কওমী ও আলিয়া ছাত্রদের জন্যে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নিয়ম ও কিছু পরামর্শ


আবু হানিফ সাদী আযহারী

প্রিয় পাঠক! আযহার ও আযহারীদের নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সংশয় নিরসনের লক্ষ্যে কিছুদিন পূর্বে আমার একটি লেখা প্রচারিত হয়, যার শিরোনাম ছিল: “জামিয়াতুল আযহার আদর্শ চিন্তাধারা ও শিক্ষা ব্যবস্থা” ,” জ্ঞানের মশালবাহী আল-আযহার কোন ব্যক্তি ত্রুটিতে ম্লান হবার নয়”, “ব্যক্তিবিশেষের ত্রুটি, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বন্ধ হোক ট্রল”। লেখাটি পড়ার পর আযহার এ পড়তে ইচ্ছুক এমন অনেক ছাত্র ভাইয়েরা কমেন্টস ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া ও ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে জানতে চেয়েছেন, যাদের সংখ্যা এত বেশি যে, প্রত্যেককে আলাদাভাবে উত্তর দেওয়া কষ্টসাধ্য। তাই ভাবলাম যদি মাসিক আদর্শ নারীর পাঠকদের উদ্দেশে একটি পোস্টে সব তথ্য একেবারে দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আশা করি সবাই উপকৃত হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ তাআলা।

https://adarshanari.com/education/9563/

 

আসুন, মিশরের বিখ্যাত আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন ও ভর্তির প্রসেসিং সংক্রান্ত বিষয়ে ৪টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করি।

১। পূর্ব প্রস্তুতি
২। ভিসা প্রসেসিং ও মিশরে যাওয়া
৩। যাওয়ার পর ভর্তির প্রসেসিং
৪। থাকা খাওয়া ও অন্যান্য বিষয়াদি।

 

(১) আযহার বিশ্ববিদ্যালয় গমনের পূর্ব প্রস্তুতি

ক, ব্যক্তিগত প্রস্তুতি

১-আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষার দুটি ধারা রয়েছে, কওমি ও আলিয়া। উভয় ধারার শিক্ষার্থীরাই আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ তবে বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ এ মনোনীত হওয়ার জন্য আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস সার্টিফিকেট লাগবে এবং আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে দুটি মিলিয়ে এভারেজে জিপিএ ৭/৮ থাকতে হবে। তবে আলিয়া পড়ুয়া যে ভাইয়েরা নিজ উদ্যোগে আযহারে যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে পয়েন্টের কোনও শর্ত নেই।

২-কওমি মাদ্রাসা থেকে যারা পড়তে চান, তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি স্কলারশিপের কোনও সুযোগ নেই। তবে নিজ উদ্যোগে যেতে পারেন। তাদের ক্ষেত্রে সেখানে মুআদালা শাখসিয়ার মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে । এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনো কওমি বোর্ডের অধীনে শরহে বেকায়া (সানাবিয়া), মিশকাত ও দাওরার সার্টিফিকেট লাগবে।

৩- আযহারে কোরআন শরীফ হিফজের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাই যারা আযহারে পড়তে ইচ্ছুক, তারা যেন প্রথম চারপারা এবং শেষ দুই পারা মুখস্থ করে যাবেন। কেননা এখানে ভর্তির সময় প্রত্যেকেই কিছু অংশ হিফজ পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হয়৷

৪- আযহারের ভিত্তি হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের আক্বিদার উপর। তাই আক্বিদার মূল পয়েন্টগুলো ভালোভাবে পড়ে যেতে হবে। বিশেষ করে আকিদাতুত তাহাবী কিতাবটি।

৫- যারা মোয়াদালা শাখছিয়ার মাধ্যমে সরাসরি অনার্সে ভর্তি হতে চান, তাদের অবশ্যই আরবি ভাষা, নাহু -সরফ ,বালাগাত ও ফিকহ এর ওপর স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে।

, অফিসিয়াল প্রস্তুতি

১- পাসপোর্ট করতে হবে এবং এর প্রথম পেইজ এর আরবি অনুবাদ করতে হবে৷

২- স্বচ্ছভাবে জন্ম নিবন্ধন ও তার আরবি অনুবাদ করতে হবে৷

৩- দাখিল ও আলিমের সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও প্রশংসাপত্রের মূলকপি ও স্বচ্ছভাবে তার আরবি অনুবাদ। কওমীদের জন্য যে কোন বোর্ডের অধীনে শরহে বেকায়া (সানাবিয়া), মেশকাত ও দাওরার সার্টিফিকেট, মার্কশিট এবং যে মাদ্রাসা থেকে পড়েছে সেখানকার প্রশংসা পত্র লাগবে।

৪- সকল কাগজ পত্রের আরবি অনুবাদ করার পর যেকোনো অনুবাদ সেন্টার থেকে নোটারি করে প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সর্বশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে।

৫- যার যার থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।

 

(২) ভিসা প্রসেসিং ও মিশর যাওয়া

এটি হচ্ছে মূল ধাপ এবং সবচেয়ে রিস্ক ও অনিশ্চয়তার বিষয়। বর্তমানে বাংলাদেশী ছাত্রদের মিশরে যাওয়ার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে:

, স্কলারশিপ যা শুধু আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ ছাত্রদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং এতে প্রতিবছর ১০ জন ছাত্র সুযোগ পেয়ে থাকে। এর জন্য কখনো অনলাইনে কখনো সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে৷ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কখনো মৌখিক ও লিখত পরিক্ষার নেন আবার কখনো পয়েন্টের ভিত্তিতে করে থাকেন৷ এক্ষেত্রে ভিসা এপ্লাই, টিকেটের খরচ এবং মিশর যাওয়ার পর থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় খরচ ভার্সিটি বহন করবে।

, ভাষা কোর্সে ভর্তি হয়ে যাওয়া৷
মিশরে অবস্থানরত কোন বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিশরের সরকার অনুমোদিত কোন ভাষা কোর্স অথবা অন্যকোন ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হয়ে সেখান থেকে ভিসা নেওয়া ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেওয়া। যার প্রসেসিং এর জন্য প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে এটি করতে পারলে মিশরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। এক্ষেত্রে টিকেট ভাড়া ও ভিসা প্রসেসিং নিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে। তবে এ পদ্ধতিটি সবসময় সম্ভব হয় না। মাঝেমধ্যে এর সুযোগ আসে৷

, টুরিস্ট ভিসা

বেশিরভাগ ছাত্ররা এ ভিসার মাধ্যমেই মিশরে গিয়ে থাকেন৷ এটি বাংলাদেশে কোন দালাল বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে রিস্ক বেশী থাকে। অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এক্ষেত্রেও ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ১০ থেকে ৩০,০০০ পর্যন্ত খরচ হতে পারে৷ তবে ভিসা পাওয়ার আগে টাকা দেবেন না, নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম৷ টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট এবং মিশর এয়ারপোর্ট এ যথেষ্ট পরিমাণ বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন। যেকোনো এয়ারপোর্ট থেকে আপনাকে ফেরত পাঠানো হতে পারে। ভাগ্য ভালো থাকলে কোন বাধা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন। এই পুরো প্রসেসিংয়ে টিকিট ভাড়াসহ প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা লাগতে পারে।

(৩) যাওয়ার পর ভর্তির প্রসেসিং

ক, যারা স্কলারশিপে যাবেন, তাদের দেশেই প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে এবং মিশর গিয়েই তানছিকে নিজেদের নাম জমা দেবেন এবং স্বল্প দিনের মধ্যেই তাদেরকে একটি মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে ভাষা কোর্সের জন্য স্তর নির্ণয় করতে হবে এবং সেই কোর্স সম্পন্ন করে অনার্সে চলে যাবেন।

খ, ব্যক্তিগতভাবে যারা টুরিস্ট ভিসায় যাবেন, প্রথমে গিয়েই পার্শ্ববর্তী ভিসা অফিস আব্বাসিয়া থেকে মিশরে অবস্থানের জন্য ভিসা নেবেন। সেটা সাধারণত এক মাসের দিয়ে থাকে। এবং এই সময়ের মধ্যে ভর্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেবেন। তাদের ভর্তির তিনটি পদ্ধতি রয়েছে:

এক, যাদের আলিমের সার্টিফিকেট আছে তারা সর্বপ্রথম তাদের সার্টিফিকেট বাংলাদেশ এম্বেসি কায়রো থেকে সত্যায়ন করিয়ে মিশর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করার পর মারকাজুত তাতবীরে জমা দেবেন। সেখান থেকে তার সার্টিফিকেটটি স্বল্প দিনের ভেতর সত্যায়ন করে দেবে। এরপর সার্টিফিকেট নিয়ে তারা সরাসরি তানসিকে ভর্তি হয়ে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ভাষা কোর্সের জন্য স্তর নির্ণয় করতে হয় এবং সেই কোর্স সম্পন্ন করে অনার্সে চলে যাবেন৷

দুই, আর যাদের কাছে কওমি মাদ্রাসার যে কোন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শরহে বেকায়া (সানাবিয়া) মেশকাত ও দাওরার সার্টিফিকেট রয়েছে তারা তাদের সার্টিফিকেট বাংলাদেশ এম্বেসি মিশর থেকে সত্যায়ন করার পর মিশর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করিয়ে মারকাজুত তাতবীরে জমা দেবেন। তারা মুআদালা শাখছিয়ার মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরাসরি অনার্সে ভর্তি হতে পারবেন৷

তিন, যাদের আলিম অথবা কওমি বোর্ডের কোন সার্টিফিকেট নেই, অথবা যারা দেশে ধর্মীয় কোন বিষয়ে পড়াশোনা করে আসেননি, অথবা যারা আযহার থেকে সানাবিয়া এর সার্টিফিকেট অর্জন করতে চান, তারা দেরাসায়ে খাসসায় ভর্তি হতে পারবেন, সেখানে সার্টিফিকেটের কোন শর্ত নেই। তাদেরকে কয়েকটি ধাপে স্তর নির্ণয় পরীক্ষা দিতে হয়। এবং সেই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককেই নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী মা’হাদে ক্লাস পেয়ে যাবেন। তারপর ধারাবাহিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে অনার্সে ভর্তি হবেন, এ পদ্ধতিতেও কওমি ছাত্রদের এক বছরের বেশী সময় লাগেনা, তবে কেউ যদি দুর্বল হন তার ক্ষেত্র এক বছর বা কারো দুই- তিন বছরও প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
ভর্তির নিয়ম কানুন ও তার পদ্ধতি প্রতিবছরই পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে এটা নিয়ে টেনশনের কোন কারণ নেই, এসে পৌছতে পারলে কোন এক পদ্ধতিতে ভর্তি হতে পারবেন, কওমি মতাদর্শের ছাত্র ভাইদের সংগঠন “আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি “ আপনাদের ভর্তির বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে ইন’শা’আল্লাহ৷

 

(৪) মিশরে যাওয়ার পর থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য বিষয়াদি৷

মিশরে অবস্থানরত পুরাতন বড় ভাইয়েরা যথেষ্ট হেল্পফুল হয়ে থাকেন, একজন নবাগত ছাত্র ভাইয়ের জন্য তারা সকল ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকেন, যাওয়ার পূর্ব থেকে যোগাযোগ রাখলে তারা প্রাথমিকভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দেন, হয়তো নতুন ভাবে তাদের জন্য বাসা ভাড়া নেন অথবা পুরাতন কারো সঙ্গে ফ্ল্যাট শেয়ারের ব্যবস্থা করে দেন এবং সেখানে থেকেই তিনি ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে করার সুযোগ পান। এক্ষেত্রে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং এই পুরো এক বছর সময় এর বাসা ভাড়া খাবারসহ অন্যান্য খরচের টাকা আপনাকে দেশ থেকে আনতে হবে, যা এক বছরে প্রায় এক লক্ষ টাকার বেশি লাগতে পারে৷ ভর্তি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি বিভিন্ন সংস্থায় যারা আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের থাকা খাওয়া ও নির্দিষ্ট পরিমাণে স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন সেখানে অথবা আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেটি খুব বেশি কঠিন নয়। সচরাচর কোথাও না কোথাও হয়েই যায়, সেগুলোর কোনও একটি পাওয়ার পর যদি সাধাসিধে চলাফেরা করেন, তাহলে দেশ থেকে টাকা না আনলেও মোটামুটি কষ্ট করে চলা যায়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের ব্যবস্থা না করেই মিশর চলে যেতে চান এবং কল্পনা করেন যে, অন্যান্য দেশের মত মিশরেও মনে হয় কাজের ব্যবস্থা রয়েছে, কোনভাবে এসে পৌঁছতে পারলেই মনে হয় একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা৷ ওখানে যারা যাবেন শুধু পড়ার উদ্দেশ্যেই যাবেন, মিশরে কাজ করে ইনকাম করার কোন সুযোগ নেই, তাই দেশ থেকে খরচের টাকা ব্যবস্থা করে তবেই যেতে হবে৷

 

বিশেষ পরামর্শ

১- আলিয়া থেকে যারা যেতে চান, সামর্থ্য থাকলে আলিমের পর দেরি না করা ভালো, কারণ স্কলারশিপের অপেক্ষা করতে করতে দু চার বছর চলে যায়। পরে আর যাওয়া হয় না বা গেলেও পরবর্তীতে লম্বা সময় পড়াশোনা করার সুযোগ পান না।

২- কওমি থেকে যারা যেতে চান, সাধারণত দাওরায়ে হাদিস পাস করে যাওয়াটাই শ্রেয়। তবে দাওরা হাদিসের পর যেন দেরি না করা হয়।

৩- যারাই আযহারে পড়তে চান, বয়সের হিসাব-নিকাশ করে যাবেন। কেননা আযহার থেকে সাধারণত অনার্স শেষ করতেই পূর্বাপর মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় বছর লেগে যায়।

৪- আর্থিক বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন। ব্যক্তিগতভাবে যিনি যাবেন, ভিসা প্রসেসিং এবং গমন বাবদ প্রায় এক লক্ষ এবং এসে এক বছর চলার মতো আরও এক লক্ষ টাকার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫ – হুটহাট করে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া উচিৎ। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় গুলো বিবেচনা করত মুরব্বিদের সাথে পরামর্শ করে এবং যাওয়ার পূর্বে আযহারে অধ্যয়নরত বড় ভাইদের সাথে যোগাযোগ করে সমসাময়িক বিষয়াদি সম্পর্কে খবর রেখে তারপরেই যাওয়া উচিৎ৷

৬- কওমী ছাত্র ভাইদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, মুআদালা শাখছিয়ার মাধ্যমে ভর্তি না হয়ে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে অনার্সে ভর্তি হলে পরে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। কেননা শরহে বেকায়ার সার্টিফিকেট যেহেতু সরকারি স্বীকৃত নয়, তাই আযহারে এই সার্টিফিকেটটি আন্তর্জাতিক বিশ্বে আপনার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট হিসেবে কার্যকর হবে এবং এর মাধ্যমে আপনি মাস্টার্স এর জন্য পৃথিবীর যে কোন ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবেন।

 

লেখক – আবু হানিফ সাদী আযহারী

ত্রৈধ মাস্টার্স, হাদিস, ফিকহ এবং আরবি সাহিত্য। বর্তমান এমফিল গবেষক আরবি সাহিত্য অনুষদ, আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় মিশর ৷

বিশেষ অতিথি লেখক, মাসিক আদর্শ নারী

14 thoughts on “কওমী ও আলিয়া ছাত্রদের জন্যে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নিয়ম ও কিছু পরামর্শ

  1. শরহে বেকায়া মেশকাত দাওরা তিনটার ই কি সার্টিফিকেট লাগবে

  2. অনার্স শেষ করে মাস্টার্স এ বা মাস্টার্স শেষ করে পিএইচডি করে পারবে কি বাংলাদেশ থেকে মিশরে?

  3. আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ
    ভাই !
    আমি জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে আরবী সাহিত্য নিয়ে একবছর পড়েছি ৷তবে শরহে বেকায়ার বছর অসুস্থ ছিলাম সেজন্য শরহে বেকায়ার সার্টিফিকেট নেই তবে মিশকাত দাওরার সার্টিফিকেট আছে ৷
    পাশাপাশি দাখিল ও HSC সার্টিফিকেট আছে ৷
    এখন যদি আমি পেসেসিং করে আল আজহার আসি তাহলে
    ইসলামী বিষয় যেমন কোরআন বা হাদিস নিয়ে পড়তে পারবো কি, ?
    আর কি করতে হবে, ?
    বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো ৷

  4. আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া পরিক্ষার নিয়ম টা একটু জানাতে পারবেন? মানে কোন টাইপের প্রশ্ন আসবে ইন্টারভিউ তে?

  5. ভাই,কেউ আছেন কি।আমাকে বলবেন, আমার ছেলে বতমান আলিয়া মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে, থাকে যদি আল আযহারে পড়াতে যাই,আমাকে কি করতে হবে।

  6. মাসে থাকা খাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে

    1. সর্বনিম্ন ১০ হাজারের মতো লাগবে, ইউটিউবে দেখছি।

  7. আল আজহারে কি বয়স ভেদে ভর্তি করানো হয় শুনেছি ২৩ বসরের বেশী হলে নাকি ভর্তি নেয় না।
    বিষয়টা জানিয়ে বাধিত করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version