ধর্মহীনতা ও অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের কী দেয়?


লিখেছেন –  খাদিজা বিনতে শওকত


ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়, ঘরে ঘরে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগবে, না চাইতেই হাতের নাগালে সবকিছু পাব, এটি নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়.
তবে এই উদ্যোগ আমাদের জন্য কতটা কল্যাণ বয়ে আনছে ভেবে দেখা দরকার!
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে, ছাত্রদের জন্যও নেট উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দ্বারে দ্বারে অশ্লীলতা পৌঁছে যাচ্ছে!
তাতে কি আমাদের সোনার ছেলেরা মানুষ হচ্ছে?
স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তক যেন ধর্মহীনতা ও হিন্দুত্ববাদীতায় ছেয়ে গেছে!
বইয়ে মুসলিম নামগুলোতে কি এমন ক্ষতি হচ্ছিল আর এখন বইয়ের প্রায় প্রতিটি পাতায় পাতায় হিন্দুয়ানী নামে কতটুকু আয় বা উপকার হচ্ছে?
এটা কি পরিকল্পিত নাকি অবিবেচনা ও অজ্ঞতাপ্রসূত!

যদি অবিবেচনা ও অজ্ঞতাপ্রসূত হয়ে থাকে তাহলে পাঠ্য-পুস্তক রচনায় পরিবর্তন আনা হোক .
এ দেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ, এদেশের সর্বত্র পৌত্তলিকতা ও হিন্দুত্ববাদীতা ছেয়ে যেতে পারেনা!
দৈনিক নয়া দিগন্তের একজন কলামিস্টের লেখায় পড়েছিলাম, ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা পর্যালোচনা করে স্ট্যানলি তার প্রতিবেদনে লেখেন, “Mere pursiuing the teaching of three ‘r’ reading, writing and arithmatic without taking the aid of 4th ‘r’ that is religious result has come the 5th ‘r’ that is rascality অর্থাৎ চতুর্থ আর (R) এর সাহায্য ছাড়া শুধু তিনটি আর যথা রিডিং, রাইটিং ও এ্যারিথম্যাটিকের যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তা হলো রাসকেলিটি বা বদমাশ তৈরি করছে. ”

আমাদের আর্জি, স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক ধর্মহীনতা ও হিন্দুত্বের প্রভাব থেকে মুক্ত হোক!
ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা কখনও কোন জাতির জন্য শুভ পরিণতি বয়ে আনতে পারেনা .ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ কি? যেকোনো শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই বুঝতে পারবেন.
আর অসাম্প্রদায়িকতা!

প্রতিটি পদার্থেরই নিজস্ব ধর্ম রয়েছে. নিজ নিজ ধর্ম ছাড়া যেকোনো কিছুই স্বাতন্ত্রহীন!
ধর্ম ও বৈশিষ্ট্যের কারণেই একে অন্যের থেকে আলাদা আর এভাবে তারা নিজ নিজ পরিচয়ে বেঁচে থাকে.
ঠিক তেমনি পৃথিবীতে সম্প্রদায় ছিল, আছে, থাকবে. একের ধর্ম অন্যের মধ্যে চালিয়ে দিলে, বিপত্তি ঘটে সেখানেই!
আমরা মুসলিম, আমাদেরও আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে. সেই আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়েই আমাদেরকে নিজ নিজ পরিচয়ে স্বতন্ত্র হয়েই টিকে থাকতে হবে.
তাই অসাম্প্রদায়িকতা নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই আমাদের কাম্য.
আমাদের আছে পরকাল, আছে জান্নাত, আছে জাহান্নাম! ঈমান নিয়ে মরতে পারলে একদিন জান্নাতে যাওয়া যাবে! তা না হলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম! (হে আল্লাহ, জাহান্নাম থেকে তোমার কাছে পানাহ্ চাই) নিশ্চয়ই জাহান্নাম কেউ চাইনা!
এদিকে সেই ঈমানকে কতজন, কতভাবে কেড়ে নিচ্ছে সেই খেয়াল কারও আছে?

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *