ে গুলি লাগলো তখন ইয়ামান বুকে হাত দিয়ে বললো, দাদা! আমার এখানে লেগেছে। আমি তখন ভয় পেয়ে যাই। বলা যায়, আমার উপর দিয়ে কিয়ামত অতিবাহিত হয়। আমি তাকে কাছে টেনে নিয়ে জামার বোতাম খুলে দেখি গাড়ির কাঁচের একটি টুকরো সেখানে লেগেছে। কাঁচের টুকরো লেগে আমার স্ত্রীর দুই হাত কেটে গেছে। হামলার সময় তার হাতেও কুরআন ছিলো। সেও তেলাওয়াত করছিলো। আল্লাহর অনুগ্রহ সেও ভয় পায়নি। আমার স্ত্রী তখন সুরা ইয়াসিনের এই আয়াত পাঠ করছিলো, ‘(অর্থ) আমি তাদের সামনে এবং পেছনে দেয়াল তৈরি করলাম এবং তাদের চোখে ঢেলে দিলাম পর্দা।’
কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় হাতও অবশ হতে শুরু করে। সে হাতের আঙুল দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায়। আমি তাকে বলেছিলাম, দাও আমি গাড়ি চালাই। কিন্তু পুনরায় হামলার আশঙ্কায় সে তাতে রাজি হয়নি। আমি যখন পরবর্তীতে ফোন তার খোঁজ-খবর নিয়েছি, সে বলেছে, আমার যদি দশটি জীবন থাকতো তবে আমি তা আপনার জন্য উৎসর্গ করতাম।
উম্মাত : হামলার সময় আপনার ড্রাইভার বিশেষ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
আল্লামা তাকি উসমানি : হ্যা, সে জীবন বাজি রেখে ড্রাইভিং করেছে। হামলাকারীরা প্রথমে তাকেই টার্গেটে পরিণত করে। কিন্তু আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। সে আহত হওয়ার পরও সাহসের সাথে গাড়ি ড্রাইভ করেছে। যদি সে থেমে যেতো তবে ঘটনা ভিন্ন কিছু হতে পারতো। হামলার সময় তার দুই হাতে ও কনুইতে গুলি লাগে। প্রথমে গুলি লাগার পর প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিলো। সে আমাকে বললো, আমার এক হাত অবশ হয়ে গেছে। সে অন্য হাতে গাড়ি চালাচ্ছিলো। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় হাতও অবশ হতে শুরু করে। সে হাতের আঙুল দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যায়। আমি তাকে বলেছিলাম, দাও আমি গাড়ি চালাই। কিন্তু পুনরায় হামলার আশঙ্কায় সে তাতে রাজি হয়নি। আমি যখন পরবর্তীতে ফোন তার খোঁজ-খবর নিয়েছি, সে বলেছে, আমার যদি দশটি জীবন থাকতো তবে আমি তা আপনার জন্য উৎসর্গ করতাম।
উম্মাত : সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ সময় ধরে আমার উপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ কোথায় ছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : ঘটনাস্থলে তো কোনো পুলিশ দেখিনি। কিন্তু কিছু দূর এগিয়ে আসার পর পুলিশের একটি টহল দলের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম। আমি তাদের অনুরোধ করে বলেছিলাম, আমার ড্রাইভার গুরুতর আহত। আপনাদের একজন সদস্য দেন যে, গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাবে। কিন্তু পুলিশ সাহায্য করতে অস্বীকার করলো এবং বললো, আপনারাই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে যান।
আমি জানতাম, এখানে সময় নষ্ট করে লাভ হবে না। এখন প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। তাই গাড়ি না থামিয়েই চলতে চলতে তাদের সাথে কথা বলছিলাম। যখন তারা সাহায্য করতে অস্বীকার করলো ড্রাইভার নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছালো। আল্লাহর অনুগ্রহ রাস্তায় জ্যাম ছিলো না। মাত্র দশ মিনিটেই হাসপাতালে পৌঁছাই আমরা।
উম্মাত : ইতিপূর্বে আপনাকে কয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিলো। সেটা কবে থেকে শুরু হয়?
আল্লামা তাকি উসমানি : সাম্প্রতিক সময়ে কোনো হুমকি আমি পাইনি। কিন্তু এক দেড় বছর পূর্বে দুয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিলো। আমি তা আমলে নেইনি। প্রশাসনকেও জানাইনি। কারণ, যে সংগঠনের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্ট করে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিলো তার সাথে হুমকিদাতার কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিলো না। তাই এই হুমকিরও কোনো ভিত্তি ছিলো না।
উম্মাত : আপনাকে তারা কীভাবে হুমকি দিয়েছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : অধিকাংশ সময় হুমকির দেওয়া হয় নাম ঠিকানা ছাড়া চিঠির মাধ্যমে। কখনো কখনো হুমকিদাতা নিজেকে দায়েশের সদস্য হিসেবে দাবি করে। এমন লেখা থাকে, ‘আমি দায়েশের কমান্ডার বলছি। আপনি যে অবস্থান গ্রহণ করেছেন তাতে আমরা আপনাকে ছাড়বো না।’
উম্মাত : কোন অবস্থানের কথা বলছে তারা?
আল্লামা তাকি উসমানি : আমি সব সময় আমাদের দেশে সশস্ত্র তৎপরতা ও আত্মঘাতী হামলার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানিয়ে এসেছি। তারা সেই অবস্থানের দিকেই ইঙ্গিত করেছে। চিঠি দায়েশ ও টিটিপি উভয় সংগঠনের নামে এসেছে। কিন্তু আমি জানি না এই চিঠি আসল নাকি বানোয়াট? কারণ, এমন হয়েছে, টিটিপির কমান্ডার দাবি করে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আবার টিটিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা এমন কোনো চিঠি পাঠায়নি। এজন্য আমি হুমকিকে গুরুত্ব দেয়নি। দুয়েকবার স্থানীয় নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে, আমরা আপনাকে ছাড়বো না। আমি বলেছি, আল্লাহ সব ক্ষমতার মালিক।
দেশের ভেতর সশস্ত্র তৎপরতার ব্যাপারে আমার অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পরও আমি নিশ্চিত আমার কোনো শত্রু নেই। আর হুমকি দাতারা নিজেদের যে সংগঠনের বলে দাবি করেছে সেটাও সত্য নয়। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে দায়েশ নেই। একটা মজার ঘটনা হলো, একবার চিঠিতে লেখা হয় আমি দায়েশের কমান্ডার এবং আপনার আশেপাশেই থাকি।
উম্মাত : সিন্ধের গভর্নর ইমরান ইসমাইল বলেছেন, আপনাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : আমার মনে হয়, তিনি কোথাও ভুল করছেন। আমার সেটা জানা নেই। যখন উলামায়ে কেরামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো, বেফাকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো কোনো কোনো আলেমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্বহাল করা হয় যেনো। সম্ভবত তিনি আমাকে তাদের একজন মনে করেছেন।
হামলার পর তিনি আমার অবস্থা জানতে এসেছিলেন। তখন কথা হয়েছে। এর আগে তার সাথে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি।
উম্মাত : সরকারের পক্ষ থেকে আপনার নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে?
আল্লামা তাকি উসমানি : সরকার আমার নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা শুরু থেকে করেনি। আমাকে কোনো নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হয়নি। এক-দেড় বছর আগে আমাকে একজন পুলিশ সদস্য দেওয়া হয়। কিন্তু আমি তাকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেই। কারণ, আমি বাহিরে খুব কম যাই। আমার নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীও আছে। কিন্তু কয়েকজন পরামর্শ দিলেন আমি যেন তাকে ফেরত না পাঠাই। আমিও আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি।
উলামায়ে কেরামের নিরাপত্তা উঠিয়ে নেওয়ার পর সেই পুলিশ সদস্যকেও প্রত্যাহার করা হয়। একদিন পর আবার দুইজন নিরাপত্তা কর্মী পাঠানো হয়। হামলার একদিন আগে একজন নিরাপত্তা কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়। হামলার সময় আমার সাথে ফারুক নামের একজন সরকারি নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন এবং তিনি শহিদ হয়েছেন।
উম্মাত : মানুষ বলে, ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় মানুষকে আগাম অনেক কিছু বলে দেয়। হামলার দিন আপনার এমন কিছু হয়েছিলো?
আল্লামা তাকি উসমানি : মোটেও না। হ্যা, যখন গুলি করছিলো, তখন আমার বিশ্বাস ছিলো আমার কিছু হবে না। সেটা এজন্য যে, আমার বিশ্বাস ছিলো আল্লাহ আমাকে রক্ষা করবেন।
উম্মাত : সবাই বলছে, হামলা অত্যন্ত পরিকল্পিত ছিলো।
আল্লামা তাকি উসমানি : হ্যা, অত্যন্ত পরিকল্পিত ছিলো। এই সপ্তাহ আমার বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়ানোর কথা ছিলো না। আমার মুলতানের একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণের কথা ছিলো। কিন্তু আকস্মিক আমার ফ্লাইট বাতিল হয়। কিন্তু সেটা খুব কম মানুষেরই জানা ছিলো। হামলাকারীরা সেটা নিশ্চিত হয়েছে এবং হামলার পরিকল্পনা করেছে।
বারোটার দিকে কয়েকজন অপরিচিত মানুষ দারুল উলুম গিয়ে বলে, আজ এখানে কে নামাজ পড়াবেন। আমরা মুফতি সাহেবের পেছনে নামাজ পড়তে এসেছি। তখন বলা হয়, আমি বায়তুল মোকাররম নামাজ পড়াবো। সম্ভত তারা জানতে চেয়েছিলো, আমি কোথায় নামাজ পড়াবো এবং কখন বের হবো।
উম্মাত : ঘটনার তদন্ত কীভাবে আগাচ্ছে? আপনি সন্তুষ্ট?
আল্লামা তাকি উসমানি : হ্যা, যেভাবে তদন্তের কাজ চলছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে এখনি সবকিছু বলা যাবে না।
উম্মাত : হামলার ঘটনাকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখছেন?
আল্লামা তাকি উসমানি : আমি প্রথমে বলবো, হামলার দায় কোনো সংগঠন বা পক্ষের উপর না চাপানো। বাহ্যত মনে হয়, দেশের শত্রুরা এই হামলা করেছে। তারা পাকিস্তান দিবসে দেশে একটি অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
উম্মাত : হামলাকারীদের আপনি কী বার্তা দিতে চান?
আল্লামা তাকি উসমানি : আমি তাদেরকে হেদায়েতের পথে আহবান জানাবো। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে হেদায়েত দান করুন। তাদের কল্যাণের পথে পরিচালিত করুন।