অনলাইন আয় সম্পর্কে

Fatema asked 5 years ago
আসসালামুআলাইকুম। আমি কানিজ ফাতিমা । আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। আমি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে চাই । আমার প্রশ্নগুলো হচ্ছে,১. আমি যদি আমার কন্ঠ কোন সফটওয়্যার দিয়ে সম্পূর্ণ ছেলেদের মতো করে দিই তাহলে কি কোন গোনাহ হবে?২. কার্টুন দেখা বা বানানো কি জায়েজ আছে?৩. ভিডিও তে যে ব্যাকগ্রাউন্ড মিইজিক দেয় তা কি দেয়া বা শোনা জায়েজ?৪. কোন প্রয়োজনেে যদি আমি গায়রে মাহরাম কারো সাথে কথা বলি তাহলে কি গোনাহ হবে ?৫. ছবি এবং ভিডিও সংক্রান্ত সকল মাসায়েল যদি জানান খুবই উপকৃত।আমি অনেকদিন যাবত মাসালা গুলো জানতে চাচ্ছি তাই দয়া করে একটু তাড়াতাড়ি জানাবেন।
1 Answers
ইউটিউব থেকে আয় সাধারণত অ্যাডসেন্স নির্ভর হয়ে থাকে, আর অ্যাডসেন্সে এড পাবলিসার যারা আছেন, তাদের আয়ের উৎসের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়াটা মুশকিল। তাদের আয় যদি হারাম হয় বা তারা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোন উপায়ে আয় করে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা নাজায়েজ এবং তাঁদের বিজ্ঞাপন প্রচার করাও সেক্ষেত্রে জায়েজ হবে না। কাজেই অন্য কোন পন্থায় ইউটিউব থেকে আয় করা যায় কিনা সেটা ভাবতে হবে। এবার আপনার প্রশ্ন গুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক ১ মেয়েদের কণ্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত । অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে পর-পুরুষের শ্রবণ করা বা শ্রবণ করানো হারাম। অতএব যদি কণ্ঠকে পরিবর্তন করে পুরুষের কন্ঠ বানানো হয় তবে এতে করে সমস্যা হবে না। যেহেতু এতে ফেতনার আশঙ্কা নেই। ২ কার্টুন যদি প্রাণীর হয় তাহলে তা নাজায়েয। আর যদি গাছ গাছালি বা অন্যান্য জড় পদার্থের হয় তাহলে সমস্যা নেই। ৩ মিউজিক শোনা বা বানানো বা ব্যাকগ্রাউন্ড এ মিউজিক ব্যবহার করা ইত্যাদি সবকিছুই হারাম ইসলামে বাদ্যযন্ত্র জায়েজ নেই। ৪ ধর্মীয় কোন প্রয়োজনে যেমন মাসআলা জিজ্ঞেস করার উদ্দেশ্যে গায়রে মাহরামের সাথে তখনই কথা বলা যাবে যখন মাহরাম কেউ না থাকে। মাহরাম উপস্থিত থাকলে মাহরাম এর মাধ্যমে জিজ্ঞেস করবে। আর উপস্থিত না থাকলে বা অন্য কোন উপায় না পেলে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনের কারণে গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলা জায়েজ আছে। অতএব বিনা প্রয়োজনে কোনোভাবেই জায়েজ হবে না। ৫ বিনা প্রয়োজনে কোন প্রাণীর ছবি বা ভিডিও নিয়ে কাজ করা যাবে না। যদি কাজ করতে চান তাহলে প্রাণী ছাড়া অন্যান্য জড় পদার্থের ছবি বা ভিডিও নিয়ে কাজ করা যাবে। অবশ্য ধর্মীয় আলোচনার ক্ষেত্রে বা ইসলামের প্রয়োজনে এখন ভিডিও এর ক্ষেত্রে অনেক আলেম ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে দ্বীনের উদ্দেশ্যে এসব কাজ করা যাবে। যেমন আমরা বিভিন্ন বক্তার ভিডিও আলোচনা দেখতে পাই ।।পাকিস্তানের আল্লামা মুফতি তাকি উসমানী সাহেব ও এটিকে হারাম বলেননি।