মুফতি সাইয়েদ আদনান কাকাখায়ল
যখন মানুষকে আল্লাহ কোন নেয়ামত দান করেন, মানুষ যদি সেই নেয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন না করে তাহলে সে সেই নেয়ামত থেকে পূর্ণরূপে উপকৃত হতে পারে না। সেই নেয়ামত তার জন্য স্বস্তির কারণও হতে পারে না ।
সন্তান শুধু দুনিয়ায় শান্তির কারণ নয়। সন্তানের নেয়ামত মূলত আখিরাতের পুঁজি। প্রত্যেক মুসলিমের এ কথা চিন্তা করা উচিত যে, দুনিয়া থেকে আমি চলে যাচ্ছি, দুনিয়াতে আমার জন্য দোয়া করার জন্যে কাকে রেখে যাচ্ছি?!!
হাদীস শরীফে সদকায়ে জারিয়ার যে তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্যে সন্তান অন্যতম।
প্রত্যেক মুসলমানেরই এ কথা ভাবা উচিত যে, আমি কি আমার সন্তানকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে দুনিয়াতে রেখে যাচ্ছি?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তিনটি জিনিস এমন যদি তোমরা দুনিয়াতে রেখে যাও তাহলে তোমাদের কবরে সওয়াব পৌঁছতে থাকবে। এর মধ্যে একটি হল, যদি কেউ এমন সন্তান রেখে যায়, যে নামাজ পড়ে, তেলাওয়াত করে, দোয়া করে, দ্বীনের কাজ করে, মানুষের উপকার করে, মানুষকে সহযোগিতা করে- এমন সন্তান যদি কেউ রেখে যায় তাহলে সে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে, মৃত্যুর পর তার আমলের খাতা বন্ধ হবে না। তার মৃত্যুর পরও তার আমলনামায় তার সন্তানের পক্ষ থেকে সওয়াব লেখা হতে থাকে।
আর যদি নিজের সন্তানকে শুধুই দুনিয়ার জন্য বানিয়ে যায়, তাকে কোন ধরনের দ্বীনী শিক্ষা না দেয়, আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের কোন কথাই তাকে না শিখায়, তাহলে মৃত্যুর সময় সে শুধু তার আমলনামার খাতা বন্ধই করে যাবে না, বরং সন্তানের দ্বীনী শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে অবহেলার কারণে তাকে কবরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল। প্রত্যেককেই তোমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে।
অনুলিখন : এনাম হাসান জুনাইদ