কুরআনে কারীমের হক আদায় করা মুসলমানের দায়িত্ব

মুফতি মনসূরুল হক
———————————-

আমাদের উপর আল্লাহ পাকের সবচেয়ে বড় এহসান আর দয়া এটা যে তিনি আমাদের কুরআনে কারীম দান করেছেন। এটা এমন এক জিনিস যা সরাসরি আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে পৌঁছেছে। এবং এরই মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তা’আলার সবচেয়ে বেশী নৈকট্য লাভ করতে পারি। আল্লাহ তা’আলা আমাদের অন্য যত নেয়ামত দান করেছেন তা কোন না কোন মাধ্যম হয়ে এসেছে, সরাসরি না। কুরআন সরাসরি আল্লাহ তা’আলার সিফাত। মাঝখানে কোন মাধ্যম নাই। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তিনি ও আমাদের জন্য বড় নেয়ামত। কিন্তু তিনি সরাসরি আল্লাহ তা’আলার জাত থেকে আসেন নি। তিনি পিতা মাতার মাধ্যমে দুনিয়াতে এসেছেন। সরাসরি না। মিশকাত শরীফে একটা হাদীস আছে,“বান্দা কোন কিছু দ্বারা আল্লাহ তা’আলার এত বেশী নৈকট্য হাসিল করতে পারবে না যেটা ঐ জিনিস দিয়ে পারবে যা সরাসরি আল্লাহ তা’আলার নিকট থেকে এসেছে।”ঐ হাদীসেই এটা ও আছে “ইয়ানি কুরআন অর্থাৎ কুরআন (যা সরাসরি আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে এসেছে)”।

এই কুরআন সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,

১. যে এই কুরআনকে সামনে রাখলো, পথ প্রদর্শক বানালো এই কুরআন তাকে পথ দেখায়ে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

২. আর যে কুরআনকে পিছে রাখলো, গুরুত্ব দিল না এই কুরআন তাকে জাহান্নামে টেনে নিবে।  পেছনে রাখার অর্থ বাহ্যিক ভাবে শুধু পেছনে রেখে দেয়া না।  যদিও সে চোখের সামনে রেখেছে কিন্তু কুরআনে কারীমের যে হুক্বুক আছে তা সে আদায় করলো না।

কুরআনের হুকুক ৬টি

১. কুরআন সহী করে পড়া।
২. কুরআনকে মুহাব্বাত করা।
৩. কুরআনকে শ্রদ্ধা করা।
৪. কুরআনের উপর আমল করা।
৫. কুরআনের দিকে মানুষকে দাওয়াত দেয়া।
৬. কুরআনকে আল্লাহর জমীনে কায়েম করা।

এসবই কুরআনের হুকুক অর্থাৎ আমাদের কাছে পাওনা। এই জন্য কুরআনের যে হক আছে তা আমাদের অন্তরে বসা দরকার। কুরআনে কারীমকে মুহাব্বাত করতে হবে। বন্ধুর সাথে কথা বলতে তো মজাই লাগে, কেন? মুহাব্বাত আছে তাই।  কিন্তু কুরআন তিলাওয়াত করতে মজা লাগে না, কেন? মুহাব্বাত নাই তাই। কুরআনের প্রতি যে আমাদের শ্রদ্ধা থাকতে হবে, সেটা নেই। কুরআনের উপর বই রেখে দেই আমরা। গিলাফ ছাড়া রেখে দেই, ময়লার পাহাড় জমে যায়।  নিজ সন্তানকে এভাবে একটা দিন রাখতে পারবেন?

বাংলাদেশ মাজহুল তথা অজ্ঞদের দেশ।  আমাদের দেশের তিলাওয়াত কুলকে কুল মাজহুল বা অশুদ্ধ।  এক জমানা পর্যন্ত বুঝতাম না।  আমাদের ১৯৮৮/১৯৯০ সাল থেকে ভারতের হারদুইতে যাত্রা হয়। ‘৮৮ -র বন্যার পর প্রায় প্রতি বছর আল্লাহ হারদুই যাওয়ার তৌফিক দিয়েছেন। সেখানে তো যেতাম তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধিরর জন্য।  আর হারদুই হুজুর তাযকিয়া শুরু করেন নূরানী ট্রেনিং দিয়ে।  তাযকিয়া অর্থ নিজেকে মিটিয়ে দেয়া।  নিজের অহংকার মেটানো। এটা তিনি করতেন নূরানী কায়দা দিয়ে। বড় বড় শাইখুল হাদীস, মুহতামিম সাহেব, মুফতীয়ে আজমদের গিয়ে এই আলিফ,বা,তা,ছা পড়তে হয়েছে। এবার চিন্তার বিষয় যে উনার অহংকার কোথায় থাকবে। এই বড় বড় উলামায়ে কেরামগণ শুধু অবাক হয়ে দেখতেন এত দিন এত কিছু পড়ে আসলাম, বুখারী পড়ায়ে আসলাম আর এখানে এসে নূরানী কায়দা পড়তে হচ্ছে ! আমরা তো নূরানী কায়দা পড়তে যাই নি। আমরা গিয়েছি আত্মশুদ্ধি করতে। গিয়ে দেখি এই অবস্থা। আর এই কাজে হযরত খুশী। এটাতে আবার হযরতের অনুমতি লাগে। আমরা তাই একটা নূরানী কায়দা আর একটা খাতা কিনে হযরতের কাছে অনুমতির জন্য গেলাম। বললাম, হযরত আমরা নূরানী কায়দা পড়বো অনুমতি চাচ্ছি। হযরত খুব খুশী হলেন। অনুমতি দিলেন আর বললেন “বহুত আচ্ছি বাত ! ”

আমরা আলিফ,বা,তা শুরু করলাম। তখন আমাদের বুঝে আসছে আমাদের তিলাওয়াতের কী হাল। আমরা যে তিলাওয়াত করি, তা বাংলায় হয় বা নাহুবী হয়। নাহুবী তিলাওয়াত হলো–“ইন কানাত ইল্লা সইহাতান ওয়া হিদাতান।” কোন গুন্নাহ নেই, ইখফা নেই, ইযহার নেই।  এখানে ইন না হয়ে ইং হবে, ইখফা গুন্নাহ হবে, সইহাতাউ এখানে ইদগাম গুন্নাহ হবে। যাই হোক হারদুইতে আমাদের হাল বুঝে আসলো। কুরআনের ব্যাপারে আমরা শুধু বয়ানই করি কিন্তু এর যে হুকুক আছে তা জানাও নেই আমলও হয় না।  মাদ্রাসা তো তৈরী হয়েছে কুরআন কায়েম করার জন্য। আমাদের ছাত্ররা দাওরা পড়ে মুফতী মুহাদ্দিস হয়ে যাচ্ছে, অথচ তিলাওয়াত গলদ। এর কারণ হলো ছোটকালে কুরআন কোন গ্রামের মুন্সির কাছে পড়েছে আর ঢাকায় এসে বড় আলেম হয়ে যাচ্ছে। বুখারী শরীফে নাম্বার পাচ্ছে ৯০, মুসলিম শরীফে ৯১ কিন্তু কেরাতে মাত্র ১৩/১৭। হাদীসে এত এত নাম্বার অথচ কুরআনে কত নিম্ন মানের নাম্বার। কুরআনের পেছনে একটুও মেহনত করে নি।

আমাদের হযরতের (হারদুই হুজুর রহ.) মালফুযাতে আছে- হারদুই হুজুর ফারেগ হওয়ার পর কোন একদিন তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলেন। এবং নামাজে উনার বন্ধুর পেছনে ইক্তেদা করলেন। নামাজ শেষে উনার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন–“ভাই, তুমি কী কুরআন কোন মহিলার কাছে শিখেছ ? তোমার তিলাওয়াত তো অনেক নিম্ন মানের।”মহিলার কথা কেন বললেন? কারণ মহিলাদের প্রতিটা কাজ অপরিপূর্ণ, নাকেস। এটাই আল্লাহর কুদরত। এই হলো আমাদের হাল। তাই হারদুই হযরত রহ. বলেন, “আরে ভাই, তোমহারা পান বাড়হিয়া, নান বাড়হিয়া, মাকান বাড়হিয়া, দোকান বাড়হিয়া, লেকিন কুরআন ঘাটিয়া।”বাড়হিয়া মানে উন্নতমানের। আর ঘাটিয়া মানে নিম্ন মানের। অর্থাৎ তুমি পান কিনলে একদম ভালোটা। রুটি কিনলে একদম নান রুটি, এক পিসের দাম ১০ টাকা। বাড়ি বানালে একদম আকর্ষণীয় বাড়ি, মানুষ চেয়ে থাকে। দোকান বানালে মনে হয় সিঙ্গাপুরের দোকান। বাংলাদেশে দোকান কিন্তু মনে হয় সিঙ্গাপুরের। অথচ কুরআন তিলাওয়াত করতে দিলে বাংলায় তিলাওয়াত করে। বাংলা ভাষায় কুরআন পড়ে। হারদুই গিয়ে আমাদের বুঝে আসছে যে, কুরআনের পেছনে আমাদের আরো মেহনত দরকার। সহী থেকে আরো সহী করার ব্যবস্থা করা দরকার। বুঝলাম নামাজ জায়েজ হয়ে যায়। গেঞ্জি গায়ে দিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ জায়েয হয়ে যায় তাই বলে কী জামা পরবে না? জামায়াত শিবিররা তো একটা একটা করে সব বাদ দিয়ে দিচ্ছে। তারা বলে, টুপি ছাড়া কী নামাজ হয় না ? দাঁড়ি না রাখলে কী ইসলাম হয় না ? এভাবে সব বাদ দিয়ে দিচ্ছে!

মক্তব থেকে নিয়ে একজন ছাত্র আমাদের কাছে ১৫/১৬ বছর থাকে। এর মধ্যে দু-এক বছর কুরআনের পেছনে কিছুটা মেহনত করে, পরে আর করা হয় না। ১৫/১৬ বছর পর তাকে যখন ইমামতি করতে দেয়া হয় তখন দেখা যায় তার কয়েক জায়গায় ভুল। তাই উচিৎ হলো দাওরাতে, মেশকাতে কুরআনের মেহনত থাকা দরকার। মুফতী হয়ে যাচ্ছে অথচ কুরআনের তিলাওয়াত সহী না। বিষয়টা গুরুত্ব দেয়া দরকার।

হাকিমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. এর নিকট এসে অনেক মাদ্রাসাওয়ালারা এই বলতো যে “হুজুর ছাত্র আসে না, শিক্ষকের বেতন দিতে পারি না, যে সকল ছাত্ররা আসে তাদের খাবার দিতে পারি না।”মাদ্রাসার এই দুরবস্থা বলে দুআ চাইতেন। হযরত থানবী রহ. সবাইকে একই উত্তর দিতেন। উনি তিনটি কাজ করার জন্য বলতেন।  তিনি বলতেন এর পর যদি অভাব থাকে তো জানাও। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি।

সেই ৩টি কাজ হল, 
১. তালিমে কুরআন।
২. তাজিমে কুরআন।
৩. তাকরিমে হামেলীনে কুরআন।

১. তালিমে কুরআন: সহী ভাবে কুরআন শিক্ষা দিতে হবে। সাধারণত দেখা যায় কিতাব খানায় শিক্ষক রাখা হয় ৫,০০০ টাকা দিয়ে। আর মক্তবে শিক্ষক রাখা হয় ১৫০০ টাকা দিয়ে। ১৫০০ টাকার ক্বারী তো ভালো কুরআন শিখাতে পারবে না। এই রকম ক্বারী তো বাংলায় কুরআন শেখাবে। অথচ বিষয়টি উল্টা হওয়ার কথা ছিল। যদি কিতাব খানায় শিক্ষক রাখা ৩,০০০ টাকা দিয়ে। তাহলে মক্তবে শিক্ষক রাখা উচিৎ ৫,০০০ টাকা দিয়ে। অনেক মাদ্রাসায় তো কুরআনের ব্যবস্থাই রাখা হয় না। কেন রাখা হয় নাই জিজ্ঞেস করলে বলে,“হুজুর বাচ্চারা গ্যাঞ্জাম করে।”হযরত অবাক হয়ে বলেন, আরে বাচ্চারা গ্যাঞ্জাম করে তো মাদ্রাসা থেকে কুরআন বাদ! মাদ্রাসায় কুরআন রাখা হলো না! আরে এই বাচ্চাদের এই গ্যাঞ্জাম তো কুরআনের মুহাব্বাতে বরদাস্ত করতে হবে। অনেকে রাখেই নাই আর অনেকে রেখেছে কিন্তু সহী তিলাওয়াতের ব্যবস্থা রাখে নাই। আনাড়ি ক্বারী রেখেছে।

২. তাজিমে কুরআন: কুরআনকে সম্মান দেখানো। কুরআনের গিলাফ থাকতে হবে। কিতাবের যে তাক আছে ঐ তাকের সবার উপরে থাকবে কুরআন শরীফ, তার নিচে তাফসীর, তার নিচে হাদীস, তার নিচে ফিক্বাহ, তার নিচে মানতেক, নাহু, সরফ। অনেকেই রাখে ঠিক তার উল্টা। সবার উপরে মানতেক, নাহু, সরফ সবার নিচে কুরআন (নাউযুবিল্লাহ)। হারদুইতে এগুলো সব চেক করা হতো। হারদুই এর মেহমান খানায় কিতাবের তাক আছে। মেহমানরা কিতাবের তাকে ঠিক মত সব কিছু রেখেছে কি না তা হারদুই হযরত রহ. খেয়াল করতেন। হারদুই হযরত এটাও খেয়াল করতেন যে উপরের তাকে যে কুরআন রাখা হয়েছে তা কি খালি রাখা হয়েছে না কুরআন শরীফের নিচে কোন পরিষ্কার তোয়ালে দেয়া হয়েছে। কিতাবের তাকে সরাসরি কুরআন রাখা হলে তার তাজিম হয় না। কুরআন গিলাফ দিয়ে ভাঁজ করে রেহালে রাখতে হবে। ঐ রেহালে অন্য কোন কিতাব রাখা যাবে না। কারণ বাদশাহর সিংহাসনে বাদশাহ বসে। বাদশাহ অনুপস্থিত থাকলেও ঐ চেয়ার খালি থাকে তাতে কেউ বসার সাহস করে না। কোন মন্ত্রীও না।  রেহাল হলো বাদশাহর সিংহাসন। কুরআন আল্লাহর কালাম। আল্লাহ সকল বাদশাহর বাদশাহ। আল্লাহর কথাও বাদশাহর বাদশাহ। তার আসন রেহাল। হেদায়া শরীফ ও রাখা যাবে না। ঐ কিতাব রাখতে হবে টুলে। টুলের উপর আবার কুরআন রাখা যাবে না। কেননা বাদশাহকে চেয়ারম্যান সাহেবের আসনে রাখা অপমান। তবে হ্যাঁ কেউ যদি অপারগ হয়, কুরআনকে টুলে রাখতে বাধ্য থাকে সেই ক্ষেত্রে একটা পরিষ্কার তোয়ালে আগে বিছিয়ে তারপর রাখা চাই। ঐ তোয়ালে কুরআনের জন্য খাস রাখতে হবে। যদি কুরআন পড়ার অযোগ্য হয়ে যায় বা এমন ভাবে ছিঁড়ে যায় যে পড়া যাচ্ছে না তো ঐ কুরআন কাপড়ে পেঁচিয়ে দাফন করতে হবে। তাকে রাখা যাবে না। যদি উড়ে উড়ে পরে যায় তো তা জায়েয হবে না। আমি তাজিমের কিছু উদাহরণ দিলাম বুঝার জন্য। তাজিম করা দরকার। যেমন:
• গিলাব লাগাতে হবে।
• রেহালে বা উঁচু যায়গায় রাখতে হবে।
• টুলে রাখলে তোয়ালে বিছাতে হবে।
• কুরআনের দিকে পা করে বসা বা শোয়া যাবে না।
• কুরআনকে নিচে রেখে উপরে বসা যাবে না। ইত্যাদি।
এই সব কিছু কুরআনকে তাজিম করার মধ্যে দাখিল।

৩. তাকরীমে হামেলীনে কুরআন: তাকরীমে হামেলীনে কুরআন এর অর্থ মাদ্রাসার যে অংশ সরাসরি কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন: মক্তব, নাজেরা, হেফজখানা ইত্যাদি। তাদের আলাদা দৃষ্টিতে দেখতে হবে। আলাদা দৃষ্টিতে দেখার অর্থ হলো,

ক. উদাহরণ সরূপ মাদ্রাসার বিল্ডিং আছে আবার টিনের ঘর ও আছে। সব যায়গায় ছাত্ররা থাকে। তো বিল্ডিং এ দিতে হবে মক্তব, নাজেরা, হেফজখানা ইত্যাদি আর কিতাব খানা হবে টিনের ঘরে। তাছাড়া কিতাব খানার ছাত্ররা সাধারণত একটু বড় হয়ে থাকে। মক্তব, নাজেরা, হেফজখানা ইত্যাদিতে বাচ্চারা সবে মাত্র মায়ের আচল থেকে বের হয়েছে। তাদেরকে টিনের ঘরে পাঠালে কষ্ট সহ্য করা কষ্টকর হবে। বরং হেফজখানা থেকে ফারেগ হলে পরে তাদের টিনের ঘরে দিলে ঐ কষ্ট সহ্য করতে পারবে (ইনশাআল্লাহ)। যেহেতু বিল্ডিং আছে তাই কুরআনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্তদের বিল্ডিং এ দিতে হবে আর যদি পুরো মাদ্রাসাই টিনের হয় তা হলে কোন আপত্তি ছিল না। এর নাম তাকরীমে হামেলীনে কুরআন।

খ. যদি মাদ্রাসায় কোন ভাল কার্পেট হাদিয়া সরূপ পাওয়া যায় তো তা মক্তবে দিতে হবে। আমাদের দেশে দারুল হাদীসে দেয়। মক্তবে চট দিয়ে থাকে। এটা ভুল। এটা তো কুরআনের তাকরীম হলো না। ঐ কার্পেট মক্তব আর হেফজখানায় দিতে হবে। ঐ কার্পেটে বসে যখন তারা ২/৪ বছর কুরআন পড়বে তখন ঐ কার্পেটে কুরআনের নূর আসবে। তারপর ঐ কার্পেটে দারুল হাদীসের ছাত্ররা বসবে তখন কুরআনের নূরের কারণে হাদীস বুঝে আসবে। যারা কুরআন পড়ান তাদের অজীফা/বেতন কিতাব পড়হানেওয়ালাদের অর্থাৎ যারা পড়াবে তাদের চেয়ে বেশী থাকতে হবে বা কমপক্ষে সমান হতে হবে, কম হতে পারবে না।

হাকিমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন, এই তিনটা কাজ করো আমি আশরাফ আলী এর দায়িত্ব নিলাম। যারা করেছে তাদের ছাত্র ও অনেক, আর্থিক কোন সমস্যা ও নাই। আর যারা করে নাই তারা সবসময়ই পেরেশান থাকে। ছাত্র নেই, টাকা নেই। “নুন আনতে, পান্তা ফুরায়।”

কুরআনের সিহাত- আমাদের দেশে কুরআনে কারীমের কিছু হরফ গলদ উচ্চারণ করে। হারদুই থেকে শিখে আসার পর আমাদের নজরে যে গলদগুলো ধরা পরেছে তা একটা পরচা আকারে তৈরী করা হয়েছে । ‘আমালুস সুন্নাহ’কিতাবে ঐ পরচাটা ও আছে। আমার নজরে যেই ভুল ধরা পরেছে সেই ভুল বাংলাদেশের বহু উলামা সহ রেডিও টিভিতে কুরআন পাঠকদের ও হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *