যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পাঁচ পর্যটন কেন্দ্র

অনেকের কাছেই আফগানিস্তান এমন এক দেশের নাম, যার সাথে শুধুই জড়িয়ে আছে যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সংঘর্ষ।কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিচিত্র সাংস্কৃতিক ভিন্নতায় পরিপূর্ণ দেশটি যে বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণে পূর্ণ, তা আমাদের অধিকাংশেরই অজানা। এখানে আফগানিস্তানের অসংখ্য পর্যটন আকর্ষণের মধ্য থেকে পাঁচটি পর্যটন আকর্ষণের বিবরণ এখানে দেওয়া হল।

১. কাবুল

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পাঁচ পর্যটন কেন্দ্র 6

কাবুল আফগানিস্তানের রাজধানী এবং দেশটির সবচেয়ে বড় শহর। হিন্দুকুশ পর্বতমালার অভ্যন্তরীন সংকীর্ণ এক উপত্যকায় অবস্থিত শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭৯০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। যা এই শহরটিকে বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম রাজধানী শহরে পরিণত করেছে।

২. ওয়াকহান করিডর, পামির পর্বতমালা

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পাঁচ পর্যটন কেন্দ্র 7

পামির পবর্তমালা অঞ্চলের অন্তর্গত উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের ওয়াকহান করিডর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ একটি আকর্ষনীয় পর্যটন স্থল। চীনের অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া এই করিডরটি তাজিকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে পৃথক করেছে।বাদাখশান প্রদেশের অধীন এই স্থানটি অতীতে রুশ সাম্রাজ্য এবং ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যকার বাফার জোন হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল।

৩. বামিয়ান উপত্যকা

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পাঁচ পর্যটন কেন্দ্র 8

হিন্দুকুশ পর্বতমালার অভ্যন্তরীন বামিয়ান উপত্যকা আফগানিস্তানের অপর একটি পর্যটন আকর্ষন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই স্থানটি ১ম থেকে ১৩দশ শতাব্দী পর্যন্ত দেশটির সংস্কৃতি ও স্থাপত্যশিল্পের সাক্ষ্য বহন করে আসছে।স্থানটিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ আশ্রম ও মঠের অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির প্রাচীন ইতিহাসকে উপস্থাপন করেছে।

৪. বান্দ-ই-আমীর ন্যাশনাল পার্ক

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পাঁচ পর্যটন কেন্দ্র 9

ছয়টি হ্রদের সমন্বয়ে বান্দ-ই-আমীর প্রকৃতির এক বিস্ময়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতমালা হিন্দুকুশের অভ্যন্তরে এই স্থানটিতে বিপুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমাহার ঘটেছে। বামিয়ান উপত্যকার কাছাকাছি এই স্থানটি আফগানিস্তানের পর্যটনের প্রধান আকর্ষন।

৫. বলখ

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পাঁচ পর্যটন কেন্দ্র 10

উত্তর আফগানিস্তানের একটি প্রাচীন শহর বলখ। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন একটি শহর। শহরটি একইসাথে এই অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্ম, জরাথ্রুস্ট ধর্ম এবং ইসলামের কেন্দ্রভূমি। শহরটি তার ইতিহাসে বহুবার ধ্বংস হয়েছে এবং পরবর্তীতে নতুন ভাবে নির্মিত হয়েছে। বিভিন্ন যুগের বিবিধ ঐতিহাসিক নিদর্শন এই শহরটির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে।

উপরে বর্ণিত পর্যটন আকর্ষনসমূহ ছাড়াও সারা আফগানিস্তানে আর বিভিন্ন আকর্ষন ছড়িয়ে আছে। একসকল পর্যটন আকর্ষন আফগানিস্তানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটনপ্রিয় মানুষকে জড়ো করতে যথার্থভাবে সক্ষম।

mvslim.com অবলম্বনে, মুহাম্মদ আল-বাহলুল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *